আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসির ঋণখেলাপি মেসার্স সাসকো টেক্স (বিডি) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতিয়ার রহমান দিপু ও তাঁর স্ত্রী এবং প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পাপিয়া রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর মিরপুর পল্লবী ডিওএইচএস এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে রোববার আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

সাসকো টেক্স (বিডি) লিমিটেডের কাছে আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের উত্তরা মডেল টাউন শাখার খেলাপি ঋণ প্রায় ১৬৪ কোটি টাকা (অবলোপনকৃত)।

দিপু-পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্তৃপক্ষের করা ১০টির মধ্যে ৮টি ফৌজদারি মামলায় আদালত তাঁদের ১ বছর করে ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং বাকি ২ মামলায় ৩ মাস করে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেন। সব মিলিয়ে তাঁদের সাজার মেয়াদ ৮ বছর ৬ মাস।

পাশাপাশি চেকসংক্রান্ত মামলায় তাঁদের চেকের মূল্যের সমপরিমাণ ৮০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর শনিবার দিপু-পাপিয়া দম্পতিকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা-পুলিশ।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তরের ঘোষণা

বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ৩৩তম বর্ষপূর্তিতে আগামী ৬ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গায় নতুন বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর (শিলান্যাস) স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন বিধায়ক হুমায়ূন কবির। তিনি অবশ্য আগেই পশ্চিমবঙ্গে বাবরি মসজিদ তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলেন।

শিলান্যাসের ঘোষণা দিয়ে হুমায়ূন কবির জানান, এই মসজিদ তৈরি করতে তিন বছর লাগবে। ৬ ডিসেম্বর শিলান্যাস অনুষ্ঠানে মুসলিম সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি ও ধর্মগুরুরা উপস্থিত থাকবেন।

একই দিনে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে পশ্চিমবঙ্গের শাসক তৃণমূল কংগ্রেসও সমাবেশের ডাক দিয়েছে।

তবে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়কের বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। বিজেপির মুখপাত্র ইয়াসের জিলানি সমালোচনা করে বলেন, নির্বাচনী সুবিধার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে সাম্প্রদায়িক উসকানি দেওয়া হচ্ছে।

তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা, বিশেষ করে বিধায়ক হুমায়ূন কবির ঘৃণার রাজনীতির জন্য পরিচিত উল্লেখ করে জিলানি বলেন, তিনি কেবল জনতুষ্টির জন্য রাজনীতি করেন। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে বাংলায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরি করছেন।

কিন্তু কংগ্রেস সাংসদ সুরেন্দ্র রাজপুত বলেন, যদি কেউ মসজিদ, মন্দির, গুরুদুয়ারা এবং গির্জা তৈরি করেন, তাহলে এতে বিতর্কের কী আছে? কেন এটিকে বিতর্কের বিষয় করে তোলা হচ্ছে? প্রতিটি ধর্মের নিজস্ব উপাসনালয় তৈরি করার অধিকার রয়েছে।

অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাওলানা সাজিদ রশিদী বিজেপির সমালোচনায় বলেন, হয়তো তারা বুঝতে পারে না, একবার কোনো স্থানে মসজিদ তৈরি হয়ে গেলে, তা চিরদিনের জন্য মসজিদই থেকে যায়। ভারতে বাবরি মসজিদের নামে শত শত মসজিদ তৈরি হলেও অযোধ্যার মূল বাবরি মসজিদের তাৎপর্য কখনো মুছে ফেলা যাবে না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ