ক্যাম্প ন্যুর আলো ঝলমলে গ্যালারির সামনে যেন নতুন করে প্রাণ ফিরে পেল বার্সেলোনা। ম্যাচের প্রথমার্ধের হতাশা ভুলে দ্বিতীয়ার্ধে যে বার্সাকে দেখা গেল, তা ছিল পুরোনো পরিচিত কাতালান ছন্দ। মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে জুলেস কুন্দের মাথা থেকে আসা দুই ঝলমলে গোলই শেষ পর্যন্ত বার্সাকে ফিরিয়ে দিল চ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট স্বপ্নের দৌড়ে।

চ্যাম্পিয়নস লিগে আইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের বিপক্ষে ম্যাচ শুরুর পরই বার্সা বুঝে যায়, রাতটি সহজ হবে না। ২১ মিনিটে নাথানিয়েল ব্রাউনের দৌড় ও নিখুঁত পাসে আনসগার ক্নাউফ গোল করে ফ্রাঙ্কফুর্টকে এগিয়ে দেন। গোলের আগে রবার্ট লেভানডভস্কির একটি দারুণ ফিনিশ অফসাইডের কারণে বাতিল হওয়ায় আরও আক্ষেপ বাড়ে বার্সা সমর্থকদের।

আরো পড়ুন:

প্রতিটি অর্ধেই বাধ্যতামূলক পানি পানের বিরতি

বেগম রোকেয়া পদকে সম্মানিত ঋতুপর্ণা চাকমা

প্রথমার্ধ জুড়েই আক্রমণ চালিয়েছে হ্যান্সি ফ্লিকের দল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে জালের দেখা পাননি লাল–নীল জার্সিধারীরা। বরং বিরতির ঠিক আগে ক্নাউফ আরেকটি সুযোগ তৈরি করেছিলেন, যা থেকে অল্পের জন্য বেঁচে যায় বার্সা।

বিরতির পর ম্যাচের গল্প একেবারেই বদলে দেয় ফ্লিকের পরিবর্তন। মাঠে নামার পরই খেলায় গতি ফেরান মার্কাস র‍্যাশফোর্ড। তার নিখুঁত ক্রস থেকে ৫০ মিনিটে দুর্দান্ত হেডে সমতা ফেরান কুন্দে। মাত্র তিন মিনিট পর লামিন ইয়ামালের তৈরি করা আরেকটি দারুণ বল থেকে আবারও মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন ফরাসি ডিফেন্ডার। পরপর দুই গোলেই ম্যাচ পুরোপুরি চলে আসে বার্সার নিয়ন্ত্রণে।

এরপর ইয়ামাল নিজেও গোলের কাছাকাছি গিয়েছিলেন, কিন্তু তার শট অল্পের জন্য পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়। তরুণ এই উইঙ্গারের চাঞ্চল্যেই বার্সা দ্বিতীয়ার্ধে আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে।

শেষ পর্যন্ত কুন্দের জোড়া গোলের সুবাদে বার্সেলোনা ঘরে তোলে মূল্যবান তিন পয়েন্ট। এই জয়ে জমাট টেবিলে বার্সা নিজেদের শক্ত অবস্থানে ফিরিয়ে নিল, আবারও উজ্জ্বল হলো নকআউট পর্বে পৌঁছানোর আশা। 

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল চ য ম প য়নস ল গ

এছাড়াও পড়ুন:

এই সিনেমা শুধু শিশুদের জন্য নয়

সিডনির এডমন্ডসন পার্কের ইডি স্কয়ারে শনিবার সন্ধ্যায় যেন সিনেমা হলে ঢোকার আগেই গল্প শুরু হয়ে যায়। প্রবেশপথের সামনে উপচে পড়া ভিড়, শিশুদের হাতে রঙিন পপকর্নের বাক্স, গোলাপি আর হালকা সবুজ রঙের পোশাকে সাজানো দর্শক—সব মিলিয়ে স্পষ্ট বোঝা যায়, আজকের সন্ধ্যাটা আর দশটা মুভি নাইটের মতো নয়। ‘উইকেড: ফর গুড’ দেখতে আসা দর্শকেরা যেন ইচ্ছাকৃতভাবেই সিনেমার জগৎটাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন বাস্তব জীবনে। মনে হচ্ছিল, হলে ঢোকার আগেই সবাই ঢুকে পড়েছে এক রঙিন রূপকথার আবহে।
এই ছবি দেখার ব্যাপারে কয়েক দিন ধরেই মেয়ের আবদার চলছিল। সময় আর টিকিট—দুটোর সমন্বয় হচ্ছিল না। অবশেষে শনিবার সন্ধ্যায় সেই অপেক্ষার ইতি হলো। স্ত্রী আর দুই সন্তান—জারা ও জোহানকে নিয়ে সিনেমা হলে ঢোকার সময় টের পেলাম, আমরা শুধু একটি ছবি দেখতে যাচ্ছি না; বরং পরিবার নিয়ে ভাগ করে নেওয়ার মতো একটি অভিজ্ঞতার দিকে এগোচ্ছি। আলোঝলমলে লবি, চারপাশে ভেসে বেড়ানো পরিচিত মিউজিক্যাল সুর, আর শিশুদের চোখে খাঁটি উচ্ছ্বাস—সব মিলিয়ে ছবির শুরু হওয়ার অনেক আগেই তৈরি হয়ে যায় আলাদা এক আবহ। মনে হচ্ছিল, পর্দায় গল্প শুরু হওয়ার আগেই আমরা তার ভেতরে ঢুকে পড়েছি।

ব্রডওয়ের জনপ্রিয় মিউজিক্যাল ‘উইকেড’ অবলম্বনে নির্মিত প্রথম সিনেমার সিকুয়েল ‘উইকেড: ফর গুড’। প্রথম ছবির সাফল্যের পর প্রত্যাশার চাপ ছিল স্বাভাবিকভাবেই প্রবল। পরিচালক জন এম চু এবার সেই চাপ সামলাতে গিয়ে রঙিন জাঁকজমকের পাশাপাশি গল্পের আবেগময় স্তরটিকে আরও গভীর করেছেন। আগের পর্বের দৃশ্যবৈভব আর উজ্জ্বলতার ঝলক এখানে কিছুটা সংযত হলেও সম্পর্ক, দ্বন্দ্ব আর বিশ্বাসঘাতকতার সূক্ষ্ম টানাপোড়েনে এই পর্বটি আলাদা মাত্রা পায়।

আলোঝলমলে লবি, চারপাশে ভেসে বেড়ানো পরিচিত মিউজিক্যাল সুর, আর শিশুদের চোখে খাঁটি উচ্ছ্বাস—সব মিলিয়ে ছবির শুরু হওয়ার অনেক আগেই তৈরি হয়ে যায় আলাদা এক আবহ। মনে হচ্ছিল, পর্দায় গল্প শুরু হওয়ার আগেই আমরা তার ভেতরে ঢুকে পড়েছি।‘উইকেড : ফর গুড’–এর দৃশ্য। আইএমডিবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এই সিনেমা শুধু শিশুদের জন্য নয়