নির্বাচনের আগেই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতের বিচার শেষ হতে পারে
Published: 15th, January 2025 GMT
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতের বিচারের জন্য আগামী মার্চে শুনানি শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেছেন, “নির্বাচনের আগেই বিচারিক কার্যক্রম শেষ হতে পারে।”
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে সংস্কার প্রস্তাব জমা দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত চারটি সংস্কার কমিশন। এ বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি উল্লিখিত কথা বলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, “সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের ভিত্তিতে ন্যূনতম সংস্কারগুলো আইডেনটিফাই করা হবে।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সংস্কারের মূল বিষয় গণঅভ্যুত্থান। তাই, সংস্কারের ক্ষেত্রে সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যমতের ভিত্তিতে চার কমিশন তাদের রিপোর্ট দিয়েছে। পরে কমিশন এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও তাদের লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, “মূল সুপারিশসহ চার কমিশনের বিস্তারিত জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা কবে।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে হতাহতের বিচার বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে কাউকে টার্গেট করে বিচার করা হচ্ছে না।”
সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, বৃহস্পতিবার অন্য সংস্কার কমিশনগুলো রিপোর্ট জমা দেবে। এক মাসের মধ্যে রাজনৈতিক দলসহ সবার সঙ্গে কথা বলে সমন্বয় করা হবে।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, “বাংলাদেশের কাঠামোগত সংস্কার করা হবে। তা রাজনৈতিক দলসহ সবার ঐক্যমতের ভিত্তিতেই হবে।”
ঢাকা/হাসান/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গণঅভ য ত থ ন র জন ত ক উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতি এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, পলাতক অবস্থায় ভারতে বসে জুলাই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে জনমনে গভীর ক্রোধের সৃষ্টি হয়েছে যার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।
গত ছয় মাসে ৩২ নম্বর বাড়িটিতে কোনো ধরনের আক্রমণ, ধংসযজ্ঞ হয়নি উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, গতকাল রাতে এটি ঘটেছে পলাতক শেখ হাসিনার বক্তব্য ঘিরে যার দুটো অংশ আছে। একটা অংশ হলো, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা আত্মদান করেছেন শেখ হাসিনা তাদেরকে অপমান করেছেন, অবমাননা করেছেন। শহিদের মৃত্যু সম্পর্কিত অবান্তর, আজগুবি ও বিদ্বেষমূলক কথা বলে পলাতক শেখ হাসিনা জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে অবজ্ঞা করেছেন ও অশ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
দ্বিতীয়ত, শেখ হাসিনা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অমানবিক প্রক্রিয়ায় নিপীড়ন চালিয়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন যে সুরে কথা বলতেন গণঅভ্যুত্থানের মুখে পালিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি একই হুমকি-ধামকির সুরে জুলাই গণঅভ্যুত্থানকে, গণঅভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া প্রতিটি মানুষের বিরুদ্ধে কথা বলে চলেছেন, হুমকি ধামকি দিচ্ছেন। শেখ হাসিনা দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির হুমকি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, মানুষের মনে জুলাই গণহত্যা নিয়ে যে ক্ষত রয়েছে সে ক্ষততে শেখ হাসিনা একের পর এক আঘাত করে চলছেন। তার এই সহিংস আচরণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৩২ নম্বরের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দেশ ও জনগণের জানমালের রক্ষায় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে উল্লেখ করে বলা হয়, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বাত্মকভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার যথাযথ চেষ্টা করছে। মানবতাবিরোধী অপরাধে একজন ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি শেখ হাসিনা বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি এড়ানো সম্ভব।
বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার আশা করে, ভারত যেন তার ভূখণ্ডকে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে এমন কাজে ব্যবহৃত হতে না দেয় এবং শেখ হাসিনাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ না দেয়। অন্তর্বর্তী সরকার ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি চায় না।
বিবৃতিতে সরকার জানায়, জুলাই হত্যাকাণ্ডে যারা জড়িত ছিল তাদের বিচারকাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে। এই বিচার নিশ্চিত করে গণহত্যাকারীদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উসকানিমূলক কর্মকাণ্ডে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কী কী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা সরকার খতিয়ে দেখবে।