Prothomalo:
2025-11-02@23:37:02 GMT

পার্টি আর নির্ঘুম রাতের শহর

Published: 11th, January 2025 GMT

বাহারি পোশাকে আনন্দ–উল্লাস করছে তরুণ–তরুণীর দল। রাতভর চলছে তাঁদের উদ্‌যাপন। দিনে নয়; রাতেই বরং শহরটি বেশি প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। সব শুনে মনে হতে পারে ইউরোপ অথবা আমেরিকার কোনো শহর হবে হয়তো। কিন্তু রাতভর পার্টি আর নির্ঘুম রাতের এই শহরের অবস্থান আফ্রিকায়। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়ার সবচেয়ে বড় এ শহরের নাম লাগোস।

শীতকালে বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় একটি স্থান হয়ে উঠছে লাগোস। উৎসব, সৈকতে পার্টির পাশাপাশি ফ্যাশন অনুষঙ্গ যুক্ত হয়ে দিন দিন লাগোস হয়ে উঠেছে উদ্‌যাপনের এক নগরী। বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির প্রথমার্ধে পর্যটকদের যেন ঢল নামে সেখানে। এ সময়কাল ‘ডেটি ডিসেম্বর’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।

লাগোসে অনুষ্ঠান আর আয়োজন সব সময় লেগেই থাকে। এসব অনুষ্ঠানে আফ্রিকার প্রখ্যাত সংগীতশিল্পীদের পাশাপাশি হামেশাই বিভিন্ন দেশ থেকে শিল্পীরা যোগ দেন। শুধু বদ্ধ জায়গাতেই থেমে থাকে না এ উৎসব-উদ্‌যাপন। ডিসেম্বর এলেই দেখা যায়, শহরটির সড়কগুলোতে রঙিন পোশাকে গান ও নানা বাদ্যযন্ত্রের তালে হাজারো মানুষ আনন্দ–উল্লাস করছেন।

নাইজেরিয়া থেকে যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমিয়েছেন সিনথিয়া এনিওলা। তবে ডিসেম্বর এলেই পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে মিলিত হতে তিনি ছুটে যান লাগোসে। সিনথিয়া বলেন, ‘জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়া আমার কাছে সব সময়ই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ডিসেম্বরে। কারণ, এই সময়ে সেখানে প্রত্যেকেই নানা উৎসব আয়োজনে যোগ দেন। এমন কোনো মানুষ পাওয়া যায় না, যাঁরা উৎসবে যুক্ত হন না।’

শুধু পশ্চিমা দেশগুলোর পর্যটক বা প্রবাসী নাইজেরিয়ানরাই নন, আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের মানুষের একটি অন্যতম পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে লাগোস। জিনিসপত্রের দাম কম ও থাকা–খাওয়ার খরচ কম হওয়ায় লাগোসে যাওয়ার জন্য পর্যটকদের আগ্রহও বেশি।

ডেটি ডিসেম্বর এখন আর কোনো মামুলি উৎসবের মৌসুমে আটকে নেই। সমাজের সব স্তরের মানুষের কাছে আফ্রিকার ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে দিনযাপনের সুযোগ করে দিয়েছে লাগোস।

লাগোসের উদ্‌যাপনের নগরী হয়ে ওঠার নেপথ্যে নাইজেরিয়ার জনমিতির বিষয়টিও আলোচনায় আসছে। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) দেওয়া হিসাবে, দেশটির মোট জনসংখ্যার ৩ ভাগের ২ ভাগের বয়স ২৫ বছরের কম। যেসব দেশে তরুণদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি, তার একটি হলো নাইজেরিয়া।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের নতুন পর্যটন স্পট ‘আলী বান্দা’

পূর্ব সুন্দরবনের নিসর্গঘেরা অভয়ারণ্যে গড়ে তোলা হয়েছে নতুন পর্যটন কেন্দ্র ‘আলীবান্দা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার’। সবুজ ম্যানগ্রোভ বনের বুক চিরে, নদীর নোনাজলে ভেসে, প্রকৃতির নীরব সৌন্দর্যে ঘেরা এই কেন্দ্রটি চলতি নভেম্বর মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।

পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের আওতাধীন আলী বান্দা এরইমধ্যে ভ্রমণপিপাসুদের দৃষ্টি কেড়েছে। শরণখোলা রেঞ্জ অফিস থেকে ট্রলারযোগে মাত্র ৪০ মিনিটের নৌপথ পেরিয়ে পৌঁছানো যায় সেখানে। 

যাত্রাপথে চোখে পড়ে বনের গভীর সবুজ গাছগাছালি, ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে যাওয়া পাখি, কচুরিপানায় ঢাকা জলাশয় এবং সুন্দরী-গেওয়া গাছের সারি যা পর্যটকদের মোহিত করে।

বন বিভাগ জানিয়েছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে আলীবান্দা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টারের অবকাঠামো নির্মাণকাজ শুরু হয়। এখানে তৈরি হয়েছে ছয়তলা ভবনের সমান উচ্চতার একটি ওয়াচ টাওয়ার, যেখান থেকে সুন্দরবনের বিস্তৃত সবুজাভ দৃশ্য চোখে ধরা পড়ে। 

রয়েছে দেড় কিলোমিটার দীর্ঘ ফুট ট্রেইল (ওয়াকওয়ে)। পথের দুই পাশে ঘন বনের মাঝে হাঁটলে দেখা যায় প্রকৃতির আসল রূপ। এছাড়া রয়েছে মিষ্টি পানির পুকুর, হরিণ রাখার সেড, জেটি, বিশ্রামাগার, সুভেনিয়ার শপ এবং পর্যটকদের নিরাপত্তায় বনরক্ষী ও স্থানীয় গাইডের সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান।

ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে আলীবান্দা বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোর মানুষের জন্য সবচেয়ে সহজগম্য স্পট হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। কম সময় ও কম ঝুঁকিতে সুন্দরবনের সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে এখানে। স্থানীয় পর্যটকরা এরইমধ্যে আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন বলেন, “আলীবান্দা ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার চালু হলে স্থানীয় অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। এতে স্থানীয় গাইড, নৌযানচালক, হোটেল ব্যবসায়ী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কর্মসংস্থান বাড়বে। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব পর্যটনের মাধ্যমে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সচেতনতা বাড়বে।”

তবে পর্যটনকেন্দ্রে প্রবেশ ফি নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। আলীবান্দায় প্রবেশের ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪৫ টাকা।

শরণখোলা ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল বয়াতী বলেন, ‘‘আলীবান্দায় প্রবেশ ফি ৩৪৫ টাকা, অথচ একই বনের করমজল পর্যটন পয়েন্টে ফি মাত্র ৪৬ টাকা। অনেকেই আলীবান্দায় যেতে আগ্রহী, কিন্তু ফি বেশি হওয়ায় নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।’’

পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “আলীবান্দা এখন প্রায় প্রস্তুত। চলতি মাসেই এখানে হরিণ আনা হবে। বর্তমানে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে স্পটটি। যেহেতু এটি ২০১৭ সালে ঘোষণা করা অভয়ারণ্য এলাকার অন্তর্ভুক্ত, তাই সাধারণ বনাঞ্চলের তুলনায় কিছু বিধিনিষেধ ও প্রবেশ ফি বেশি রাখা হয়েছে। তবে পর্যটকদের দাবির বিষয়টি আমরা সরকারের কাছে জানাব।’’

ঢাকা/শহিদুল/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুদানের এল-ফাশের শহরে ‘চরম বিপদে’ বাসিন্দারা: ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস
  • দুই দিনে যেতে পারেননি কোনো পর্যটক, কক্সবাজার-সেন্ট মার্টিন জাহাজ চলাচল অনিশ্চিত
  • অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
  • সুদানে ‘গণহত্যা’ হয়েছে
  • সেন্টমার্টিনের দ্বার খোলা, ছাড়েনি জাহাজ
  • পর্যটন শিল্প বিকাশে আইকন গ্লোবাল ট্যুর অপারেটর আল মামুন
  • সুন্দরবনের নতুন পর্যটন স্পট ‘আলী বান্দা’
  • কক্সবাজার সৈকতে ঘোড়া, কুকুর ও গরু, স্বাস্থ্যঝুঁকি কতটুকু
  • সুদানের রাস্তায় শত শত মরদেহ, পালিয়েছে ৬০ হাজার বাসিন্দা
  • সেন্টমার্টিনের দ্বার খুলছে শনিবার, জাহাজ চালাবেন না মালিকরা