ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কার দিয়ে ইনফান্তিনো কি ‘ফেঁসে’ যাচ্ছেন
Published: 10th, December 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো সংস্থাটির রাজনৈতিক নিরপেক্ষতার নিয়ম ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ফিফা নৈতিকতা কমিটির কাছে তদন্তের অনুরোধ জানিয়েছে একটি মানবাধিকার সংস্থা।
গত সপ্তাহে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে ট্রাম্পকে ‘ফিফা শান্তি পুরস্কার’ তুলে দেন ইনফান্তিনো। ফিফাপ্রধান এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সমর্থনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট এবং সাক্ষাৎকারও দেন। এর মাধ্যমে ইনফান্তিনো ফিফার নিরপেক্ষতার নিয়মের ‘চারটি স্পষ্ট লঙ্ঘন করেছেন’ বলে অভিযোগ মানবাধিকার সংস্থা ফেয়ারস্কয়ারের।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফিফার এথিকস কমিটিতে ফেয়ারস্কয়ার একটি অভিযোগপত্র পাঠিয়েছে। চিঠিতে ফিফা শান্তি পুরস্কারের উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘একজন ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক নেতাকে এ ধরনের একটি পুরস্কার প্রদান করা, ফিফার নিরপেক্ষতার কর্তব্যের স্পষ্ট লঙ্ঘন।’
ফিফা সভাপতির সংস্থার কৌশলগত দিকনির্দেশনা, নীতি ও মূল্যবোধ নির্ধারণ করার কোনো একক কর্তৃত্ব নেই বলে উল্লেখ করা হয় চিঠিতে। বিবিসি স্পোর্টস মন্তব্যের জন্য ফুটবলের বিশ্ব নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। তবে এ প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত সাড়া পায়নি।
২০২৬ সালের জুন-জুলাইয়ে কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে বিশ্বকাপ ফুটবলের যৌথ আয়োজক যুক্তরাষ্ট্র। ৫ ডিসেম্বর ওয়াশিংটনের কেনেডি সেন্টারে বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ড্র শুরুর আগে ট্রাম্পকে ‘শান্তির জন্য ব্যতিক্রমী ও অসাধারণ পদক্ষেপ গ্রহণ’ এবং ‘বিশ্বজুড়ে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করার’ স্বীকৃতি হিসেবে ফিফা শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে একটি সোনালি ট্রফির পাশাপাশি ট্রাম্পকে একটি পদক ও সনদ তুলে দেন ফিফা সভাপতি ইনফান্তিনো।
আরও পড়ুনট্রাম্পকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হলো, বিশ্বকাপ ফিফার টুর্নামেন্ট, সিদ্ধান্তও ফিফাই নেয়০২ অক্টোবর ২০২৫পুরস্কার তুলে দেওয়ার আগে একটি ভিডিও দেখানোর পর ইনফান্তিনো তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘একজন নেতার কাছ থেকে আমরা এটাই চাই’ এবং ‘প্রেসিডেন্ট সাহেব, আপনি সব সময় আমার সমর্থনের ওপর নির্ভর করতে পারেন।’
এর আগে অক্টোবরে ইনফান্তিনো ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে বলেছিলেন ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার ‘নিশ্চিতভাবেই পাওয়ার যোগ্য’। গত মাসে মায়ামিতে আমেরিকান বিজনেস ফোরামে একটি সাক্ষাৎকারের সময় ইনফান্তিনো বলেন, ‘আমাদের সবারই (ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে) যা করছেন, তাঁকে সমর্থন করা উচিত। কারণ, আমি মনে করি তিনি বেশ ভালো করছেন।’
বিশ্বকাপের ড্র অনুষ্ঠানে ট্রাম্প ও ইনফান্তিনো.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইনফ ন ত ন ব শ বক প প রস ক র
এছাড়াও পড়ুন:
মাইক্রোসফট রিসার্চ ফেলোশিপ ২০২৬: গবেষকদের জন্য নতুন যে সুযোগ
বিশ্বব্যাপী গবেষক ও শিক্ষাবিদদের জন্য উন্মুক্ত হলো মাইক্রোসফট রিসার্চ ফেলোশিপ। এই ফেলোশিপের মাধ্যমে একাডেমিক প্রতিষ্ঠান ও মাইক্রোসফট রিসার্চের বিশেষজ্ঞরা একসঙ্গে কাজ করবেন। দ্রুত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির যুগে এই সহযোগিতাকে প্রতিষ্ঠানটি ‘ভবিষ্যৎ গঠনের জন্য অপরিহার্য’ বলে উল্লেখ করেছে।
কারা আবেদন করতে পারবেন
এই ফেলোশিপে আবেদন করতে পারবেন তিন ধরনের একাডেমিক ব্যক্তিত্ব—
১. পিএইচডি শিক্ষার্থী
২. বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
৩. পোস্টডক্টরাল গবেষক
শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা
– আবেদনকারীকে অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঅস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা: ভিসা–জটিলতা এড়াতে শিক্ষার্থীদের যে নতুন নির্দেশনা০৩ ডিসেম্বর ২০২৫শিক্ষকদের যোগ্যতা
– অধ্যাপক বা সহকারী/সহযোগী অধ্যাপকেরা নিজেরা প্রস্তাব জমা দিতে পারবেন।
– তাঁদের প্রস্তাবে একজন শিক্ষার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে এবং নির্বাচিত হলে উভয়েই ফেলো হবেন।
– অধ্যাপকের অবশ্যই টার্মিনাল ডিগ্রি (যেমন PhD বা DSc) থাকতে হবে।
পোস্টডক্টরদের যোগ্যতা
– পোস্টডক্টরাল গবেষক নিজস্ব প্রস্তাব জমা দিতে পারবেন, তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অ্যাডভাইজার বা ডিপার্টমেন্ট চেয়ার–এর লিখিত অনুমোদন থাকতে হবে।
– সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ও ওপরের তালিকাভুক্ত অঞ্চলগুলোর মধ্যে হতে হবে।
প্রযোজ্য দেশগুলো
আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড, কানাডা, ইউরোপ, ভারত, হংকং, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, পুয়ের্তো রিকো এবং যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও গবেষকেরা আবেদন করতে পারবেন।
ছবি: সংগৃহীত