সুযোগ পেয়েও স্টাম্পিং করলেন না কিপার পুরান, ব্যাটসম্যানকে তুলে নিল দল
Published: 10th, December 2025 GMT
ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি টোয়েন্টিতে (আইএল টি–২০) মঙ্গলবার রাতে এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ১ রানে জিতেছে ডেজার্ট ভাইপার্স। তবে ম্যাচের উত্তেজনা ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে ভাইপার্স ইনিংসের ১৬তম ওভারে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা।
ওই ওভারে সুযোগ পেয়েও স্টাম্পিং না করা এবং এরপর ব্যাটসম্যানের রিটায়ার্ড আউট হয়ে মাঠ ছাড়ার ঘটনা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। আর এ পুরো নাটকের কেন্দ্রে ছিলেন এমআই এমিরেটসের উইকেটকিপার নিকোলাস পুরান ও ভাইপার্সের ব্যাটসম্যান ম্যাক্স হোল্ডেন।
আবুধাবিতে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ভাইপার্স। ১৬তম ওভারের শুরুতে ১ উইকেটে দলটির রান ছিল ১১০। সে সময় উইকেটে ছিলেন ম্যাক্স হোল্ডেন ও স্যাম কারেন। হাতে উইকেট থাকার পরও দুই ব্যাটসম্যান রান তুলতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। ১২ থেকে ১৫—এই চার ওভারে দুজনে মিলে করতে পারেন ২০ রান।
আরও পড়ুনআইএল টি–টোয়েন্টিতে অভিষেকে সাকিব রিটায়ার্ড আউট, ৯১৩ ইনিংসে প্রথমবার ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫বড় সংগ্রহ গড়তে তখনই রানের গতি বাড়াতে হতো ভাইপার্সকে। এমন পরিস্থিতিতে রশিদ খানের করা ওভারের তৃতীয় ও চতুর্থ বল থেকে কোনো রান নিতে পারেননি হোল্ডেন। পঞ্চম বলে নেন ২ রান। নাটকীয়তার শুরু এর পরই।
ওভারের শেষ ডেলিভারিতে রশিদের অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের বলটি সামনে বেরিয়ে খেলার চেষ্টা করেন হোল্ডেন। বল ব্যাটে পাননি। ওয়াইড হওয়া বলটি যায় উইকেটকিপার পুরানের হাতে। এ সময় ক্রিজ ছেড়ে অনেকটা বেরিয়ে আসা হোল্ডেন উইকেট বাঁচানোর আশা একরকম ছেড়ে দেন। কিন্তু পুরান সুযোগ পেয়েও স্টাম্প ভাঙেননি। ইচ্ছা করেই হোল্ডেনকে আউট করা থেকে বিরত থাকেন।
মূলত বড় শট খেলতে হাঁসফাঁস করতে থাকা হোল্ডেনকে উইকেটে রেখে রানের গতি আটকানোই ছিল তাঁর লক্ষ্য। ধারাভাষ্যকার বলে ওঠেন, ‘ওহ! সে তাকে স্টাম্পিং করল না। স্টাম্পিং করল না। ওয়াইড ডাকা হয়েছে। সহজেই তাকে স্টাম্প আউট করা যেত।’
এরপর রশিদের শেষ বলেও কোনো রান নিতে পারেননি হোল্ডেন। এবার দেখা যায়, ওভার শেষ হতেই মাঠ ছেড়ে যাচ্ছেন তিনি। তাঁকে রিটায়ার্ড আউট হিসেবে উঠিয়ে নিয়েছে ভাইপার্স। স্টাম্পিংয়ের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া হোল্ডেন মাঠ ছেড়ে যান ৩৭ বলে ৪২ রান করে।
৩৭ বলে ৪২ রান করে হোল্ডেন.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব য টসম য ন উইক ট
এছাড়াও পড়ুন:
এই দিনে হানাদার মুক্ত হয়েছিল কুষ্টিয়ার যেসব স্থান
আজ ৮ ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনটি ছিল কুষ্টিয়ার মানুষের কাছে স্মরণীয় এক মুহূর্ত। এ দিন মুক্ত হয় জেলার মিরপুর, দৌলতপুর ও ভেড়ামারা উপজেলা। মুক্তিকামী জনতা স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে বিজয় আনন্দে মেতে ওঠেন।
মিরপুর: ১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর ভোরে ই-৯ এর গ্রুপ কমান্ডার আফতাব উদ্দিন খান ১৭০ জন মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে মিরপুর থানায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা গান স্যালুটের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। এরপর ৬৫ জন পাকহানাদার বাহিনীর দোসর ও রাজাকার পাহাড়পুর মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে আত্মসমর্পন করে। মিরপুর হানাদার মুক্ত হওয়ার সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন বয়সের হাজারো নারী-পুরুষ রাস্তায় নেমে আনন্দ উল্লাস করতে থাকেন।
আরো পড়ুন:
ঝালকাঠি পাক হানাদার মুক্ত দিবস আজ
আজ গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস
দৌলতপুর মুক্ত দিবস: ১৯৭১ সালের এই দিন থানা চত্বরে বিজয় পতাকা উড়ানোর মধ্য দিয়ে দৌলতপুরকে হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
দৌলতপুরকে হানাদার মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে পাকিস্তানি সেনাদের সম্মুখসহ ছোট-বড় ১৬টি যুদ্ধ সংঘঠিত হয়। এসব যুদ্ধে ৩৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েক’শ নারী-পুরুষ শহীদ হন।
সবচেয়ে বড় যুদ্ধ সংঘঠিত হয় উপজেলার ধর্মদহ ব্যাংগাড়ী মাঠে। এ যুদ্ধে প্রায় সাড়ে ৩০০ পাকিস্তানি সেনা নিহত হন। শহীদ হন তিন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তিন ভারতীয় মিত্র বাহিনীর সদস্য।
৮ ডিসেম্বর সকালে আল্লারদর্গা এলাকায় পাক সেনাদের গুলিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিক শহীদ হন। এরপর দৌলতপুর হানাদার মুক্ত ঘোষণা করেন তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মেজর নুরুন্নবী।
ভেড়ামারা মুক্ত দিবস: মিত্র বাহিনীর সহায়তায় আজকের দিনে মুক্তিযোদ্ধারা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারাকে শত্রু মুক্ত করেন।
এই দিন ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর আবুল মুনছুরের নেতৃত্বে জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা রাশেদুল আলমের নেতৃত্বে ২ ভাগে বিভক্ত হয়ে ভোর ৭টার দিকে ভেড়ামারা ফারাকপুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়। প্রায় ৭ ঘণ্টার এই যুদ্ধে আটজন পাকসেনা নিহত হয়। যুদ্ধের পরপরই মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে প্রায় ৫০/৬০ জন বিহারী নিহত হন।
এই ঘটনার সংবাদ পেয়ে ভেড়ামারায় অবস্থানরত পাকবাহিনীর অন্য সদস্যদের মনোবল ভেঙ্গে যায়। তারা সন্ধ্যার আগেই ভেড়ামারা থেকে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দিয়ে পালিয়ে যায়। এই দিন রাতে মুক্তিপাগল মানুষ ও মুক্তিযোদ্ধারা দলে দলে ভেড়ামারায় প্রবেশ করতে থাকেন। তখন তারা বিজয়ের আনন্দে রাস্তায় নেমে উল্লাস করতে থাকেন।
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ