খ্যাতির শিখরে থাকতেই ভালোবাসার টানে রুপালি পর্দা থেকে সরে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী রতি অগ্নিহোত্রী। কিন্তু সে সিদ্ধান্তই তাঁকে ঠেলে দেয় তিন দশকের দুঃসহ নরক যন্ত্রণায়।

কে এই রতি?

১৯৮০-এর দশকে ‘এক দুজে কে লিয়ে’ ও ‘কুলি’ ছবির সুবাদে রতি ছিলেন তৎকালীন বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ। কিন্তু ১৯৮৫ সালে স্থপতি অনিল বিরওয়ানিকে বিয়ে করে তিনি চলচ্চিত্রজীবন থেকে দূরে সরে যান। বাইরে থেকে সুখের সংসার মনে হলেও অন্তর্গত বাস্তব ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন।

নীরবে চলত নির্যাতন
বহু বছর পর এক আবেগঘন সাক্ষাৎকারে রতি জানান, বিয়ের শুরুর দিক থেকেই শারীরিক নির্যাতন শুরু হয়েছিল। প্রায় ৩০ বছর ধরে তিনি তা সহ্য করেছেন—হাসিমুখে, নিখুঁত জনসমক্ষ ইমেজের আড়ালে। এত কিছু সহ্য করেও কেন থেকে গিয়েছিলেন? রতি জানান, তাঁর থাকার দুটি কারণ ছিল—বিবাহবন্ধনের পবিত্রতায় বিশ্বাস আর বিয়ের এক বছরের মধ্যেই ছেলে তনুজ বিরওয়ানির জন্ম।

রতি অগ্নিহোত্রী। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ের পর জ্যান্ত রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাসপাতালে কৃষক

মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার পথে কৃষক কুদ্দুস আলী শেখের (৬৫) পায়ে রাসেলস ভাইপার সাপ কামড় দেয়। তখন তিনি লাঠির সাহায্যে সাপটির গতি রোধ করেন। এরপর নিজেই পা বেঁধে ফেলেন, খবর দেন পরিবারের সদস্যদের। জীবিত সাপটি প্লাস্টিকের বোতলে ভরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।

গত সোমবার দুপুরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী চিলমারীতে কুদ্দুস আলী শেখকে সাপ কামড় দেয়। তাঁর বাড়ি চিলমারী চরে। তিনি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, কুদ্দুস আলীকে অ্যান্টিভেনম দেওয়া হয়েছে। তিনি আপাতত সুস্থ। তবে ক্ষতস্থানে ফোলা রয়েছে। তাঁকে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।

কুদ্দুস আলী শেখের ভাষ্যমতে, সোমবার সকালে তিনি চরে কলাইখেতে যান। সেখানে কাজ শেষে দুপুরে মাঠের ভেতরে কাঁচা পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তাঁকে সাপ কামড় দেয়। তিনি বলেন, ‘মাঠ থিকি আসছিলাম। একটা জিপা জাগা। একপাশে জঙ্গলমতো ছিল। আরেক পাশে কলার বাগান। সাপের মুখের সামনে পাওডা (পা) পড়চে, অমনি কামড় দিছে। কুট করে উঠলো। জইলি–পুড়ি যাচ্ছে। দেখছি যে সাপ চলি যাচ্ছে। হাতের পর একটা লাঠি ছিল, সাপের সামনে টোকা দিলাম। সাপ থাইমি গেল।’

কুদ্দুস আলী শেখ আরও বলেন, ‘নিজের ক্ষেমতায় গামছা দিই বান (পা বাঁধা) দিলাম। তারপর সাপটাকে ধরলাম। এরপর পরিবারকে ফোন দিলাম। দ্রুত তাঁরা আইসি প্লাস্টিকের বোতল নিয়ে সাপটাকে ভরে হাসপাতালে নিই। গাড়িত করি আমাকে কুষ্টিয়ায় হাসপাতালে নেয় তারা।’

গতকাল মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সাপটি হাসপাতালে কুদ্দুস আলীর কাছে প্লাস্টিকের বোতলে ছিল। তবে একপর্যায়ে সাপটি মারা যায়। স্থানীয় কয়েকজন তরুণ সাপটি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চত্বরে পুঁতে রাখেন।

হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের ওয়ার্ডের চিকিৎসক মাহফুজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘সাপটি অনেক বড়, পূর্ণবয়স্ক; প্রায় তিন ফুট লম্বা। সাপের ছোবলে কৃষকের কাটা অংশ দিয়ে রক্ত বের হয়েছে। হয়তো সাপ বিষ ঠিকমতো দিতে পারেনি। এ জন্য তিনি সুস্থ আছেন। সাপটি সঙ্গে করে নিয়ে আসায় ভালো হয়েছে। সাপ চিহ্নিত করা গেলে দ্রুত চিকিৎসা দেওয়া যায়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ