এনসিপির প্রার্থী তালিকায় নেই রিকশাচালক সুজন
Published: 10th, December 2025 GMT
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রথম ধাপে ১২৫ আসনে প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে সেই তালিকায় নাম নেই ঢাকা-৮ আসন থেকে মনোনয়নপ্রত্যাশী রিকশাচালক সুজনের।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের স্যালুট দিয়ে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টিকারী সুজন এনসিপির হয়ে লড়তে গত ২০ নভেম্বর মনোনয়ন সংগ্রহ করেছিলেন। প্রথম ধাপের প্রার্থী তালিকায় তার নাম না থাকলেও আসনটি ফাঁকা রেখেছে এনসিপি।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার বাংলামোটরে দলের অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে প্রথম ধাপে ১২৫ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে এনসিপি।
মনোনয়ন নেওয়ার পর নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সুজন বলেছিলেন, “এতিমের টাকা মেরে যখন সংসদে দাঁড়ানো যায়, তখন আমি রিকশা চালক হয়ে কেন দাঁড়াতে পারব না? যাত্রাপালায় নেচে যদি সংসদে যাওয়া যায়, তখন রিকশাওয়ালা কেন যেতে পারবে না?”
তিনি বলেছিলেন, জনগণ, রিকশাচালক ও শ্রমজীবী মানুষের পক্ষে কথা বলতে এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি এসেছেন।
এদিকে, ঢাকা-৮ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে মির্জা আব্বাসের নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। অন্যদিকে, একই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়াই করার ঘোষণা দিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি। এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর অ্যাডভোকেট হেলাল উদ্দিনকে মনোনীত করেছিল দলটি। তবে প্রার্থী পরিবর্তন করে ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা ও ডাকসু ভিপি সাদিক কায়েমকে দল সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে।
ঢাকা/রায়হান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রে এইচ–১বি ভিসার জন্য আবেদনকারী ভারতীয়দের নির্ধারিত সাক্ষাৎকার স্থগিত
যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ কর্মী ভিসা (এইচ–১বি) দেওয়ার আগে আবেদনকারীর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টও যাচাই-বাছাইয়ের নতুন নিয়ম চালু করেছে দেশটি। এ কারণে এইচ–১বি ভিসার জন্য আবেদন করা ভারতীয় নাগরিকেরা জটিলতার মধ্যে পড়েছেন। অনেকের সাক্ষাৎকার আগামী বছর পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ভারতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভিসা আবেদনকারীদের জন্য একটি বার্তা দিয়েছে।
বার্তায় বলা হয়, ‘যদি আপনি ভিসা সাক্ষাৎকারের তারিখ পুনর্নির্ধারিত হওয়ার বিষয়ে ই–মেইল পেয়ে থাকেন, তাহলে মিশন ইন্ডিয়া আপনার নতুন সাক্ষাৎকারের তারিখে আপনাকে সহযোগিতা করার অপেক্ষায় আছে।’
দূতাবাস আরও বলেছে, যদি কোনো ভিসা আবেদনকারী নতুন তারিখের নোটিশ পাওয়ার পরও পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎকারের দিনে কনস্যুলেটে আসেন, তাঁকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এইচ-৪ ভিসা দেওয়ার জন্য যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া কঠোর করেছে। আবেদনকারীদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল ‘পাবলিক’ বা সবার জন্য উন্মুক্ত রাখেন।ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেসব সাক্ষাৎকার চলতি বছরের মাঝামাঝি থেকে ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ হওয়ার কথা ছিল, সেগুলো এখন আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঠিক কতগুলো সাক্ষাৎকারের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে, তা সুনির্দিষ্ট করে জানা যায়নি।
প্রসিদ্ধ একটি অভিবাসনবিষয়ক আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের আইনজীবী স্টিভেন ব্রাউন বলেছেন, ‘আমরা যা শুনছিলাম, তা মিশন ইন্ডিয়া আমাদের নিশ্চিত করেছে। তারা আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য নির্ধারিত অনেক সাক্ষাৎকার বাতিল করেছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাচাইয়ের জন্য সেগুলো মার্চ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
দূতাবাস আরও বলেছে, যদি কেউ নতুন তারিখের নোটিশ পাওয়ার পরও আগের নির্ধারিত সাক্ষাৎকারের দিনে কনস্যুলেটে আসেন, তাঁকে ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
যুক্তরাষ্ট্র সরকার এইচ-১বি ভিসা আবেদনকারী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের এইচ-৪ ভিসা দেওয়ার জন্য যাচাই-বাছাইপ্রক্রিয়া কঠোর করেছে। আবেদনকারীদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের অ্যাকাউন্টের প্রোফাইল ‘পাবলিক’ বা সবার জন্য উন্মুক্ত রাখেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের নতুন নিয়মটি হলো, এইচ–১বি ভিসাপ্রক্রিয়ার ওপর সাম্প্রতিক নজরদারির আরেকটি ধাপ। এইচ–১বি কর্মসূচিটি দক্ষ বিদেশি কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের প্রধান পথ হিসেবে পরিচিত। এ কর্মসূচি এখন ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর চাপের মধ্যে আছে।কর্মকর্তারা ১৫ ডিসেম্বর থেকে তাঁদের অনলাইন উপস্থিতি যাচাই-বাছাই শুরু করেছেন। আবেদনকারীদের কেউ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা বা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি হতে পারে কি না, তা চিহ্নিত করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের নতুন নিয়মটি হলো এইচ–১বি ভিসাপ্রক্রিয়ার ওপর সাম্প্রতিক নজরদারির আরেকটি ধাপ। এইচ–১বি কর্মসূচিটি দক্ষ বিদেশি কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসনের প্রধান পথ হিসেবে পরিচিত। এ কর্মসূচি এখন ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর চাপের মধ্যে আছে।
আরও পড়ুনএইচ–১বি বাতিলের পথে যুক্তরাষ্ট্র: প্রযুক্তি খাতে পরিবর্তনের শঙ্কা২২ নভেম্বর ২০২৫গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন এইচ–১বি দক্ষ কর্মী ভিসার ওপর এককালীন ১ লাখ ডলার ফি আরোপ করেন, যা যুক্তরাষ্ট্রে অস্থায়ী কাজে যেতে চাওয়া ভারতীয় কর্মীদের ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল গার্ড সদস্যদের গুলি করার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে আফগান নাগরিককে গ্রেপ্তার করার পর যুক্তরাষ্ট্র তালিকাভুক্ত ১৯টি দেশ থেকে গ্রিন কার্ড, নাগরিকত্ব ও অন্যান্য অভিবাসন আবেদন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
আরও পড়ুনদক্ষ কর্মী ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে গেলে বছরে ১ লাখ ডলার ফি দিতে হবে২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫