ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু
Published: 15th, January 2025 GMT
ফেনীতে ট্রেনে কাটা পড়ে এক অজ্ঞাত নারী (৫০) নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে ফেনী রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপেস ট্রেনটি সকাল ১০টার দিকে ফেনী স্টেশনের দুই নম্বর প্ল্যাটফর্ম অতিক্রম করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে রেলওয়ে স্টেশন পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।
এ ব্যাপারে ফেনী রেলওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইকবাল হোসেন বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অজ্ঞাত নারীর পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/সাহাব উদ্দিন/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকায় শ্বাস নেওয়ার জায়গা তৈরির কথা ভাবতে হবে
আলোকচিত্রী ও রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত শ্রমিক–নারী আন্দোলনের সংগঠক তাসলিমা আখতার বলেছেন, ‘ঢাকাকে নতুন করে তৈরি করার জন্য আমরা নতুন করে স্বপ্ন দেখছি। কীভাবে ঢাকা শহরে আরও অনেক বেশি সবুজ, পার্ক ও শ্বাস নেওয়ার জায়গা তৈরি হয়, সেই ভাবনার জায়গাগুলো তৈরি হচ্ছে।’
শুক্রবার রমনা পার্কের শকুন্তলা চত্বরে তাসলিমা আখতারের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ‘ভালোবাসি রমনা: প্রাণ ও প্রকৃতির গল্প’–এর সমাপনী দিনে এই কথা বলেন তিনি।
প্রদর্শনীতে এসে আলোকচিত্রী শহিদুল আলম বলেন, ‘গাছ ও প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক এত দূরে সরে গেছে যে একটা সময় যেমন প্রাণী দেখার জন্য মানুষ চিড়িয়াখানায় যেত, তেমনি বোধ হয় একদিন গাছ ও অন্যান্য প্রাকৃতিক জিনিস দেখার জন্য চিড়িয়াখানায় যেতে হবে।
প্রদর্শনীতে এসে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে আমাদের চিরপরিচিত রমনা পার্ককে নতুন চোখ দিয়ে দেখছি। রমনা পার্কের মতো জায়গা একটা সামাজিক পরিসর হিসেবে কী ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে, সেটা এই প্রদর্শনী থেকে আমরা অনুভব করেছি।’
১০ ডিসেম্বর শুরু হওয়া এই প্রদর্শনী নিয়ে আলোকচিত্রী তাসলিমা আখতার বলেন, গত ১০ বছরে ঢাকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে পার্কের বদল ও স্মৃতির গল্পও রয়েছে এই প্রদর্শনীতে। পার্কে প্রতিদিন হাঁটা বা শরীরচর্চার পাশাপাশি কীভাবে মানুষের সঙ্গে প্রকৃতির সম্পর্ক তৈরি হয়—ছবি সেই গল্পও বলে। মোট ৫৫টি ছবি নিয়ে প্রদর্শনীটি সাজানো হয়েছে।
গতকাল প্রদর্শনীর সমাপনী দিনে আরও উপস্থিত হন গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটির সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা মুন্নী মৃ, আলিফ দেওয়ান, চলচ্চিত্রকার হাবিবুর রহমানসহ অনেকে।