শেরপুর-২ আসন থেকে এনসিপির হয়ে লড়বেন সেই খোকন চন্দ্র বর্মণ
Published: 10th, December 2025 GMT
গণঅভ্যুত্থানে গুরুতর আহত হয়ে চেহারা বদলে যাওয়া সেই খোকন চন্দ্র বর্মণ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) হয়ে লড়বেন। তিনি শেরপুর-২ আসন থেকে শাপলা কলি প্রতীকে নির্বাচন করবেন।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার বাংলামোটরে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ১২৫ আসনে প্রথম ধাপের মনোনয়ন ঘোষণা করেন দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এ সময় শেরপুর-২ আসনে এই জুলাই যোদ্ধার নাম ঘোষণা করা হয়।
এদিকে, শেরপুর- ২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) সংসদীয় আসনে বিএনপির হয়ে লড়বেন প্রয়াত হুইপ আলহাজ জাহেদ আলী চৌধুরীর ছেলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও শেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার ফাহিম চৌধুরী। একই আসনে জামায়াতে ইসলামীর হয়ে লড়েবেন গোলাম কিবরিয়া।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানার সামনে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন খোকন চন্দ্র বর্মণ। এই ঘটনার পর তার ঠোঁট, মাড়ি, নাক এবং তালু ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া, তার বাম চোখও নষ্ট হয়ে যায়। পরে তার চিকিৎসার জন্য রাশিয়াতেও পাঠায় সরকার। সুস্থ হলেও বদলে যায় তার চেহারা।
খোকন চন্দ্র বর্মণ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম সাক্ষী হিসেবেও সাক্ষ্য দিয়েছেন। এছাড়া, দল গঠনের পর থেকেই এনসিপির সঙ্গে জড়িত আছেন তিনি। বিভিন্ন সভা-সমাবেশেও তাকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে।
ঢাকা/রায়হান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পরিচয় শনাক্তে তোলা হচ্ছে ১১৪ জুলাই শহীদের লাশ
পরিচয় শনাক্ত করতে রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ অজ্ঞাতনামা ১১৪ জনের লাশ তোলা হচ্ছে।
রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লাশ উত্তোলন শুরু করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
আরো পড়ুন:
এনজিওর ৬০০ কোটি টাকা প্রতারণা, সিআইডির অভিযানে তনু গ্রেপ্তার
১০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ, জাহাঙ্গীরের নামে মামলা
ঘটনাস্থল থেকে সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ বলেন, “আনাসের মতো যারা বুকের রক্ত ঢেলে দেশের জন্য রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, তাদের প্রতি আমাদের গভীর শ্রদ্ধা।”
তিনি আরো বলেন, “এই কবরস্থানে যারা নাম-পরিচয়হীন অবস্থায় শুয়ে আছেন, তাদের পরিচয় তখন যাচাই-বাছাই করা হয়নি। তাদের পরিচয় উদঘাটন করা জাতির প্রতি আমাদের একটি দায়িত্ব। আজ সেই মহান কাজের সূচনা হলো।”
জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার (ওএইচসিএইচআর) মাধ্যমে আর্জেন্টিনা থেকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুইস ফন্ডিব্রাইডার ঢাকায় এসে পুরো কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তিনি গত ৪০ বছরে ৬৫টি দেশে এ ধরনের অপারেশন পরিচালনা করেছেন বলে বাসসের খবরে বলা হয়।
সিআইডি’র প্রধান বলেন, “লাশ শনাক্তের জন্য এরইমধ্যে ১০ জন আবেদন করেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এখানে শহীদের সংখ্যা ১১৪ জনের বেশি। প্রকৃত সংখ্যা লাশ উত্তোলনের পর জানা যাবে।”
তিনি আরো বলেন, “সব লাশের পোস্টমর্টেম করা হবে এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে। পরে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করে ধর্মীয় সম্মান বজায় রেখে পুনঃদাফন করা হবে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিচয় শনাক্ত হলে, পরিবার চাইলে লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরো বলেন, “ডিএনএ সংগ্রহের পর, যে কেউ আবেদন করলে সহজেই শনাক্ত করা যাবে। সিআইডির হটলাইন নম্বরগুলো জানিয়ে দেওয়া হবে, যাতে যে কেউ যোগাযোগ করতে পারেন।”
এ সময় ইউনাইটেড নেশনস হাই কমিশনার ফর হিউম্যান রাইটসের (ইউএনএইচআর) সহযোগিতায় আগত আর্জেন্টিনার আন্তর্জাতিক ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুইস ফন্ডিব্রাইডার বলেন, “আমি গত তিন মাস ধরে সিআইডির সঙ্গে কাজ করছি। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।”
ঢাকা/ইভা