বলিউড অভিনেতা রণবীর সিংয়ের নতুন সিনেমা ‘ধুরন্ধর’। লাদাখে শুটিং করতে গিয়ে সিনেমাটির শতাধিক ক্রু সদস্য অসুস্থ হয়ে পড়েন, ট্রেইলার মুক্তির পর রণবীরের মারকাটারি উপস্থিতিও আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। ফলে আদিত্য ধর নির্মিত এ সিনেমার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন সিনেমাপ্রেমীরা। অপেক্ষার ইতি টেনে সিনেমাটি নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে হাজির হয়েছেন রণবীর সিং। গত ৫ ডিসেম্বর ৪ হাজার পর্দায় মুক্তি পায় এটি। চলতি বছরে রণবীর সিংয়ের এটিই প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা।   

প্রিয় তারকার সিনেমার জন্য বছরজুড়ে অপেক্ষায় ছিলেন রণবীরের ভক্ত-অনুরাগীরা। বছর শেষে পর্দায় এসে ভক্তদের হতাশ করেননি এই তারকা। চলচ্চিত্র সমালোচক, বক্স অফিস রিপোর্ট অন্তত তেমনই খবর দিয়েছে।   

আরো পড়ুন:

বছর শেষে রণবীরের ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার হালচাল কী?

দীপিকার বোনের বিয়ের ঘটক রণবীর!

দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার রেণুকা ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার রেটিং পাঁচে সাড়ে তিন দিয়েছেন। ‘ধুরন্ধর’ সিনেমাকে ‘শক্তিশালী করাচি মাফিয়া থ্রিলার’ বলেও আখ্যা দিয়েছেন তিনি। তার মতে, “সিনেমাটির প্রধান অভিনেতা রণবীর সিং ‘সংযত কিন্তু জ্বলন্ত’ পারফরম্যান্স করেছেন; যা চলচ্চিত্রের সামগ্রিক প্রভাবকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে। সিনেমাটি প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের হলেও বিরক্তিকর মনে হয়নি। কারণ এতে রয়েছে ‘স্টাইলিশ, নিবিড় গাঁথুনির গল্প। আর নির্মাণশৈলী বিশ্বমানের।”    

হিন্দুস্তান টাইমসের ঋষভ সুরি পাঁচে রেটিং দিয়েছেন ৩। ‘দীর্ঘ কিন্তু উপাদানে ভরপুর স্পাই ড্রামা’ বলে বর্ণনা করেছেন তিনি। রণবীর সিং ও অক্ষয় খান্নার অভিনয়, পাশাপাশি পরিচালক আদিত্য ধরের কাজের প্রশংসা করেছেন। তবে সমালোচক রেণুকার সঙ্গে খানিকটা দ্বিমত পোষণ করেছেন ঋষভ। কারণ চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য অতিরিক্ত ও উপ-কাহিনি কম বলে বর্ণনা করেছেন এই সমালোচক।    

এনডিটিভির রাধিকা শর্মা পাঁচে রেটিং দিয়েছেন ৩। অভিনয়শিল্পীদের পারফরম্যান্স ও সাউন্ডট্র্যাকের প্রশংসা করেছেন তিনি। তবে দ্বিতীয়ার্ধের সমালোচনা করে সিনেমাটিকে ‘একেবারে ভিন্ন আরেকটি চলচ্চিত্রের মতো’ বলে মন্তব্য করেছেন রাধিকা। পিঙ্কভিলার গায়ত্রী নির্মল চলচ্চিত্রটিকে পাঁচে রেটিং দিয়েছেন ৪। তিনি চলচ্চিত্রটির দ্বিতীয়ার্ধ, চিত্রনাট্য, ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোরের প্রশংসা করেছেন। যদিও চলচ্চিত্রটির দৈর্ঘ্য নিয়ে সমালোচনা করেছেন রাধিকা।   

বক্স অফিসে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার শুরুটা মন্দ হয়নি। বলি মুভি রিভিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত বলিউডের ৪৪টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তির প্রথম দিনে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক পাওয়া সিনেমার শীর্ষে রয়েছে ‘ছাবা’ (২৯ কোটি রুপি)। এ তালিকার চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ‘ধুরন্ধর’ সিনেমা। মুক্তির প্রথম দিনে সিনেমাটি আয় করেছে ২৪ কোটি রুপি (নিট), দ্বিতীয় দিনে আয় করেছে ৩০ কোটি রুপি (নিট), তৃতীয় দিনে আয় করে ৩৭ কোটি রুপি (নিট), চতুর্থ দিনে আয় করে ২১ কোটি রুপি (নিট), পঞ্চম দিনে আয় করে ২৪ কোটি রুপি (নিট)। পাঁচ দিনে বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ১৯৭.

৮৮ কোটি রুপি (গ্রস)। বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৬৯ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।       

তবে স্যাকনিল্কের তথ্য অনুসারে, ‘ধুরন্ধর’ সিনেমার আয় খানিকটা বেশি। মুক্তির পাঁচ দিনে শুধু ভারতে আয় করেছে ১৮২.৭৫ কোটি রুপি (গ্রস)। বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির মোট আয় দাঁড়িয়েছে ২২৪.৭৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা)। 

ভারতীয় একজন গুপ্তচরের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রণবীর সিং। পাকিস্তানের লিয়ারি শহরের ভেতরে ঢুকে অপারেশন চালান তিনি। সত্য-মিথের সীমানা মিলিয়ে সিনেমাটিতে উঠে এসেছে বাস্তব চরিত্রও। অক্ষয় খান্না অভিনয় করেছেন আলোচিত গ্যাংস্টার রেহমান ডাকাতের চরিত্রে আর সঞ্জয় দত্তকে দেখা গেছে এসপি চৌধুরী আসলামের ভূমিকায়।   

এ সিনেমায় রণবীর সিংয়ের বিপরীতে অভিনয় করেছেন সারা অর্জুন। এ সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক হয়েছে তার। তাছাড়াও অভিনয় করেছেন—অর্জুন রামপাল, রাজেশ বেদি, আর. মাধবন, মানব গোহিল প্রমুখ। ২৮০ কোটি রুপি বাজেটের এ সিনেমা প্রযোজনা করেছেন আদিত্য ধর, লোকেশ ধর, জ্যোতি দেশপান্ডে।  

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রণব র স চলচ চ ত র চলচ চ ত র রণব র স

এছাড়াও পড়ুন:

নেহার নাচকে কেন ‘অশ্লীল’ বলছেন নেটিজেনরা?

মঞ্চের সামনে অগণিত দর্শক। তাদের আনন্দ ধ্বনিতে মুখরিত চারপাশ। বাহারি আলোর দ্যুতিতে ঝলমলে মঞ্চে পারফর্ম করছেন বলিউডের আলোচিত গায়িকা নেহা কাক্কর।  

তার পরনে শরীরচাপা লেপার্ড-প্রিন্ট আউটফিট। ব্রালেট, ফ্রিঞ্জড মিনি স্কার্ট আর থাই-হাই বুটে আবেদনময়ী নেহা। লম্বা ব্লন্ড ঢেউ খেলানো চুল ঝাঁকিয়ে গানের তালে শরীরি মুভে নেহা যেন স্পষ্টভাবেই পারফরম্যান্সের ‘মুড’ ঠিক করে দিচ্ছেন। 

আরো পড়ুন:

সংসার ভাঙার গুঞ্জনে মুখ খুললেন দিব্যা

পরিচালক বিক্রম ভাট গ্রেপ্তার

গান আর নাচের ফাঁকে নেহা পানির বোতল তুলে নিজের বুকের ওপরে ঢালতে থাকেন। শরীর থেকে গড়িয়ে পড়ছে জল; গান আর নাচও চালিয়ে যাচ্ছেন এই শিল্পী। নেহা কাক্কর তার ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, তাতে এমন দৃশ্য দেখা যায়।  

দিল্লির একটি লাইভ কনসার্টে নেহা কাক্করের পারফরম্যান্স দেখে নেটিজেনদের একাংশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করলেও অন্য অংশ বিরূপ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন। কেউ কেউ বলছেন, “অদম্য নেহা-এনার্জি।” কারো মতে, “মঞ্চে কী দাপট।” আবার বুকের ওপরে জল ঢালার দৃশ্যটিকে কেউ কেউ ‘অশ্লীল’ বলে মন্তব্য করেছেন। স্নেহা লেখেন, “নোংরা।” অন্য একজন লেখেন, “কুৎসিত।” কেউ কেউ তাকে ‘বার ড্যান্সার’ বলেও মন্তব্য করেছেন।  

এখানেই শেষ নয়, প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে একজন লেখেন, “সুরের রানি থেকে এরকম পর্যায় নেমে আসা?”  আবার একজন আক্ষেপ করে লেখেন, “একজন ভালো গায়িকা হিসেবে নিজের ব্যক্তিত্ব নিজেই নষ্ট করছেন নেহা।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে। তবে এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি নেহা। আর এমন বিতর্ক নেহার কাছে নতুন কিছু নয়।  

১৯৮৮ সালের ৬ জুন উত্তর প্রদেশের ঋষিকেশে এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম নেন নেহা কাক্কর। তার বাবা ছিলেন শিঙাড়া বিক্রেতা। বড় বোন সনু কাক্কর ও ভাই টনি কাক্কর উভয়ে সংগীতের সঙ্গে যুক্ত। মাত্র চার বছর বয়স থেকে গান শুরু করেন নেহা। ২০০৫ সালে ইন্ডিয়ান আইডলের মাধ্যমে গায়িকা হিসেবে নজর কাড়েন নেহা।‍

২০০৮ সালে ভাই টনির সঙ্গে মুম্বাই পা রাখেন নেহা। সেই বছরই ‘নেহা দ্য রকস্টার’ নামে তার প্রথম গানের অ্যালবাম মুক্তি পায়। ২০১৩ সালে ‘ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো’সিনেমার ‘ধাতিং নাচ’ গানে প্রথম প্লেব্যাক করেন। ২০১৪ সালে তার ‘সানি সানি’গানটি দারুণ হিট হয়। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একের পর এক তুমুল জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি।

নেহার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে রয়েছে—‘জাদু কা ঝাপ্পি’, ‘টুকুর টুকুর’, ‘ন্যায়না’, ‘মে তেরা বয়ফ্রেন্ড’, ‘দিলবার দিলবার’, ‘কালা চশমা’, ‘আঁখ মারে’, ‘কোকাকোলা’, ‘সাকি সাকি’ প্রভৃতি। 

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘৫ বছরে ভারত-অস্ট্রেলিয়া খেলবে ৩০০ ম্যাচ, আমরা ৫০-৬০টি’
  • নেহার নাচকে কেন ‘অশ্লীল’ বলছেন নেটিজেনরা?
  • বাংলাদেশ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে এগিয়েছে, ওয়ানডেতে সময় প্রয়োজন:
  • সালাহ বললেন, ‘আমাকে বলির পাঁঠা বানানো হচ্ছে’