সন্তান জন্মে কেন সি সেকশন দরকার হয়
Published: 10th, December 2025 GMT
প্রশ্ন
আমি ৩৪ বছরের একজন নারী। ৩১ বছর বয়সে সি সেকশনে আমার প্রথম সন্তান হয়েছে। এখন আরেকটি সন্তান নিতে চাচ্ছি। ঠিক কত বছর পর আবার বাচ্চা নেব বুঝতে পারছি না। ভয় লাগছে যে আবার যদি সি সেকশন হয়, তাহলে ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা হবে কি না। আমাকে একটু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবেন।
রুনি, কুমিল্লা।
পরামর্শআপনি উল্লেখ করেছেন, আপনার বয়স এখন ৩৪ বছর, এ বয়সে গর্ভধারণে কোনো অসুবিধা হবে না। সন্তান গ্রহণের জন্য বয়স খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আপনার বয়স যত বাড়তে থাকবে, গর্ভধারণের ক্ষেত্রেও জটিলতার পরিমাণ ততই বাড়তে পারে। তাই পরবর্তী সন্তান নিতে চাইলে আর দেরি করবেন না।
লিখেছেন প্রথম সন্তান সিজারিয়ান পদ্ধতিতে প্রসব হয়েছিল। কিন্তু কেন সিজারিয়ান পদ্ধতির প্রয়োজন হয়েছিল, তা বলেননি। অনেক সময় গর্ভের শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা—দুজনের ক্ষেত্রেই জটিলতা দেখা দিলে সি সেকশনে যেতে হয়। আপনার ক্ষেত্রে কী ধরনের সমস্যা হয়েছিল, উল্লেখ করলে ভালো হতো।
আপনার পরবর্তী সন্তানের ক্ষেত্রেও সিজারিয়ান পদ্ধতির প্রয়োজন হবে কি না, তার আগে জেনে নিতে হবে কেন এই পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়। উল্লেখযোগ্য কারণগুলোর মধ্য রয়েছে—
গর্ভে শিশুর অবস্থান স্বাভাবিক না থাকলে, মায়ের পেলভিস শিশুর আকারের তুলনায় ছোট হলে, প্রসবের সময় শিশুর হৃৎস্পন্দন কমে গেলে কিংবা অক্সিজেনের অভাব হলে। প্রসববেদনা দীর্ঘস্থায়ী হলে বা জরায়ুমুখ ঠিকমতো না খুললেও সি সেকশনে যেতে হতে পারে। অন্তঃসত্ত্বা মায়ের কোনো রোগব্যাধি বা শারীরিক জটিলতা; যেটি প্রসবকে ঝুঁকিপূর্ণ করতে পারে—এমন বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে চিকিৎসক এই পদ্ধতিটি গ্রহণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
তাই আগে থেকেই দুশ্চিন্তা না করে, গর্ভধারণের পর নিয়মিত একজন গাইনি ও ফিটোমেটারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। চিকিত্সকের পরামর্শে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে নিলে আপনার অহেতুক ভাবনা কমে যাবে। যদি গর্ভের শিশুর কোনো ত্রুটি কিংবা স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকে, তা-ও শনাক্ত হবে।
তা ছাড়া যদি স্বাভাবিক প্রসব সম্ভব হয়, সেটিও চিকিৎসকের কাছেই জেনে নিতে পারবেন।
আরও পড়ুনগর্ভকালীন ডায়াবেটিসে মায়ের পাশাপাশি সন্তানের ঝুঁকি তৈরি হয়২৯ নভেম্বর ২০২৫প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানাস্বাস্থ্য জিজ্ঞাসার প্রশ্ন পাঠানো যাবে ই–মেইলে, ডাকে এবং প্র অধুনার ফেসবুক পেজের ইনবক্সে।
ই–মেইল ঠিকানা: [email protected] (সাবজেক্ট হিসেবে লিখুন ‘পাঠকের প্রশ্ন’)
ডাক ঠিকানা : অধুনা, প্রথম আলো, ১৯ কারওয়ান বাজার, ঢাকা ১২১৫। (খামের ওপর লিখুন ‘পাঠকের প্রশ্ন’)
ফেসবুক পেজ: fb.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ ক ৎসক র পর ম সন ত ন আপন র স কশন
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ান বক্স পলিসিতে’ সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন করবে জামায়াতসহ ৮ দল
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ‘ওয়ান বক্স পলিসিতে’ আসন সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ সমঝোতার ভিত্তিতে জোটের পক্ষ থেকে এক আসনে একজন প্রার্থী দেওয়া হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার প্রার্থী বাছাইয়ের কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বৈঠক শেষে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের বলেন, এক আসনে আট দলের মনোনীত একজন প্রার্থী থাকবেন। তাঁরা হবেন দেশপ্রেমী এবং ইসলামী ঐক্যের প্রার্থী। আগামীকাল থেকেই প্রার্থী বাছাই ও চূড়ান্ত করার কাজ শুরু হবে। একই দিনে অনুষ্ঠিত গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের বিজয় নিশ্চিত করতে প্রচার কর্মসূচি চলমান থাকবে।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আরও বলেন, আজকের বৈঠকে পাঁচ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে পর্যালোচনা ও ভবিষ্যতের করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আন্দোলন এখনো চলছে এবং পাঁচ দফা দাবির বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। যদিও গণভোট আগে বাস্তবায়নের দাবি ছিল। কিন্তু একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত বৃহত্তর স্বার্থে মেনে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিয়োজোঁ কমিটির সমন্বয়ক হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচনসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হচ্ছে ‘ওয়ান বক্স পলিসি’ বা সমঝোতার ভিত্তিতে এক আসনে এক প্রার্থী দেওয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁরা ঐকমত্যে পৌঁছতে পারবেন এবং ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এই জোটের অন্য দলগুলো হলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), নেজামে ইসলাম পার্টি, ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।