সাতক্ষীরা খামারবাড়িতে দুদকের অভিযান
Published: 14th, January 2025 GMT
সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সার বিক্রি, সিন্ডিকেট করে কৃষকদের কাছ থেকে বছরে প্রায় ৩৯ কোটি টাকা লোপাটের ঘটনায় সাতক্ষীরা খামারবাড়ির উপপরিচালকের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদক। মঙ্গলবার বিকেলে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানটির নেতৃত্ব দেন দুদক খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক মো.
খামারবাড়ির উপপরিচালক সাইফুল ইসলামের অফিসকক্ষে প্রবেশ করে তারা অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখেন এবং কাগজপত্র যাচাই করেন। এর আগে তারা পাটকেলঘাটার সার ব্যবসায়ী কেশব সাধুর গোডাউনে যান এবং ব্যবসার বৈধতা খতিয়ে দেখেন।
অভিযান শেষে দুদক খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রকিবুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের প্রতিবেদনে সাতক্ষীরায় সার ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বছরে ৩৯ কোটি টাকা লোপাট করছেন– এমন অভিযোগ উঠে আসে। সার ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি ২৭ টাকার সার ৩৮ টাকায় বিক্রি করছেন।
দুদক ছদ্মবেশে বিষয়টি অনুসন্ধান করে অভিযোগের সত্যতা পায়। সারের ডিলার নিয়োগ নিয়েও বেশ কিছু অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে তারা সরেজমিন তদন্ত করেছেন। পরে আইননানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাতক্ষীরা খামারবাড়ির উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুদকের আভিযানিক দল সারের দাম বেশি নেওয়া, বিএডিসি ডিলার নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়টি আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন। বিভিন্ন কাগজপত্র খতিয়ে দেখেছেন। সারের দাম বেশি নেওয়ার ঘটনাটি আমরাও তদন্ত করে অভিযুক্ত ডিলারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত ২৭ টাকার সার ৩৮ টাকায় বিক্রি করাটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্গাপূজায় অরাজকতা রোধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান মহিলা পরিষদের
প্রতিবছর বাঙালি হিন্দুদের সর্বজনীন দুর্গোৎসবকে কেন্দ্র করে নানা সাম্প্রদায়িক ঘটনা ঘটে। আসন্ন দুর্গাপূজায় যেন কোনো ধরনের অরাজকতা না ঘটে, সে জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন থেকে এ আহ্বান জানানো হয়। ‘বৈচিত্র্যকে সম্মান করি, সাম্প্রদায়িকতা পরিহার করি, সম্প্রীতি বজায় রাখি’ শিরোনামে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মহিলা পরিষদের উদ্যোগে ঢাকার পাশাপাশি দেশের সব জেলায় একযোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ফওজিয়া মোসলেমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু, সহসভাপতি মাখদুমা নার্গিস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসুদা রেহানা বেগম, আন্দোলন উপপরিষদ সম্পাদক রাবেয়া খাতুন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও আন্দোলন উপপরিষদ সদস্য বহ্নিশিখা দাশ পুরকায়স্থ বক্তব্য দেন। মহিলা পরিষদের প্রোগ্রাম অফিসার নুরুননাহার তানিয়া মানববন্ধন সঞ্চালনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘আমাদের সংবিধানে নারী-পুরুষনির্বিশেষে সবার জন্য সমতা, ন্যায়বিচার নিশ্চিতের মাধ্যমে মর্যাদাকে সর্বাগ্রে স্থান দেওয়া হয়েছে। এ দেশে নানা জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও সংস্কৃতির লোকের বসবাস। সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাষ্ট্রের পাশাপাশি মানবাধিকার সংগঠন ও সুশীল সমাজকে নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব নিতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ভূমিকা আরও কার্যকর হওয়া আবশ্যক। রাষ্ট্রকাঠামো এমন হওয়া উচিত, যাতে সবাই মিলে নিজ নিজ উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে।’