‘আমরা ভোটের পরিবেশ নিশ্চিতে কাজ করছি’
Published: 12th, December 2025 GMT
পাবনার নবাগত পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার জাহিদ বলেছেন, “পুলিশ যে সুশৃঙ্খল ও সুশিক্ষিত সেটা আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনে সেটা প্রকাশ পাবে। সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মক অবস্থানে থাকবে। যারা স্বপ্ন দেখছেন ভোট দেবেন, আমরা সে পরিবেশ নিশ্চিত করতে কাজ করছি। যে কোন ধরনের নাশকতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সর্বদা সজাগ আছি এবং থাকব।”
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় পাবনা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার।
ক্লাবের সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ইয়াদ আলী মৃধা পাভেলের সঞ্চালনায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য দেন, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ প্রফেসর শিবজিত নাগ, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) মশিউর রহমান মন্ডল, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এবিএম ফজলুর রহমান ও সাবেক সম্পাদক আঁখিনুর ইসলাম রেমন।
মতবিনিময় সভায় নবাগত পুলিশ সুপার মো.
এসময় কিশোর গ্যাং, মাদক, ছিনতাই, সন্ত্রাসীসহ নানা অপরাধ ও আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থী নানা অপরাধ ও কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় বক্তারা পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “দল দাস হবেন না। পূর্ববর্তী শিক্ষা নিয়ে পুলিশ বাহিনীকে সামনে আগাতে হবে। নিরপেক্ষতা বজায় রেখে আপনাদের উপর অর্পিত আইন শৃঙ্খলা দমন ও জনগণের জানমাল হেফাজতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবেন।”
মতবিনিময় সভায় স্থানীয় দৈনিকসহ জাতীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/শাহীন/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
‘১০ বছর ধরে অপেক্ষা করছি, মৃত্যুর আগে ছেলেকে ফেরত চাই’
‘আমার ছেলেকে আমার সামনে থেকে ১০ বছর আগে তুলে নিয়ে যায় একটি বাহিনী। এরপর ১০ বছর ধরে ছেলের জন্য অপেক্ষা করে আছি। কেউ সন্ধান দিতে পারেনি। মামলাও নেয়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ আমি শয্যাশায়ী। মৃত্যুর আগে ছেলেকে ফিরে পেতে চাই। ছেলেকে যারা গুম করেছে, তাদের বিচার দেখে যেতে চাই।’
ফেনীতে আজ বুধবার দুপুরে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের আলোচনা সভায় গুমের শিকার যুবদল নেতা মাহবুবুর রহমান রিপনের মা রওশন আরা বেগম এ কথা বলেন। বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের ফেনী ইউনিটের আয়োজনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এ কে এম আবদুর রহিমের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধিকারের সংগঠক শাহজালাল ভূঁইয়া। অধিকারের কর্মী আবদুস সালাম ফরায়জীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ফেনী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রবিউল হক, মুহাম্মদ আবু তাহের ভূঁইয়া, সুজনের ফেনী শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন, বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় মহাসচিব মহি উদ্দিন খোন্দকার, জাসাস ফেনী শাখার সভাপতি সাংস্কৃতিক সংগঠক কাজি ইকবাল আহমেদ, প্রথম আলোর ফেনী প্রতিনিধি নাজমুল হক, ফেনী বন্ধুসভার উপদেষ্টা শেখ নুর উদ্দিন চৌধুরী।
অধিকারের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন শাহজালাল ভূঁইয়া। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ছাত্র জনতা একটি রক্তাক্ত গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে কর্তৃত্ববাদী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশের জনগণের রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি করেছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো, এখনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ গুমের ঘটনা বর্তমানে বন্ধ হলেও বিচারবহির্ভূত হত্যা ও হেফাজতে নির্যাতন এখনো চলছে।
শাহজালাল ভূঁইয়া বলেন, অনলাইনে নারীদের ওপর বিভিন্ন মহল থেকে হয়রানিসহ বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা অব্যাহত আছে। এ ছাড়া আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি করতে না পারায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চলছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে গণপিটুনি দিয়ে মানুষ হত্যার ঘটনা বৃদ্ধি এবং আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা ব্যাপক আকার ধারণ করেছে।