পররাষ্ট্র উপদেষ্টার চীন সফরে গুরুত্ব পাবে অর্থনৈতিক বিষয়
Published: 15th, January 2025 GMT
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আগামী ২০ জানুয়ারি দ্বিপক্ষীয় সফরে চীনে সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। তিন দিনের এই সফরে অর্থনীতি, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন বিষয়ের পাশাপাশি তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে চীনের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) নবায়ন করা হবে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীন সফর-সংক্রান্ত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানিয়েছেন উপদেষ্টা।
চীন সফরকালে ঋণের সুদহার কমানোসহ পরিশোধের মেয়াদ ৩০ বছর করতে প্রস্তাব দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মো.
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, “অর্থনৈতিক বিষয় আলোচনায় গুরুত্ব পাবে। বাজেট সহায়তার প্রস্তাব করা হবে। আলাপ-আলোচনার মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো আসবে। চীনের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ ব্যবসা হয়, বেশিরভাগই আমদানিনির্ভর।”
তিনি বলেন, “ঋণের শর্ত নিয়ে আলাপ হবে, যেমন: সুদ কমানো, ঋণ পরিশোধের সময় বাড়ানো। কমিটমেন্ট ফি তুলে দেওয়ার অনুরোধ করবে বাংলাদেশ।”
“আমাদের কিছু প্রকল্পে ঋণের সময়সীমা ১৫ বছর, কোনো ঋণের সময়সীমা ২০ বছর আছে। আমরা চেষ্টা করব এই সময়সীমা ৩০ বছর করতে।”
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “তিস্তা প্রকল্প নিয়ে না হলেও নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে চীনের সঙ্গে শেষ হয়ে যাওয়া এমওইউ নবায়ন করা হবে। এ সফরেই এই সমঝোতা স্মারক সই হবে।”
চলতি বছরে চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উদযাপন করা হবে বলেও জানিয়েছেন মো. তোহিদ হোসেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেছেন, “সফরে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে চীনের সহায়তা চাইবে বাংলাদেশ। কারণ, মিয়ানমারের ওপর চীনের অনেক প্রভাব আছে।”
ঢাকা/হাসান/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পরর ষ ট র উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
ইরানে হামলা: ট্রাম্প ৬০ দিনের সময়সীমার কথা বলছেন, সেটি কী?
ইরানকে ৬০ দিনের সময় বেঁধে (আলটিমেটাম) দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিনই দেশটিতে ভয়াবহ হামলা চালাল যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরায়েল। আজ শুক্রবার ট্রাম্প নিজেই ওই সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা জানান।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চলতি বছরের শুরুর দিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। সেই চিঠিতে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে সরে আসার বিষয়ে একটি চুক্তিতে রাজি হতে চাপ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। চুক্তিতে পৌঁছাতে ওয়াশিংটন–তেহরান আলোচনা সফল করতে ৬০ দিনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সেই চিঠিতে।
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে ইরান চুক্তি নিয়ে প্রথম দফার আলোচনা ১২ এপ্রিল শুরু হয়েছিল। সেদিন থেকেই এই ৬০ দিনের সময়সীমা গণনা শুরু হয়। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার পরদিন গতকাল বৃহস্পতিবার ১২ জুন ইসরায়েল হামলা চালাল ইরানের অন্তত ৮টি শহরে।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আজ সিএনএনের সাংবাদিক ডানা বাসকে বলেন, ‘আমার কথা শোনা উচিত ছিল ইরানের। যখন আমি বলেছিলাম—আপনি জানেন, আমি ওদের ৬০ দিনের এক সতর্কবার্তা দিয়েছিলাম, আপনি জানেন কি না, জানি না, কিন্তু আমি ওদের ৬০ দিনের সময়সীমা দিয়েছিলাম, আর আজ ৬১তম দিন।’
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনির উদ্দেশে পাঠানো চিঠির প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প ইরানকে সম্ভাব্য সামরিক অভিযানের বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন।
বছরের শুরুর দিকে ফক্সনিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চিঠির প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমি আশা করি, ইরান আলোচনায় আসবে—আমি তাদের চিঠি লিখে জানিয়েছি, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, আমাদের যদি সামরিকভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়, তাহলে সেটা ইরানের জন্য ভয়াবহ হবে।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি বলেছিলাম, আমি আশা করি, তোমরা আলোচনা করবে। কারণ, সেটা ইরানের জন্য অনেক ভালো হবে।’
ইরানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা এবং আলোচনায় জড়িত ব্যক্তিরা জানতেন যে সময়সীমা ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য চাপ ক্রমেই বাড়ছিল। তবে মার্কিন কর্মকর্তারা আগে বলেছিলেন, ৬০ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও আলোচনা চলবে। কিন্তু এখন ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির ওপর হামলা চালানোর পর এই আলোচনার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে—যদিও মার্কিন কর্মকর্তারা আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে জোর দিচ্ছেন।