যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেয়। এ স্কলারশিপে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে পড়ার সুযোগ আছে। এ বৃত্তির কেতাবি নাম ‘নটিংহাম ডেভেলপিং সল্যুশন স্কলারশিপ’। বাংলাদেশসহ আফ্রিকা বা কমনওয়েলথভুক্ত দেশের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় যুক্তরাজ্যের নটিংহামে অবস্থিত একটি সরকারি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৮৮১ সালে নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। পরে ১৯৪৮ সালে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। যুক্তরাজ্যের বাইরে মালয়েশিয়া ও চীনে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস রয়েছে। নটিংহামে পাঁচটি অনুষদ রয়েছে, যার মধ্যে ৫০–এর অধিক বিদ্যালয়, বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে।

আরও পড়ুনআইইএলটিএস রিডিং পরীক্ষায় এক ঘণ্টায় সব প্রশ্নের উত্তর করার উপায় ০৯ জানুয়ারি ২০২৫স্নাতকোত্তরের বিষয়

প্রকৌশল অনুষদ

মেডিসিন ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদ

বিজ্ঞান অনুষদ

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ

সুযোগ-সুবিধা

নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি সম্পূর্ণ বা অর্ধেক মওকুফ করা হবে।

আবেদন করতে পারবেন যেসব দেশে আফ্রিকা (সব জাতি), অ্যাঙ্গুলা, অ্যান্টিগা ও বারমুডা, বাংলাদেশ, বার্বাডোজ, বেলিজ, বারমুডা, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডস, ব্রুনেই, কেম্যান আইল্যান্ডস, ডমিনিকা, ফকল্যান্ড আইল্যান্ডস, ফিজি, জিব্রাল্টার, গ্রানাডা, ভারত, জ্যামাইকা, কিরিবাতি, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, নাউরু, নেপাল, পাকিস্তান, পাপুয়া নিউগিনি, সামোয়া, সোলোমন আইল্যান্ডস, শ্রীলঙ্কা, সেন্ট হেলেনা, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডিনস, টোংগা, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, ট্রিসটান দা কুনহা, তুর্ক ও কেইকস আইল্যান্ডস, টুভালু ও ভানুয়াতু।

আরও পড়ুনইতালির ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ফেলোশিপ, মাসে ২৫০০ ইউরো-পরিবার ভাতাসহ নানা সুযোগ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪আবেদনের যোগ্যতা

ওপরে উল্লিখিত দেশের নাগরিক হতে হবে।

আন্তর্জাতিক ও নতুন শিক্ষার্থী হতে হবে।

স্কলারশিপে আবেদন করতে যুক্তরাজ্যের নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হবে।

নটিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান শিক্ষার্থী বা সেখান থেকে স্নাতক করা কেউ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

আবেদনের পদ্ধতি ও বিস্তারিত জানতে এখানে ক্লিক করুন

আরও পড়ুনজার্মানিতে পড়তে যেতে চান, নজরে রাখুন এই ৮ বিষয়২০ নভেম্বর ২০২৪আবেদনের শেষ দিন

আবেদনের সুযোগ আগামী ১৬ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত

আরও পড়ুনকানাডার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ডস বৃত্তি, উচ্চমাধ্যমিক পাসে আবেদন, প্রয়োজন আইইএলটিএস-টোয়েফল১২ ডিসেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আজ

‘উদয়ের পথে শুনি কার বাণী/ ভয় নাই ওরে ভয় নাই/ নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান/ ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই’। তাঁদের নিঃশেষে প্রাণদানের স্মৃতি আজ গভীর বেদনায় স্মরণ করবে জাতি। আজ থেকে ৫৪ বছর আগে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীরা হানাদার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নীলনকশার শিকার হয়ে নির্মম হত্যার শিকার হয়েছিলেন।

অমিত বিক্রম বাঙালির জীবনপণ যুদ্ধে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয় তখন ছিল কেবল দিনগণনার বিষয়। সেই অনিবার্য পরাজয়ের প্রাক্কালে মরণকামড় দেওয়ার চেষ্টা করেছিল ঘাতক বাহিনী। স্বাধীনতা অর্জন করলেও বাঙালি জাতি যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে, সেই চক্রান্ত করেছিল তারা। দেশের সেরা বুদ্ধিজীবীদের তালিকা করে তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছিল। এ কাজে পাকিস্তানি সেনাদের সরাসরি সহায়তা করেছিল তাদের মিত্র এ দেশি রাজাকার, আলবদর বাহিনী। এরাই ঘাতক সেনাদের নিয়ে গিয়ে চিনিয়ে দিয়েছে বুদ্ধিজীবীদের বাড়ি। চিনিয়ে দিয়েছে সেই নিরীহ মানুষগুলোকে।

মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে পরে মিরপুরে রায়েরবাজার পরিত্যক্ত ইটখোলা ও মিরপুরে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া সেসব বুদ্ধিবৃত্তিক পেশায় যুক্ত মানুষের মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তাঁদের অনেকের ছিল পিছমোড়া করে হাত ও চোখ বাঁধা। ভয়ানক নির্যাতনের চিহ্ন ছিল শরীরে। তাঁদের মরদেহ উদ্ধার হওয়ার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বুদ্ধিজীবী হত্যার গভীর ষড়যন্ত্র প্রকাশ হয়ে পড়ে। এর পর থেকেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা ও শোক প্রকাশ করে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়ে আসছে।

শুধু ঢাকাতেই নয়, সারা দেশেই বুদ্ধিবৃত্তিক কাজে যুক্ত মানুষদের হত্যা করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। এই হত্যাকাণ্ডের ছিল দুটি পর্যায়। ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে হানাদার সেনারা রাজধানীতে গণহত্যা শুরু করেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও আশপাশের এলাকায় সাধারণ নিরীহ জনসাধারণের পাশাপাশি শিক্ষক, চিকিৎসকদেরও হত্যা করে। এরপর থেকে হানাদাররা সারা দেশের শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, গবেষক, সংস্কৃতিসেবীসহ মেধা মনন সৃজনশীল কাজে যুক্ত মানুষদের বেছে বেছে হত্যা করতে থাকে। মুক্তিযুদ্ধে শেষ পর্যায় তারা এই বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষদের নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য তালিকা করে হত্যা চালাতে থাকে। তাঁদের মধ্যে যেমন প্রবীণ প্রাজ্ঞজনেরা ছিলেন, তেমনি ছিলেন উদিত যৌবনের বহু সম্ভাবনাময় তরতাজা প্রাণ। আজ তাঁদের স্মৃতির স্মরণ করা হবে সারা দেশে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।

কর্মসূচি

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয়ের সভায় জানানো হয়েছে, আজ রোববার সকাল ৭টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং ৭টা ৬ মিনিটে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তাঁরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবেন। এ সময় বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে রাষ্ট্রীয় স্যালুট প্রদান করবে।

রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসরাত চৌধুরী, শহীদ বুদ্ধিজীবী পরিবারের সদস্য এবং হুইলচেয়ারধারী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ