বিপিএলে দল পেতে আগ্রহ ১০ প্রতিষ্ঠানের
Published: 28th, October 2025 GMT
অন্তত পাঁচ দল নিয়ে ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। এজন্য দল চেয়ে দরপত্র আহ্বান করছিল বিসিবি। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানা নিতে আগ্রহ প্রকাশ করার শেষ সময় ছিল ২৮ অক্টোবর বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত। তবে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আবেদন পত্র জমা নিয়েছে বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল।
পাঁচ বছরের জন্য বিপিএলে দল নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ১০টি প্রতিষ্ঠান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিপিএলের গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু। ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য সম্ভাব্য ১০টি এলাকা নির্বাচন করেছিল বিসিবি। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, নোয়াখালী, ময়মনসিংহ, রংপুর ও কুমিল্লা নামে ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার সুযোগ ছিল।
আরো পড়ুন:
সেঞ্চুরির জবাবে সেঞ্চুরি, ইকবালের ৫ উইকেটে বাংলাদেশের জয়
ভারতে টেস্ট সিরিজে ফিরছেন অধিনায়ক বাভুমা, আছেন ব্রেভিসও
ইফতেখার রহমান জানিয়েছেন, ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে আবেদন পড়েছে রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, খুলনা, রাজশাহী, নোয়াখালী, বরিশাল ও সিলেটের নামে। রাজশাহীর ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দুইটি প্রতিষ্ঠান। তবে একমাত্র ময়মনসিংহ বিভাগের জন্য কোনো প্রতিষ্ঠান আবেদন করেনি।
রংপুরকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য পেতে চায় রংপুর রাইডার্স। এর আগেও লম্বা সময় ধরে তারা ক্রিকেটের সঙ্গেই ছিল। তাদেরকে দল দিতে কোনো আপত্তিও নেই বিসিবির। এবারের আসরের জন্য আরো চারটি দল বাছাই করাই বিসিবির কাছে মূল চ্যালেঞ্জ।
পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মধ্যে মাইন্ড ট্রি খুলনা টাইগার্সের মালিকানা ধরে রাখতে চায়। রংপুর ও খুলনার সঙ্গে আছে চিটাগং কিংসও। ১১ বছরের বিরতির পর গত আসরে বিপিএলে ফেরে তারা। এসকিউ স্পোর্টস চিটাগংয়ের মালিকানা চায়। ঢাকার মালিকানা পেতে আগ্রহ দেখিয়েছে গতবারের মালিকানা কেনা ঢাকা ক্যাপিটালস। গতবার রিমার্ক হারল্যান গ্রুপ দলটিকে পৃষ্ঠপোষকতা করেছিল। এবার কারা থাকছে তা নিয়ে অনেক জল্পনা চলছে।
কুমিল্লার জন্য এসএস গ্রুপ, সিলেট স্ট্রাইকার্সের জন্য জে এম স্পোর্টস অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট, নোয়াখালীর জন্য বাংলা মার্ক লিমিটেড আগ্রহ প্রকাশ করেছে। রাজশাহী দলটিকে পেতে দুটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ প্রকাশ করেছে। একটি নাবিল গ্রুপ ও অন্যটি দেশ ট্রাভেলস। এছাড়া পুরোনো দল বরিশালের জন্য নতুন প্রতিষ্ঠান আকাশবাড়ী হলিডেজ আগ্রহ দেখিয়েছে।
ফ্রাঞ্চাইজি নির্বাচনে বিসিবি জিরো টলারেন্স নীতি দেখাবে বলে নিশ্চিত করেছেন ইফতেখার আহমেদ, ‘‘গত বছর আমাদের যে কঠিন সময় গেছে.
বিপিএলে কয়টা ফ্র্যাঞ্চাইজি দেয়া হচ্ছে এবং কারা দায়িত্ব পাচ্ছেন তাদের তালিকা ২ নভেম্বরের মধ্যে প্রকাশ করবে বিসিবি। এ প্রসঙ্গে ইফতেখার মিঠু বলেন, ‘‘আজকে আপনাদের জানিয়ে দিব কারা কারা জমা দিয়েছে। তারপর কালকে নানান ইস্যুতে চিঠি দিব ওদের। যেরকম পে-অর্ডারটা দিয়েছে এটা সঠিক কিনা আমাদের তো দেখতে হবে। এগুলো সব আমরা করব। তারপর আমাদের অ্যান্টি করাপশনে যারা ওই কোম্পানিতে জড়িত আছে তাদের নাম পাঠাতে হবে। অনেক প্রসিডিউর আছে। এটা ২ তারিখের মধ্যে ইনশাআল্লাহ আমরা জানিয়ে দিব।’’
এ বছর ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়ার জন্য আগ্রহীদের দুই কোটি টাকার পে-অর্ডার জমা দিতে হবে। যা প্রথম বছরের ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি হিসেবে কাউন্ট করা হবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি প্রতি বছর ১৫% করে বৃদ্ধি পাবে। ফ্র্যাঞ্চাইজি নেওয়া যাবে পাঁচ বছরের জন্য। এর বাইরে ব্যাংক গ্যারান্টিও দিতে হবে। ছয় মাসের জন্য ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি দিতে হবে। দল চূড়ান্ত হয়ে গেলে ১৭ নভেম্বর বিপিএলের প্লেয়ার্সের ড্রাফট অনুষ্ঠিত হবে।
চট্টগ্রাম/ইয়াসিন
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ র য ঞ চ ইজ ইফত খ র ব প এল র জন য আম দ র র র জন বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদ আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) পদে বহাল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি।’
গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু, ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরিত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালকের উদারতা ও মহানুভবতায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে পূর্বের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো। এই আদেশ পত্র জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’০৬ ডিসেম্বর ২০২৫৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফর। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।