আমি তখন তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ি। আমার আব্বু ছিলেন বন কর্মকর্তা। সে সময় সুন্দরবনের বগী বা শরণখোলা ফরেস্ট অফিসে ছিল তাঁর পোস্টিং। কোনো এক ছুটিতে সেখানে বেড়াতে গেছি। সারা দিন গল্পের বই পড়ি আর খেলাধুলা করি।

একদিন আব্বুর অফিসরুমে ডাক পড়ল। গিয়ে দেখি কেউ একজন বসে আছেন।

আমার হাতে একটা বই তুলে দিয়ে আব্বু বললেন, ‘তোমার এই আঙ্কেল একজন মুক্তিযোদ্ধা। সুন্দরবনে মুক্তিযুদ্ধের সময়ের ঘটনা নিয়ে এই বই লিখেছেন। নাও, বইটা তুমি পোড়ো।’

তখনো মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে আমার জানাবোঝা খুব একটা বেশি ছিল না। ছোটদের জন্য লেখা মুক্তিযুদ্ধের বই-ই শুধু পড়েছি। সেদিন হাতে এল ‘মুক্তিযুদ্ধে সুন্দরবনের সেই উন্মাতাল দিনগুলি’। স্মৃতিকথামূলক বইটি আমার ওই বয়সের জন্য বেশ কঠিন ছিল। তারপরও কিসের আকর্ষণে জানি না একটানে বইটা পড়ে ফেললাম। সবকিছু বুঝিনি, তবু পড়েছি।

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে ৯ নম্বর সেক্টরে হাঁটু পানির মধ্য দিয়ে অস্ত্র নিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন মুক্তিযোদ্ধারা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘ওয়ান বক্স পলিসিতে’ সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন করবে জামায়াতসহ ৮ দল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ আটটি দল আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ‘ওয়ান বক্স পলিসিতে’ আসন সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ সমঝোতার ভিত্তিতে জোটের পক্ষ থেকে এক আসনে একজন প্রার্থী দেওয়া হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার প্রার্থী বাছাইয়ের কার্যক্রম শুরু হবে।

আজ সোমবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বৈঠক শেষে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের বলেন, এক আসনে আট দলের মনোনীত একজন প্রার্থী থাকবেন। তাঁরা হবেন দেশপ্রেমী এবং ইসলামী ঐক্যের প্রার্থী। আগামীকাল থেকেই প্রার্থী বাছাই ও চূড়ান্ত করার কাজ শুরু হবে। একই দিনে অনুষ্ঠিত গণভোটে ‘হ্যাঁ’ ভোটের বিজয় নিশ্চিত করতে প্রচার কর্মসূচি চলমান থাকবে।

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আরও বলেন, আজকের বৈঠকে পাঁচ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলনের বিষয়ে পর্যালোচনা ও ভবিষ্যতের করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আন্দোলন এখনো চলছে এবং পাঁচ দফা দাবির বাস্তবায়ন এখনো হয়নি। যদিও গণভোট আগে বাস্তবায়নের দাবি ছিল। কিন্তু একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত বৃহত্তর স্বার্থে মেনে নেওয়া হয়েছে।

এদিকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে লিয়োজোঁ কমিটির সমন্বয়ক হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, জোটের পক্ষ থেকে নির্বাচনসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হচ্ছে ‘ওয়ান বক্স পলিসি’ বা সমঝোতার ভিত্তিতে এক আসনে এক প্রার্থী দেওয়া। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁরা ঐকমত্যে পৌঁছতে পারবেন এবং ৩০০ আসনে প্রার্থী দিতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এই জোটের অন্য দলগুলো হলো ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), নেজামে ইসলাম পার্টি, ডেভেলপমেন্ট পার্টি ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারো বন্দুক হামলা, শিক্ষার্থী নিহত
  • বিমানবিধ্বংসী কামান থেকে বের হচ্ছিল সাদা ধোঁয়ার কুণ্ডলী
  • রাশিয়ার সাথে যৌথভাবে অস্ত্র তৈরিতে ভারতের উৎপাদনকারীদের গোপন বৈঠক
  • বন্ধন বিশ্বাসের ‘সিক্রেট’-এ অপু-আদর
  • শ্রমিক থেকে ‘বীজ সুলতান’ রফিক
  • ধুরন্ধর ঝড়: কে কত টাকা পারিশ্রমিক নিলেন?
  • স্বপ্নের উড়াল যাত্রা, অস্ট্রেলিয়ার পথে রিশাদ
  • ‘ওয়ান বক্স পলিসিতে’ সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচন করবে জামায়াতসহ ৮ দল
  • সুন্দরবন থেকে ৭ জেলেকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি