দেশের উন্নতির সম্ভাবনা নিয়ে হতাশ ৪৬%, আশাবাদী ৩৫%
Published: 10th, December 2025 GMT
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রায় অর্ধেক মানুষ হতাশ। এক-তৃতীয়াংশের বেশি কিছু মানুষ দেশ নিয়ে আশাবাদী। ৮৩ শতাংশ মানুষ মনে করেন, কর্মসংস্থান বা আয়ের সুযোগ এখন অনুকূলে নয়। বর্তমান অবস্থা ব্যবসা-বাণিজ্যের উপযুক্ত নয় বলে মনে করেন ৭৭ শতাংশ মানুষ।
দেশ নিয়ে আশা-হতাশা, কর্মসংস্থানের সুযোগ বা ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিবেশ এবং দেশ ছাড়ার বিষয়ে উদ্বেগের বিষয়গুলো উঠে এসেছে প্রথম আলোর উদ্যোগে করা ‘গুরুত্বপূর্ণ সামাজিক-রাজনৈতিক বিষয়ে জাতীয় জনমত জরিপ ২০২৫’-এ। প্রথম আলোর জন্য জরিপটি করেছে বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান কিমেকারস কনসাল্টিং লিমিডেট।
জরিপে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বর্তমান পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আর্থিক ও সামাজিক উন্নতির সম্ভাবনা নিয়ে কতটা আশাবাদী? উত্তরে ৩৪ দশমিক ৪ শতাংশ উত্তরদাতা হতাশার কথা বলেছেন। একই প্রশ্নে খুবই হতাশ ১১ দশমিক ৩ শতাংশ উত্তরদাতা। ফলে হতাশ ও খুবই হতাশ উত্তরদাতার হার দাঁড়ায় প্রায় ৪৬ শতাংশ। অন্যদিকে কিছুটা আশা আছে ৩১ দশমিক ৪ শতাংশ উত্তরদাতার। অত্যন্ত আশাবাদী ৩ দশমিক ৯ শতাংশ উত্তরদাতা। দুয়ে মিলে আশাবাদী উত্তরদাতার হার দাঁড়ায় ৩৫ শতাংশ। হতাশ নন, আবার আশাবাদীও নন ১৯ শতাংশ উত্তরদাতা।
জরিপ বলছে, দেশের আর্থিক ও সামাজিক উন্নতির বিষয়ে নারী-পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি এক নয়। নারীর মধ্যে দেশ নিয়ে আশাবাদ বেশি। একইভাবে বয়স্কদের চেয়ে তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে দেশ নিয়ে আশাবাদ কিঞ্চিৎ বেশি দেখা গেছে।
প্রথম আলোর উদ্যোগে করা জরিপে দেশের ৫টি নগর ও ৫টি গ্রাম বা আধা শহরাঞ্চলের প্রাপ্তবয়স্ক (১৮-৫৫ বছর) ১ হাজার ৩৪২ জনের মতামত নেওয়া হয়। জরিপে অংশ নেওয়া মানুষেরা বিভিন্ন আয়, শ্রেণি ও পেশার। জরিপে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে গত ২১ থেকে ২৮ অক্টোবর।
অধিকাংশ মানুষ মনে করেন, দেশে আয়-উপার্জন-ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি ভালো নয়। জরিপে অংশ নেওয়া ৭৭ শতাংশের কিছু বেশি উত্তরদাতা বলছেন, পরিস্থিতি ব্যবসা-বাণিজ্যের অনুকূলে নয়। ২০ শতাংশের মতো উত্তরদাতা মনে করেন, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্য করার মতো পরিস্থিতি বিরাজ করছে।জরিপকারী প্রতিষ্ঠান বলেছে, এটি একটি মতামত জরিপ। এটা দেশের প্রতিনিধিত্বমূলক জরিপ, তবে নির্দিষ্টভাবে কোনো নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধিত্ব করে না। জরিপের নমুনা এমন মানুষদেরই তুলে ধরেছে, যাঁরা অনলাইন অথবা ছাপা পত্রিকা পড়তে পারেন এবং আগামী নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জরিপের ফলাফলের নির্ভরযোগ্যতার (কনফিডেন্স লেভেল) মাত্রা ৯৯ শতাংশ।
উত্তরদাতাদের কাছে প্রশ্ন করা হয়েছিল, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি কর্মসংস্থান ও আয়-উপার্জনের সুযোগ পাওয়ার জন্য কতটা অনুকূল। পরিস্থিতি অনুকূল নয় বলে প্রায় ৮৩ শতাংশ মানুষ উত্তর দিয়েছেন। অনুকূল বলেছেন মাত্র ৫ শতাংশ উত্তরদাতা। বাকিরা বলেছেন, তাঁরা নিশ্চিত নন।
প্রথম আলো গ্রাফিকস.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রথম আল পর স থ ত অন ক ল দশম ক ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
এনসিপির প্রার্থী তালিকায় নেই রিকশাচালক সুজন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রথম ধাপে ১২৫ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে সেই তালিকায় নাম নেই ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী রিকশাচালক সুজনের।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্যালুট দিয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী সুজন এনসিপির হয়ে লড়তে গত ২০ নভেম্বর মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকায় তার নাম না থাকলেও আসনটি ফাঁকা রেখেছে এনসিপি।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রথম ধাপে ১২৫ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে এনসিপি।
মনোনয়ন নেওয়ার পর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুজন বলেছিলেন, “এতিমের টাকা মেরে যখন সংসদে দাঁড়ানো যায়, তখন আমি রিকশা চালক হয়ে কেন দাঁড়াতে পারব না? যাত্রাপালায় নেচে যদি সংসদে যাওয়া যায়, তখন রিকশাওয়ালা কেন যেতে পারবে না?”
তিনি বলেছিলেন, জনগণ, রিকশাচালক ও শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে কথা বলতে এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি এসেছেন।
এদিকে, ঢাকা-৮ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মির্জা আব্বাসের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। অন্যদিকে, একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিনকে মনোনীত করেছিল দলটি। তবে প্রার্থী পরিবর্তন করে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা ও ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমকে দল সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা/রায়হান/ইভা