দীর্ঘ পথের ক্লান্তিতে আকাশ থেকে পড়ল হিমালয়ান শকুন
Published: 10th, December 2025 GMT
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া থেকে একটি পরিযায়ী শকুন উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার উত্তর কাঞ্চনা এলাকা থেকে শকুনটি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে বন বিভাগ জানায়, গতকাল বিকেলে এলাকার একটি মাদ্রাসার সামনে শকুনটি আকাশ থেকে পড়ে। এরপর মাদ্রাসার ছাত্ররা বন বিভাগে খবর দিলে রাতে তারা সেটিকে উদ্ধার করে।
বন বিভাগ জানায়, প্রতিকূল পরিবেশ ও খাদ্যসংকটের কারণে বাংলাদেশে শকুন প্রায় বিলুপ্ত। উদ্ধার হওয়া শকুন পরিযায়ী ‘হিমালয়ান গৃধিনি’ নামে পরিচিত। শীত শুরু হলে এটি ভারত, নেপাল, ভুটান ও তিব্বত অঞ্চলের পাহাড় থেকে দক্ষিণ দিকে নেমে আসে। তখন বাংলাদেশেও দেখা যায়। এ শকুনের দৈর্ঘ্য প্রায় ৯৫ থেকে ১২৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। একেকটি ডানা ২ দশমিক ৫০ মিটার থেকে ৩ দশমিক ১ মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে।
সাতকানিয়ার মাদার্শা বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ের পর জ্যান্ত রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাসপাতালে কৃষক
মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে কৃষক কুদ্দুস আলী শেখের (৬৫) পায়ে রাসেলস ভাইপার সাপ কামড় দেয়। তখন তিনি লাঠির সাহায্যে সাপটির গতি রোধ করেন। এরপর নিজেই পা বেঁধে ফেলেন, খবর দেন পরিবারের সদস্যদের। জীবিত সাপটি প্লাস্টিকের বোতলে ভরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
গত সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী চিলমারীতে কুদ্দুস আলী শেখকে সাপ কামড় দেয়। তাঁর বাড়ি চিলমারী চরে। তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কুদ্দুস আলীকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়েছে। তিনি আপাতত সুস্থ। তবে ক্ষতস্থানে ফোলা রয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।
কুদ্দুস আলী শেখের ভাষ্যমতে, সোমবার সকালে তিনি চরে কলাইখেতে যান। সেখানে কাজ শেষে দুপুরে মাঠের ভেতরে কাঁচা পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তাঁকে সাপ কামড় দেয়। তিনি বলেন, ‘মাঠ থিকি আসছিলাম। একটা জিপা জাগা। একপাশে জঙ্গলমতো ছিল। আরেক পাশে কলার বাগান। সাপের মুখের সামনে পাওডা (পা) পড়চে, অমনি কামড় দিছে। কুট করে উঠলো। জইলি–পুড়ি যাচ্ছে। দেখছি যে সাপ চলি যাচ্ছে। হাতের পর একটা লাঠি ছিল, সাপের সামনে টোকা দিলাম। সাপ থাইমি গেল।’
কুদ্দুস আলী শেখ আরও বলেন, ‘নিজের ক্ষেমতায় গামছা দিই বান (পা বাঁধা) দিলাম। তারপর সাপটাকে ধরলাম। এরপর পরিবারকে ফোন দিলাম। দ্রুত তাঁরা আইসি প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে সাপটাকে ভরে হাসপাতালে নিই। গাড়িত করি আমাকে কুষ্টিয়ায় হাসপাতালে নেয় তারা।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সাপটি হাসপাতালে কুদ্দুস আলীর কাছে প্লাস্টিকের বোতলে ছিল। তবে একপর্যায়ে সাপটি মারা যায়। স্থানীয় কয়েকজন তরুণ সাপটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চত্বরে পুঁতে রাখেন।
হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ডের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাপটি অনেক বড়, পূর্ণবয়স্ক; প্রায় তিন ফুট লম্বা। সাপের ছোবলে কৃষকের কাটা অংশ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। হয়তো সাপ বিষ ঠিকমতো দিতে পারেনি। এ জন্য তিনি সুস্থ আছেন। সাপটি সঙ্গে করে নিয়ে আসায় ভালো হয়েছে। সাপ চিহ্নিত করা গেলে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যায়।’