পটিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের নাম বলতেই চট্টগ্রাম শহর থেকে ছেড়ে আসা বাসটি একেবারে স্কুলের ফটকে নামিয়ে দিল। ফটকে ধাতব ফলকে বড় করে বিদ্যালয়ের নাম লেখা। সেদিক দিয়ে ঢুকতেই সাবেকি আমলের টিনের ছাউনির একটা বাংলো প্যাটার্নের ঘর। টানা বারান্দার এক কোণের দেয়ালে শোভা পাচ্ছে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া বিদ্যালয়টির প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নাম। পাশেই শহীদদের তালিকা। এসব দেখতে দেখতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কক্ষে এসে পড়ি। সেখানে দুটি বড় সাদা বোর্ডে বিদ্যালয়ের কীর্তিমান ছাত্রদের নাম। তালিকায় চোখ বোলাতে বোলাতে বিস্ময় জাগে। দেশ–বিদেশে আলো ছড়ানো সব কীর্তিমান যেন এক জায়গায় জড়ো হয়েছেন।

বিশদে না গিয়ে কেবল কয়েকটা নাম বললেই বোঝা যাবে বিষয়টি। প্রথম ভারতীয় তিব্বতজয়ী ইতিহাসবিদ শরৎচন্দ্র দাশ, কংগ্রেস নেতা ও ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রামে অনন্য ভূমিকা রাখা যাত্রামোহন সেন, কবি ও ম্যাজিস্ট্রেট নবীনচন্দ্র দাশ, সাহিত্য বিশ্লেষক ও রবীন্দ্রনাথের স্নেহধন্য শশাঙ্ক মোহন সেন, পুঁথি সংগ্রহক ও বাংলা সাহিত্যের অনন্য বিশ্লেষক মুন্সি আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, গণিতবিদ কামিনী কুমার দে, অবিভক্ত বাংলার খাদ্যমন্ত্রী খান বাহাদুর জালাল উদ্দিন আহমদ কিংবা গবেষক ড.

আহমেদ শরিফের নাম রয়েছে সেখানে। বিদ্যালয়ের কীর্তিমানদের তালিকা বা ইংরেজিতে যাকে বলে ‘হল অব ফেইম’ তার খুবই ছোট অংশ এটি।

চট্টগ্রাম শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে নাগরিক সুযোগ–সুবিধার বাইরে পটিয়া উপজেলা সদরে শত কীর্তিমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পটিয়া আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়। ১৮০ বছরের পুরোনো এই বিদ্যালয় সরকারি নয়। অনেক আবেদন–নিবেদন করে বিদ্যালয়ের ১৫ জন শিক্ষক এমপিওভুক্ত হয়েছেন। তবে তাতে এই শিক্ষায়তনের মাহাত্ম্য কিছুমাত্র কমেনি। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের কয়েকজন এর কারণও জানালেন, শিক্ষকদের নিরলস চেষ্টা, সমৃদ্ধ পাঠাগার আর নিয়মনিষ্ঠার কারণেই এমন সাফল্য এসেছে। বিদ্যালয়টি হয়ে উঠেছে সত্যিকারের একটি জ্ঞানচর্চা কেন্দ্র।

১৮০ বছরের পুরোনো মাটির তৈরি ভবনের একটি কক্ষ। এক সময় শ্রেণিকক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও এখন সেটি বিদ্যালয়ের হলঘর। সম্প্রতি চট্টগ্রামের পটিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্তের আহ্বান সিপিজের

খাগড়াছড়িতে সাংবাদিক মিলন ত্রিপুরার ওপর হামলার অভিযোগ তদন্ত করতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সাংবাদিকদের অধিকার রক্ষায় সোচ্চার বৈশ্বিক সংগঠন কমিটি টু প্রোটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)। দোষীদের অবশ্যই শাস্তির আওতায় আনতে হবে বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার সিপিজের এক টুইটে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডিবিসি নিউজের প্রতিনিধি মিলন ত্রিপুরা ১৭ জুলাই একটি বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁকে মারধর করেন ও ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ মুছে ফেলতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ