‘সিইও অব দ্য ইয়ার–২০২৫’ পুরস্কার পেয়েছেন ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) মো. নুরুল আফছার। বাংলাদেশ সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডসের চতুর্থ আসরে ইলেকট্রনিকস শ্রেণিতে তিনি এ পুরস্কার পেয়েছেন। গত শনিবার রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপ।

দেশের ব্যবসা খাতের শীর্ষ নির্বাহীদের সম্মাননা প্রদান ও তাঁদের সাফল্য উদ্‌যাপনে বাংলাদেশ সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস দিয়ে আসছে বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম।

বিজ্ঞপ্তিতে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপ জানিয়েছে, ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে ইলেকট্রনিকস খাতে যুক্ত রয়েছেন নুরুল আফছার। তিনি উদ্ভাবনী, অংশগ্রহণ ও উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার মাধ্যমে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপ ও দেশের ইলেকট্রনিকস খাতকে সমৃদ্ধ করেছেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বে ইলেক্ট্রো মার্ট গ্রুপ বাংলাদেশের ইলেকট্রনিকস শিল্পে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। নিয়মিত বাজার গবেষণা, পণ্য উন্নয়ন, নিত্যনতুন বিপণন কৌশল গ্রহণ ও ইলেকট্রনিকস পণ্যে বৈচিত্র্য আনার কাজ করছেন তিনি। এ ছাড়া তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কনকা ও গ্রি ইলেকট্রনিকস পণ্যের জন্য কারখানা স্থাপন, বাজার সম্প্রসারণ ও দক্ষতা বৃদ্ধির ফলে ইলেক্ট্রো মার্ট টেকসই উন্নতি অর্জন করেছে।

সি-স্যুট অ্যাওয়ার্ডস পাওয়ার পর মো.

নুরুল আফছার বলেন, ‘এই অ্যাওয়ার্ড পেয়ে আমি আনন্দিত ও সম্মানিত বোধ করছি। এ স্বীকৃতি আমাদের আরও দায়িত্বশীল হতে অনুপ্রাণিত করবে।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ন র ল আফছ র প রস ক র

এছাড়াও পড়ুন:

বহুপক্ষীয় বৈশ্বিক ব্যবস্থা এখন, শুধু পশ্চিমে দেখার সুযোগ নেই

পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে সব দেশের সরবরাহব্যবস্থায় বাধা তৈরি হচ্ছে। তাই বিশ্ব দ্বৈত অবস্থান থেকে বহুপক্ষীয় ব্যবস্থায় পরিণত হচ্ছে। এ কারণে আগামী দিনে শুধু পশ্চিমা দেশের দিকে নির্ভর না করে অন্যদিকেও নজর দিতে হবে। তা না হলে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দেবে।

আজ রোববার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী ‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন ২০২৫’ সম্মেলনে দ্বিতীয় দিন সন্ধ্যায় এক অধিবেশনে এ কথা বলেন বক্তারা। পাওয়ার, পিপল অ্যান্ড দ্য পলিটিকস অব হোপ নামের এই অধিবেশনে বক্তব্য দেন ব্যবসায়ী ও আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকেরা।

আলোচনায় অংশ নিয়ে অ্যাপেক্স ফুটওয়্যারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, বৈশ্বিক ব্যবস্থা পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। এখন শুধু পশ্চিমে নজর দিলে হবে না। বৈশ্বিক এই পরিবর্তন সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলছে তরুণদের ওপর। গ্র্যাজুয়েট হিসেবে বের হলেও দক্ষতা তৈরি হচ্ছে না। তাই ভবিষ্যতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করা। এখনকার তরুণেরা শুধু বিসিএস, ব্যাংক ও বিদেশমুখী। বাংলাদেশে পরবর্তী বড় খাত হবে উৎপাদনমুখী শিল্প। তাই অনেক শিল্প প্রকৌশলী দরকার। তবে সেটি তৈরি হচ্ছে না।

ভবিষ্যতের ঝুঁকি নিয়ে সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর বলেন, বৈশ্বিক বিচ্ছিন্নতা (ডি গ্লোবালাইজেশন) এখন নতুন ঝুঁকি। তা ছাড়া বৈশ্বিক বিনিময় প্রথা। এখন অনেকের ক্ষেত্রে মানবাধিকার নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলেও কাউকে আবার কিছু বলা হয় না। তা ছাড়া নিয়মভিত্তিক শাসনও নেই।

এখন বৈশ্বিক সরবরাহব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে জানান কনফিডেন্স পাওয়ার অ্যান্ড এনার্জির চেয়ারম্যান ইমরান করিম। তিনি বলেন, হয়তো বিলিয়নিয়ার তৈরি হচ্ছে। তবে আরও বেশি মধ্যবিত্ত দরকার।

তারুণ্যের প্রত্যাশা নিয়ে শাহ গ্রুপের পরিচালক কাজী শাহ মুজাক্কের আহমেদুল হক বলেন, ভবিষ্যতে পরিবর্তনের প্রত্যাশা পূরণ না হলে আবারও বিদ্রোহ হবে। ২০ বছরের নীরবতা ভেঙে মানুষ রাস্তায় নেমেছে, এটা প্রতিনিয়ত হতে থাকবে। নিজ দেশেই মানুষ দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে গিয়েছিল। তাই মানুষ প্রতিরোধ করেছে।

উন্নত দেশ শুধু সহায়তার জন্য অর্থায়ন করে না বলে মনে করেন মালদ্বীপের সাবেক শিক্ষামন্ত্রী আবদুল্লাহ রাশেদ আহমেদ। তিনি বলেন, হঠাৎ করে ইউএসএআইডি এবং এশিয়া ফাউন্ডেশনের অর্থায়ন বন্ধ হয়ে গেল। কারণ, সহায়তাকারী দেশের মানুষের ক্ষমতায়ন হলে উন্নত দেশের নির্ভরতা কমে আসবে।

অধিবেশনটির সঞ্চালনা করেন কেনিয়াভিত্তিক ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামস কনসোর্টিয়াম ফর ইকোনমিক রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের পরিচালক জুডিথ মাউনিকি। এই অধিবেশনে বক্তব্য দেন মেক্সিকোর পাইদেইয়া সিভিকার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ভেরোনিকা পর্তুগাল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ