কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের অভিযোগ, ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রত্যক্ষদর্শীকে হুমকি
Published: 29th, October 2025 GMT
কুমিল্লার মুরাদনগরে সাত বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আজিজ মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আর এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাঁর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষদর্শীকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত আজিজ মিয়াকে আটক করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে জানান মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান।
এর আগে গত সোমবার দুপুরে উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের একটি গ্রামে শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত আজিজ মিয়া (৫০) কামাল্লা ইউনিয়নের নেয়ামতপুর গ্রামের প্রয়াত শব্দরআলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাত বছর বয়সী শিশুটি শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। শিশুটির মা অন্যত্র থাকেন, সে থাকে বাবার সঙ্গে। সোমবার দুপুরে শিশুটির বাবা ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় আজিজ মিয়া বাড়িতে ঢুকে শিশুটিকে জোর করে বসতঘরের পাশে থাকা রান্নাঘরের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি প্রতিবেশী এক নারী দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় শিশুটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি কাঁধে বাঁশ নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। তখনই তিনজন নারী আমাকে ডেকে বলে রান্নাঘরে কিছু একটা হচ্ছে। তখন আমি তাঁদের সাথে নিয়ে রান্নাঘরের দরজা খুলে দেখি শিশুটির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছেন আজিজ মিয়া।’
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, সোমবার দুপুরে এ ঘটনা দেখার পর থেকেই আজিজ মিয়ার পক্ষের লোকজন তাঁকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া শুরু করেন। তাঁর মুঠোফোনেও হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল রাতে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সন্ধ্যায় আজিজ মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তিনি থানা-পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আজ বুধবার সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আজ জ ম য়
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের অভিযোগ, ঘটনা ধামাচাপা দিতে প্রত্যক্ষদর্শীকে হুমকি
কুমিল্লার মুরাদনগরে সাত বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আজিজ মিয়া নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আর এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে তাঁর বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষদর্শীকে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে পুলিশ বিষয়টি জানতে পেরে অভিযুক্ত আজিজ মিয়াকে আটক করেছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁকে আটক করা হয়েছে বলে জানান মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান।
এর আগে গত সোমবার দুপুরে উপজেলার কামাল্লা ইউনিয়নের একটি গ্রামে শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। অভিযুক্ত আজিজ মিয়া (৫০) কামাল্লা ইউনিয়নের নেয়ামতপুর গ্রামের প্রয়াত শব্দরআলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সাত বছর বয়সী শিশুটি শারীরিক ও মানসিক প্রতিবন্ধী। শিশুটির মা অন্যত্র থাকেন, সে থাকে বাবার সঙ্গে। সোমবার দুপুরে শিশুটির বাবা ঘরে ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় আজিজ মিয়া বাড়িতে ঢুকে শিশুটিকে জোর করে বসতঘরের পাশে থাকা রান্নাঘরের ভেতরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। ঘটনাটি প্রতিবেশী এক নারী দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় শিশুটিকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমি কাঁধে বাঁশ নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। তখনই তিনজন নারী আমাকে ডেকে বলে রান্নাঘরে কিছু একটা হচ্ছে। তখন আমি তাঁদের সাথে নিয়ে রান্নাঘরের দরজা খুলে দেখি শিশুটির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছেন আজিজ মিয়া।’
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, সোমবার দুপুরে এ ঘটনা দেখার পর থেকেই আজিজ মিয়ার পক্ষের লোকজন তাঁকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেওয়া শুরু করেন। তাঁর মুঠোফোনেও হুমকি-ধমকি দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল রাতে মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সন্ধ্যায় আজিজ মিয়াকে আটক করা হয়েছে। তিনি থানা-পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আজ বুধবার সকালে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।