এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানতের শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
Published: 21st, November 2025 GMT
দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় আমানত বেড়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এই সেবায় আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমানত বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে শহর এলাকায় আমানত বেড়েছে ১৩ শতাংশের বেশি। আর গ্রাম এলাকায় বেড়েছে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার নানা তথ্য–উপাত্ত তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় আমানত ছিল ৪২ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বর শেষে ৪৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ব্যাংক খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় গ্রাম এলাকায় আমানত সংগ্রহ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার আওতায় সবচেয়ে বেশি আমানত পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানতের পরিমাণ সেপ্টেম্বরে শেষে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির এজেন্ট সেবার অধীন আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। এরপর ব্যাংক এশিয়ার ৬ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ও ব্র্যাক ব্যাংকের ২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় সবচেয়ে বেশি আমানত হিসাব রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের। সব মিলিয়ে ব্যাংকটিতে মোট হিসাব সংখ্যা ৭৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২১। আর ৭৪ লাখ ৩৫ হাজার ৭২৭টি হিসাব সংখ্যা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ব্যাংক এশিয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের ৩০টি ব্যাংক এই সেবার সঙ্গে যুক্ত, তবে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় এজেন্ট ও আউটলেট কমেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এজেন্টের সংখ্যা কমেছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। এজেন্ট ও আউটলেটের সংখ্যা কমার মূল কারণ অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া। গত সেপ্টেম্বর শেষে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মোট সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৪৮৮। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ৪ শতাংশের বেশি কমেছে।
জানতে চাইলে ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরফান আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করার উদ্দেশ্য ছিল গ্রাম এলাকায় মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসা। বিশেষ করে নারীদের। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের হিসাব সংখ্যার ৮৭ শতাংশ গ্রাম এলাকার এবং ৫০ শতাংশ হিসাবধারী নারী। এ ছাড়া এই সেবার মাধ্যমে কৃষি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ দেওয়া হয়। এতে কিছু ব্যাংক সফলতাও পেয়েছে। এটি ইতিবাচক দিক।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স প ট ম বর শ ষ গ র ম এল ক গত বছর র এল ক য় অন য য়
এছাড়াও পড়ুন:
এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানতের শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় আমানত বেড়েছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এই সেবায় আমানত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আমানত বেড়েছে ২০ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে শহর এলাকায় আমানত বেড়েছে ১৩ শতাংশের বেশি। আর গ্রাম এলাকায় বেড়েছে ২২ দশমিক ৩ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার নানা তথ্য–উপাত্ত তুলে ধরা হয়। প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চ শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় আমানত ছিল ৪২ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা, যা সেপ্টেম্বর শেষে ৪৭ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ব্যাংক খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়ায় গ্রাম এলাকায় আমানত সংগ্রহ বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরে শেষে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবার আওতায় সবচেয়ে বেশি আমানত পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক। ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানতের পরিমাণ সেপ্টেম্বরে শেষে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংকটির এজেন্ট সেবার অধীন আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকা। এরপর ব্যাংক এশিয়ার ৬ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের ৩ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা ও ব্র্যাক ব্যাংকের ২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছরের সেপ্টেম্বরের তুলনায় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা বেড়েছে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ। এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় সবচেয়ে বেশি আমানত হিসাব রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের। সব মিলিয়ে ব্যাংকটিতে মোট হিসাব সংখ্যা ৭৬ লাখ ১৩ হাজার ৬২১। আর ৭৪ লাখ ৩৫ হাজার ৭২৭টি হিসাব সংখ্যা নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে ব্যাংক এশিয়া।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে দেশের ৩০টি ব্যাংক এই সেবার সঙ্গে যুক্ত, তবে এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় এজেন্ট ও আউটলেট কমেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরের চেয়ে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে এজেন্টের সংখ্যা কমেছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। এজেন্ট ও আউটলেটের সংখ্যা কমার মূল কারণ অগ্রণী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিংয়ে সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া। গত সেপ্টেম্বর শেষে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেটের মোট সংখ্যা ছিল ২০ হাজার ৪৮৮। গত বছরের একই সময়ের চেয়ে যা ৪ শতাংশের বেশি কমেছে।
জানতে চাইলে ব্যাংক এশিয়ার সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরফান আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু করার উদ্দেশ্য ছিল গ্রাম এলাকায় মানুষকে ব্যাংকিং সেবার আওতায় নিয়ে আসা। বিশেষ করে নারীদের। প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের হিসাব সংখ্যার ৮৭ শতাংশ গ্রাম এলাকার এবং ৫০ শতাংশ হিসাবধারী নারী। এ ছাড়া এই সেবার মাধ্যমে কৃষি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ দেওয়া হয়। এতে কিছু ব্যাংক সফলতাও পেয়েছে। এটি ইতিবাচক দিক।’