আয়ারল্যান্ডের ইনিংসে তখন ৫২.২ ওভার। সকাল থেকে বাংলাদেশ উইকেট নিতে পারছিল না। হ্যারি টেক্টর ও ডোহানির জুটিও লম্বা হচ্ছে। বাংলাদেশের বোলারদের তাঁরা খেলছিলেন স্বাচ্ছন্দ্যে।

এর মধ্যেই হঠাৎ কেঁপে উঠতে শুরু করে মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রেসবক্স। ঘটনা বুঝতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগল। এরপর কেউ একজন হঠাৎ বলে উঠলেন, ‘ভূমিকম্প…!’

শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সের পাঁচতলা থেকে দৌড়ে নামতে শুরু করেন সাংবাদিকেরা। নিচে নেমে দেখা গেল, সেই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে মাঠজুড়েই। সবাই–ই ভূমিকম্পের ভয় কাটিয়ে উঠতে পারেননি তখনো।

দুই ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খান ও এইড রেইনসফোর্ড নিচে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাঁদের চোখে–মুখেও ছিল আতঙ্ক। ড্রেসিংরুম থেকে একাডেমি মাঠে যাওয়ার পথে বাংলাদেশের প্রধান কোচ ফিল সিমন্সও জানালেন, তাঁদের মধ্যেও ভূমিকম্পের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।

ভীতি ছড়িয়ে পড়েছিল খেলোয়াড়দের মাঝেও.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ভ ম কম প আতঙ ক

এছাড়াও পড়ুন:

‘আতঙ্কে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গিয়ে দেখি, টাইলস খুলে টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে আছে’

‘ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে সিঁড়ি দিয়ে তাড়াতাড়ি নিচে নামতে থাকি। চারতলায় নেমে দেখি, লিফটের দরজার একপাশের পিলারের টাইলস খুলে নিচে পড়ে আছে। টাইলসগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।’

আজ শুক্রবার সকালে হওয়া ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে কথাগুলো বলেন বিপাশা রায়। তিনি প্রথম আলোর সাংবাদিক। থাকেন রাজধানীর মিরপুর-১১ নম্বরে।

আজ সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর মাধবদী। ভূমিকম্পটিকে মাঝারি মাত্রার বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

বিপাশা রায় তাঁর অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বলেন, সকালে হঠাৎ তীব্র ঝাঁকুনি শুরু হলে বুঝতে পারি ভূমিকম্প হচ্ছে। আটতলা ভবনের ছয়তলায় থাকি আমরা। ভূমিকম্পে আতঙ্কিত হয়ে সিঁড়ি দিয়ে তাড়াতাড়ি নিচে নামতে থাকি। চারতলায় নেমে দেখি, লিফটের দরজার একপাশের পিলারের টাইলস খুলে নিচে পড়ে আছে। টাইলসগুলো ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।’

পরে দ্রুত ভবনের নিচে নেমে যাওয়ার কথা জানিয়ে বিপাশা রায় বলেন, ‘গিয়ে দেখি, এলাকার অনেক লোক রাস্তায় নেমে এসেছে। তাঁরা সবাই আতঙ্কিত।’

আতঙ্কিত লোকজন অনেকক্ষণ রাস্তায় অবস্থান করছিল বলে জানান বিপাশা রায়। তিনি বলেন, সবাই আফটার শকের (পরাঘাত) আশঙ্কা করছিলেন। তাই তারা ভবনে ফিরতে সময় নিচ্ছিলেন। পরে ধীরে ধীরে লোকজন বাসায় ফেরেন।

আরও পড়ুনঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভূমিকম্প, কেন্দ্রস্থল নরসিংদীর মাধবদী, আতঙ্কে অনেকে রাস্তায়১ ঘণ্টা আগে

ভূমিকম্পটি কয়েক সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। ভূমিকম্পে বড় ভবন পর্যন্ত নড়ে ওঠে। চেয়ার-টেবিলসহ অন্যান্য আসবাব কাপতে থাকে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় আতঙ্কে লোকজন ভবন থেকে দৌড়ে নিচে নেমে আসে।

আরও পড়ুনভূমিকম্পে যে ঝাঁকুনি হলো, তা এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ: ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ হুমায়ুন আখতার৩১ মিনিট আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ