নতুন বছরের নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের শেষে থাকা ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি সরানোর ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ (পিসিপি) ও হিল উইমেন্স ফেডারেশন। সেই সঙ্গে সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসীদের সঠিক ইতিহাস ও পরিচিতি তুলে ধরার দাবি জানানো হয়েছে। পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বহাল রাখার দাবি জানিয়েছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বৃহত্তর ঢাকা কমিটি।

সোমবার পিসিপির তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অন্বেষ চাকমার সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, স্টুডেন্ট ফর সভারেন্টি নামক সংগঠনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) গত রোববার রাতে অনলাইন ভার্সনের পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেয়। বাংলাদেশে বসবাসরত অর্ধশতাধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচয়কে নিশ্চিহ্ন করে দিতে বিভিন্ন গোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। বৈষম্যহীন, অসাম্প্রদায়িক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ বির্নিমাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাষ্ট্রের নতুন শাসকগোষ্ঠী তার কার্যক্রম পরিচালনার কথা বললেও আদিবাসীদের সার্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে গৃহীত পদক্ষেপগুলোতে সেটির যথাযথ প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বৈষম্যহীন বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে আদিবাসীদের অস্বীকৃতি জানানো জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনার পরিপন্থি। দেশের অর্ধশতাধিক আদিবাসী জনগোষ্ঠীর আত্মপরিচয়কে অস্বীকার করে বহুজাতিক, বৈষম্যহীন ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব নয়। পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি পুনর্বহাল, আদিবাসীদের সঠিক ইতিহাস ও পরিচিতি তুলে ধরাসহ সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

একই দাবি জানিয়ে সোমবার গণমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বৃহত্তর ঢাকা কমিটি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক বিভূতী ভূষণ মাহাতোর সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, আদিবাসীরা বরাবরই বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.

মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণে আদিবাসীদের ‘আদিবাসী’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এতে আদিবাসীরা আশার আলো দেখেছিল– বর্তমান সরকার আদিবাসীদের ‘আদিবাসী’ হিসেবেই অভিহিত করবে। কিন্তু এনসিটিবি পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি সরিয়ে শুধু আদিবাসীদেরই নয়, প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকেও অসম্মান ও অবমাননা করা হয়েছে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

বিপিএলে দল নিতে চান আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের ‘রেড ফ্ল্যাগ’ তালিকায় থাকারাও

আসন্ন দ্বাদশ বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি নিতে ১১টি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখালেও প্রয়োজনীয় শর্ত পূরণ করতে না পারায় তিনটি প্রতিষ্ঠানের আগ্রহ বাতিল করেছে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। বাকি আটটি প্রতিষ্ঠানের সব যে ফ্র্যাঞ্চাইজি পাবে, তা–ও নয়। এক-দুটি প্রতিষ্ঠানে থাকা মালিকদের মধ্যে দু-একজন তো আইসিসির দুর্নীতি দমন বিভাগের ‘রেড ফ্ল্যাগ’ধারী বলেও জানা গেছে।

বিপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল

সম্পর্কিত নিবন্ধ