Prothomalo:
2025-12-13@16:40:06 GMT

পার্টি আর নির্ঘুম রাতের শহর

Published: 11th, January 2025 GMT

বাহারি পোশাকে আনন্দ–উল্লাস করছে তরুণ–তরুণীর দল। রাতভর চলছে তাঁদের উদ্‌যাপন। দিনে নয়; রাতেই বরং শহরটি বেশি প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। সব শুনে মনে হতে পারে ইউরোপ অথবা আমেরিকার কোনো শহর হবে হয়তো। কিন্তু রাতভর পার্টি আর নির্ঘুম রাতের এই শহরের অবস্থান আফ্রিকায়। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার সবচেয়ে বড় এ শহরের নাম লাগোস।

শীতকালে বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় একটি স্থান হয়ে উঠছে লাগোস। উৎসব, সৈকতে পার্টির পাশাপাশি ফ্যাশন অনুষঙ্গ যুক্ত হয়ে দিন দিন লাগোস হয়ে উঠেছে উদ্‌যাপনের এক নগরী। বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির প্রথমার্ধে পর্যটকদের যেন ঢল নামে সেখানে। এ সময়কাল ‘ডেটি ডিসেম্বর’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

লাগোসে অনুষ্ঠান আর আয়োজন সব সময় লেগেই থাকে। এসব অনুষ্ঠানে আফ্রিকার প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীদের পাশাপাশি হামেশাই বিভিন্ন দেশ থেকে শিল্পীরা যোগ দেন। শুধু বদ্ধ জায়গাতেই থেমে থাকে না এ উৎসব-উদ্‌যাপন। ডিসেম্বর এলেই দেখা যায়, শহরটির সড়কগুলোতে রঙিন পোশাকে গান ও নানা বাদ্যযন্ত্রের তালে হাজারো মানুষ আনন্দ–উল্লাস করছেন।

নাইজেরিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন সিনথিয়া এনিওলা। তবে ডিসেম্বর এলেই পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হতে তিনি ছুটে যান লাগোসে। সিনথিয়া বলেন, ‘জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়া আমার কাছে সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ডিসেম্বরে। কারণ, এই সময়ে সেখানে প্রত্যেকেই নানা উৎসব আয়োজনে যোগ দেন। এমন কোনো মানুষ পাওয়া যায় না, যাঁরা উৎসবে যুক্ত হন না।’

শুধু পশ্চিমা দেশগুলোর পর্যটক বা প্রবাসী নাইজেরিয়ানরাই নন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মানুষের একটি অন্যতম পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে লাগোস। জিনিসপত্রের দাম কম ও থাকা–খাওয়ার খরচ কম হওয়ায় লাগোসে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের আগ্রহও বেশি।

ডেটি ডিসেম্বর এখন আর কোনো মামুলি উৎসবের মৌসুমে আটকে নেই। সমাজের সব স্তরের মানুষের কাছে আফ্রিকার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে দিনযাপনের সুযোগ করে দিয়েছে লাগোস।

লাগোসের উদ্‌যাপনের নগরী হয়ে ওঠার নেপথ্যে নাইজেরিয়ার জনমিতির বিষয়টিও আলোচনায় আসছে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) দেওয়া হিসাবে, দেশটির মোট জনসংখ্যার ৩ ভাগের ২ ভাগের বয়স ২৫ বছরের কম। যেসব দেশে তরুণদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, তার একটি হলো নাইজেরিয়া।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৪৪ নং সনমান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন

একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শতবর্ষ পূর্তি মানে শুধু সময়ের হিসাব নয়,এটি প্রজন্মের পর প্রজন্মকে আলোকিত করার এক দীর্ঘ ইতিহাস। সেই ইতিহাসের গৌরবময় একশ বছর পূর্ণ করল ৪৪ নং সনমান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এ উপলক্ষে বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জনাব রোকসানা বেগমের নেতৃত্বে, সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের অংশগ্রহণে উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হলো বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উৎসব।

বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বের করা হয় একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি। ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে শতাধিক শিক্ষার্থী সারিবদ্ধভাবে অংশ নেয়। বিদ্যালয়ের আশপাশের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে র‌্যালিটি পুনরায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে ভেসে ওঠা শিক্ষা, শৃঙ্খলা ও ভবিষ্যৎ গড়ার প্রত্যয়দীপ্ত স্লোগান পুরো এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে দেয় উৎসবের আবহ। র‌্যালি শেষে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ফজিলা ইয়াসমিন। তিনি বিদ্যালয়ের শুরুর দিনের স্মৃতি স্মরণ করে বলেন, “এই বিদ্যালয় শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়—এটি এই এলাকার স্বপ্নের ঠিকানা। এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে অসংখ্য শিক্ষার্থী সমাজের নানা ক্ষেত্রে আলোকবর্তিকা হয়ে উঠেছে।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক রোকসানা বেগম, আজমিনা খাতুন, নুরজাহান আক্তার রত্না, শায়লা শারমিন, গোলাম হোসেন ও মফিজুল ইসলাম সহ স্কুল অ্যাডহক কমিটির সদস্য সাইমুম ইসলাম,প্রাক্তন শিক্ষার্থী  ইয়াসমিন আক্তার ও খাদিমুন্নাহার।এছাড়াও বিপুলসংখ্যক অভিভাবক অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

পরে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। গান, নৃত্য ও আবৃত্তিতে ফুটে ওঠে শিক্ষা, দেশপ্রেম, শৈশব ও আগামীর স্বপ্ন। শিক্ষার্থীদের পরিবেশনা উপভোগ করেন অতিথি, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা। অভিভাবকদের মুখে দেখা যায় গর্বের ঝিলিক।

বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রোকসানা বেগম বলেন, ১৯২৫ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয় একশ বছরের দীর্ঘ পথচলা অতিক্রম করেছে। এই পথচলা আমাদের জন্য যেমন গর্বের, তেমনি দায়িত্বেরও। প্রজন্মের পর প্রজন্মকে আলোকিত করার যে দায়িত্ব আমরা বহন করে আসছি, তা আরও নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।

শিক্ষার্থীদের মেধা, মনন ও মূল্যবোধ গঠনে আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি মানবিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শতবর্ষের এই শিক্ষা ঐতিহ্য আগামী প্রজন্মের জন্য আলোর বাতিঘর হয়ে থাকবে।

বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, শতবর্ষ ধরে সনমান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এ অঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষার ভিত গড়ে তুলেছে। ভবিষ্যতেও মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে আধুনিক পাঠদান, সহশিক্ষা কার্যক্রম, খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা আরও জোরদার করা হবে।

অভিভাবকরা আলোচনায় বলেন, এই বিদ্যালয় থেকেই শিক্ষা নিয়ে এলাকার বহু শিক্ষার্থী আজ ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা ও সফল উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।

শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মিলিত অংশগ্রহণে শতবর্ষ পূর্তির এই উৎসব পরিণত হয় এক স্মরণীয় মিলনমেলায়। দীর্ঘ পথচলার গর্ব হৃদয়ে ধারণ করে নতুন শতকে আরও এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে শেষ হয় ৪৪ নং সনমান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ উদযাপন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গণ বিশ্ববিদ্যালয় ও এআইইউবির ফাইনালে ওঠার উৎসব
  • খুলনার সেই গল্প এবার যাচ্ছে ইউরোপে
  • জেদ্দায় ১ কোটি ২২ লাখ টাকা জিতল রোহিঙ্গাদের গল্প নিয়ে নির্মিত সেই সিনেমা
  • গুলশানে বসেছে গ্রামের পৌষ উৎসব
  • নিজেদের ভাষা বাঁচানোর লড়াই করা ম্রো শিশুরা ঢাকায় আসছে
  • বেরোবিতে বিআরইউডিএফের আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক উৎসব
  • স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে ইউএনওকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ, পরে নিজেই বিপাকে
  • মেসির দেখা পেতে কলকাতায় আসছেন শাহরুখ
  • ৪৪ নং সনমান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন
  • বিজয় দিবসে উপলক্ষে তিন দিনের নাট্যোৎসব আয়োজন করছে ডাকসু