শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও সীমান্ত দিয়ে ছয় বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)-এর কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাদের ফেরত দেওয়া হয়।

ফেরত আসা মৎস্যজীবীরা কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার বাসিন্দা। তারা হলেন- আবুল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়া (৩৫), বাহাদুর মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়া (৪৫), ঈসহাক আলীর ছেলে মীর জাফর আলী (৪৫), ইছাক আলীর ছে‌লে বকুল মিয়া (৩২), ফকির আলীর ছেলে আমের আলী (৩৫) ও সলিমুদ্দিন বেপারীর ছে‌লে চাঁন মিয়া (৬০)।

আরো পড়ুন:

ভারতের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের হুমকি দিলেন ট্রাম্প

প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের জন্য নগদ অর্থের পাহাড়!

বিজিবি ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৪ নভেম্বর জিঞ্জিরাম নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে ভুলক্রমে সীমান্ত অতিক্রম করে জেলেরা ভারতে প্রবেশ করেন। সেখানে পুলিশ ও বিএসএফ তাদের আটক করে। পরে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে আটককৃত জেলেরা ১৩ মাস সাজা ভোগ করেন। সাজা শেষ হওয়ায় বিএসএফ বিজিবির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের ফেরত দেওয়ার উদ্যোগ নেয়।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শেরপুর ৩৯ বিজিবি এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকার হাতিপাগার বিজিবি কোয়ার্টার মাস্টার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ভারতের কিল্লাপাড়া বিএসএফ ক্যাম্পের সঙ্গে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে বিএসএফ ছয় বাংলাদেশি নাগরিককে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এ সময় নালিতাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

নালিতাবাড়ী থানার ওসি মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, “আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর ফেরত আসা ব্যক্তিদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/তারিকুল/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সীমান্তে শেষবারের মতো বাংলাদেশি মায়ের মুখ দেখলেন ভারতীয় মেয়ে

বাংলাদেশি এক নারীর মৃত্যুর পর তাঁর ভারতীয় মেয়ের অনুরোধে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তের শূন্যরেখায় লাশ দেখার সুযোগ করে দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।

বিজিবি জানায়, গতকাল সোমবার রাতে বার্ধক্যের কারণে মারা যান বাংলাদেশি তারা বানু (৮০)। খবর পেয়ে ভারতের মালদা জেলার দুইশতবিঘি গ্রামের বাসিন্দা মেয়ে মালেকা বেগম বিএসএফের মাধ্যমে লাশ দেখার আবেদন করেন বিজিবির কাছে। বিষয়টি জানার পর মানবিক বিবেচনায় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫৯ বিজিবি। আজ মঙ্গলবার সকালে শিবগঞ্জ সীমান্তের কিরণগঞ্জ সীমান্ত ফাঁড়ি এলাকার সীমান্ত পিলার ১৭৯/৩–এস–এর শূন্যরেখায় বিজিবি ও বিএসএফের উপস্থিতিতে স্বজনদের লাশ দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়।

শূন্যরেখায় মায়ের মুখ দেখে আবেগে ভেঙে পড়েন মেয়ে মালেকা বেগম। আত্মীয়েরা শেষবারের মতো লাশ দেখার এমন সুযোগ পেয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।

তারা বানুর ছেলে কুরবান আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছোট বোনটাক শেষবারের মতো মায়ের মুখখান দেখাইতে পারনু। নাহিলে সারা জীবনের লাইগ্যা আফসোস থাইক্যা যাইতোক অরও, হামারও। বোনটার সাথে ভগ্নিপতি, দুই ভাগনি, ভাগনিজামাইসহ ১৫–১৬ জন আত্মীয় আইস্যাছিল। কাঁটাতারের বেড়ার আগে অবাধে যাওয়া–আসা ছিল। মাত্র তো দুই শ গজ দূরের গাঁ। এপারের অনেক মেয়ের যেমন ওপারে বিয়ে হয়েছে, তেমনি ওপারের অনেক মেয়ে এপারে আছে। হামি বিজিবি–বিএসএফের কাছে কৃতজ্ঞ।’

এর আগে গত শুক্রবার একই সীমান্তে ভারতীয় মৃত বোনের মুখ দেখার সুযোগ পেয়েছিলেন বাংলাদেশি ভাই।

৫৯ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিজিবি সব সময় মানবিক প্রয়োজনে সহানুভূতিশীল ভূমিকা পালন করবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সীমান্তে শেষবারের মতো বাংলাদেশি মায়ের মুখ দেখলেন ভারতীয় মেয়ে