নান্দাইলে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মশালমিছিল
Published: 11th, December 2025 GMT
ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মশালমিছিল ও বিক্ষোভ করেছেন দলটির একাংশের নেতা-কর্মীরা। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর উপজেলা সদরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে এ কর্মসূচি শুরু করেন মনোনয়নবঞ্চিত নাসের খান চৌধুরীর অনুসারীরা।
নাসের খান চৌধুরী নান্দাইল উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। গতকাল তাঁর সমর্থকেরা মশাল হাতে নিয়ে বিক্ষোভের সময় ‘নান্দাইলের অবৈধ মনোনয়ন, মানি না মানব না’ স্লোগান দিয়ে মহাসড়কটির নতুন বাজার এলাকা পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করেন। এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইয়াসের খান চৌধুরী।
মিছিলকারীদের কয়েকজন জানান, তাঁরা বিএনপির নেতা নাসের খান চৌধুরীর কর্মী-সমর্থক। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দল যাঁকে মনোনয়ন দিয়েছে, তা নিয়ে শুরু থেকেই তাঁরা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। আগে প্রার্থী মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার জন্য তাঁরা সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন। এর ধারাবাহিক প্রতিবাদের অংশ হিসেবে তাঁরা মশালমিছিল বের করেন। তাঁদের অভিযোগ, দলের চরম দুর্দিনে আন্দোলন-সংগ্রামে যেসব নেতা-কর্মী রাজপথে সক্রিয় ছিলেন, মনোনয়ন দেওয়ার সময় তাঁদের মূল্যায়ন করা হয়নি। বর্তমানে যাঁকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাঁকে তৃণমূলের কর্মীরা মেনে নেবেন না।
পরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা অবিলম্বে নান্দাইল আসনের জন্য ঘোষিত মনোনয়ন পুনর্বিবেচনার দাবি জানান। সেই সঙ্গে দলের স্বার্থ বিবেচনায় ত্যাগী, পরীক্ষিত ও জনপ্রিয় নেতাদের মনোনয়ন দেওয়ার জন্য দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি আহ্বান জানান।
যাঁরা মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এসব কর্মসূচি পালন করছেন জানিয়ে ময়মনসিংহ জেলা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক এনায়েত উল্লাহ কালাম বলেন, বিএনপি একটি বড় দল। বড় দলে অনেক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকবেন, এটাই স্বাভাবিক। নান্দাইলেও বেশ কয়েকজন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। এর আগেও কয়েকটি আসনে এমন হয়েছে, কিন্তু এখন আর হচ্ছে না। নির্বাচন কাছে চলে এলে এসব আর হবে না।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র র জন য র মন ন
এছাড়াও পড়ুন:
শিরোপা উদযাপনে বগুড়ায় থেকে গিয়েছিলেন আকবররা
মধুর সমস্যা যাকে বলে সেটাই হয়েছে আকবর আলীদের সঙ্গে। বগুড়ার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে নিজেদের শেষ চারদিনের ম্যাচ তিনদিনেই তারা জিতে নিয়েছে। খুলনা বিভাগকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগে শিরোপা জয়ের কাজটা করে রেখেছে।
শিরোপা নিশ্চিত হতে তাদের অপেক্ষা করতে হবে আরো একদিন। সচরাচর যেটা হয়, ম্যাচের পর ক্রিকেটাররা যার যার মতো করে বাসায় ফিরে যান। জাতীয় ক্রিকেট লিগের লম্বা টুর্নামেন্ট খেলে ক্রিকেটাররা ছিলেন ক্লান্ত। কিন্তু রংপুরের শিরোপা জয়ের সুযোগ থাকায় আকবরদের বাড়তি একদিন অপেক্ষা করতে হয় বগুড়ায়।
আরো পড়ুন:
টি-টোয়েন্টির পর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটেও চ্যাম্পিয়ন রংপুর
জাতীয় ক্রিকেট লিগ: শেষ রাউন্ডে শিরোপার ফয়সালা
সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত হোটেলে কাটিয়েছেন তারা। শেষ বিকেলে ফিরেছেন মাঠে? গায়ে সাদা জার্সি, মাথায় ক্যাপ, পায়ে কেডস পরে আবার মাঠে নেমেছিলেন। কেন? শিরোপা উদযাপনে।
রাইজিংবিডিকে সেই গল্প শোনালেন আকবর, ‘‘আমরা কালকে জয়ের পর বগুড়ায় থেকে গিয়েছিলাম। আমাদের টুর্নামেন্ট জেতার সুযোগ আছে বলে আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। পুরো দলই আজ শিরোপার জন্য অপেক্ষা করছিল। এটা দারুণ। এরকমটা আগে হয়নি। আগে তো খেলা শেষেই চলে যেতাম।’’ - আকবর বলছিলেন আর হাসছিলেন।
আকবরদের শিরোপা জয়ের বাঁধা হয়ে ছিল দুই দল। ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ। মঙ্গলবার সাত সকালেই সিলেটে ময়মনসিংহ বিভাগ হেরে যায় রাজশাহী বিভাগের কাছে। আকবরদের সামনে তখন কেবল সিলেটের বাঁধা। যদি রাজশাহীতে সিলেট বরিশালকে হারাতে পারে তাহলে তারা শিরোপা জিতবে। আকবররা হবে রানার্সআপ।
সকালের সেশনের পরপরই রংপুর বুঝে গিয়েছিল শিরোপা তাদের হতে চলছে। কেননা বরিশালের ওপেনার ইফতির সেঞ্চুরিতে তখন লিড তিনশ পেরিয়ে। শেষ দুই সেশনে সিলেট এই রান তাড়া করতে পারবে না ধরেই নেওয়া হচ্ছিল। সেভাবেই শুরু হয় আয়োজকদের প্রস্তুতি। রংপুরেরও অপেক্ষা ফুরানোর পালা।
বিকেল ৪টা ৬ মিনিটে সিলেট ও বরিশালের ম্যাচ ড্র হয়। সিলেট ২৮ পয়েন্ট নিয়ে রানার্সআপ। ৩১ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন রংপুর। রংপুর শিরোপা উল্লাস করে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি নিয়ে। রাজশাহীতে মুশফিকুর-জাকিরদের হাতে রানার্সআপ ট্রফি।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল