রাশিয়ার রাজধানী মস্কোর নিকটবর্তী ইভানোভো অঞ্চলে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের সময় একটি এএন-২২ সামরিক কার্গো বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় বিমানের কোনো আরোহীই জীবিত নেই বলে জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। 

মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে। ওই বিমানে সাতজন আরোহী ছিলেন। খবর এনডিটিভির।

আরো পড়ুন:

ইউরোপীয় নেতাদের ‘দুর্বল’ বলে সমালোচনা করলেন ট্রাম্প

ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা নিয়ে চীন-রাশিয়ার যৌথ মহড়া

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, সাম্প্রতিক সময়ে বিমানটির ইঞ্জিনে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় মেরামতের পর পরীক্ষামূলক উড্ডয়নে (টেস্ট ফ্লাইটে) পাঠানো হয়েছিল। উড্ডয়নের অল্প সময় পরই বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইভানোভো জেলার একটি নির্জন স্থানে আছড়ে পড়ে। মস্কো থেকে এলাকাটির দূরত্ব প্রায় ২০০ কিলোমিটার।

দুর্ঘটনাস্থল জনবসতিহীন হওয়ায় ক্রুদের বাইরে অন্য কারও হতাহতের আশঙ্কা নেই বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

দেশটির তদন্ত কমিটি জানিয়েছে, তারা উড্ডয়ন প্রস্তুতির নিয়মকানুন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।

এই ঘটনার সঙ্গে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কোনো যোগসূত্র রয়েছে বা কিয়েভের জড়িত থাকার কোনো অভিযোগের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে অস্ত্র কারখানার মালিক নুর উদ্দিন গ্রেপ্তার

লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরির কারখানার মালিক নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘোনা থানার গহীন এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

নুর উদ্দিন জেলার চন্দ্রগঞ্জে অবস্থিত নোহা অটো ট্রেডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের মালিক এবং নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের বাসিন্দা। 

মঙ্গলবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) হোসাইন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী। 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের দেওপাড়া গ্রামের নুর উদ্দিনের মালিকানাধীন নোহা অটো ট্রেডার্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের আড়ালে অস্ত্র তৈরি করা হয়। গত ১ ডিসেম্বর গোয়েন্দা পুলিশ ওই কারখানায় অভিযান চালিয়ে একটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ অস্ত্র তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করে। তবে নুর উদ্দিন পালিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় তাকে আসামি করে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করা হয়। পরে গত ৭ ডিসেম্বর চন্দ্রগঞ্জ থানা এলাকা সংলগ্ন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়ারপুর ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামে মুনু মিঝির বাড়ির সফিউল্যার কবরের পাশে ঝোপের ভেতর থেকে পাঁচটি একনলা বন্দুক ও একটি এলজি উদ্ধার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ। ওই অস্ত্রগুলোও নুর উদ্দিনের ওয়ার্কশপে তৈরি করা হয়।

পুলিশ সুপার বলেন, “দ্রুত অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/লিটন/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ