রূপকথার গল্প লেখা হলো না রিপন–গাফফারদের, সুপার ওভারে জিতে চ্যাম্পিয়ন শাহিনস
Published: 23rd, November 2025 GMT
পারলেন না রিপন মণ্ডল। পারলেন না আবদুল গাফফার। পারলেন না দলকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দিয়ে রূপকথার গল্প লিখতে। কাতারের দোহায় ব্যাট হাতে অবিশ্বাস্য কিছুই করেছিলেন বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ১০ ও ১১ নম্বর ব্যাটসম্যান। আর তাতেই খাদের কিনার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে এশিয়া কাপ রাইজিং স্টারসের ফাইনালটাকে সুপার ওভারে নিয়ে যেতে পেরেছিল বাংলাদেশ ‘এ’। তবে শেষ হাসিটা হাসল পাকিস্তান শাহিনসই। সুপার ওভারে রিপনদের হারিয়ে রেকর্ড তৃতীয়বারের মতো উদীয়মানদের এশিয়া কাপ জিতল শাহিনস নামেই পরিচিত পাকিস্তান ‘এ’ দল।
১২৬ রানের লক্ষ্য। ৫৩ রানেই ৭ উইকেট হারিয়ে ফেলল বাংলাদেশ ‘এ’। এরপর এসএম মেহেরব ও রাকিবুল হাসান আশার পালে হাওয়া লাগালেও দলকে জয়ের বন্দরে নিতে পারেননি। এ দুজনও যখন ফিরলেন ৯৬ রানে ৯ উইকেট নেই বাংলাদেশ ‘এ’ দলের।
এরপর গাফফারকে নিয়ে অবিশ্বাস্য কিছুই করলেন রিপন । পাকিস্তান শাহিনসের ইনিংসে বল হাতে ৩ উইকেট নেওয়া রিপন ব্যাট হাতেও খেললেন ১১ রানের ইনিংস। আরেক পেসার আবদুল গাফফারও (১৬*) সাহায্যের হাত বাড়ালেন। ১৯তম ওভারে ২০ রান তুললেও অবশ্য শেষ ওভারে ৭ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি তাঁরা। তবে শেষ বলে ১ রান নিয়ে ম্যাচটা টাই করে সুপার ওভারে নিয়ে গিয়েছিলেন ফাইনালটাকে।
ব্যাটে–বলে দারুণ করেছেন রিপন মণ্ডল.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে স্ত্রীর শরীরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় স্ত্রীর শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মো. সুরুজ (৩২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর পল্লবী থানার মিরপুর-১২ লালডেগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শনিবার সকালে র্যাব-৫-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার মো. সুরুজ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চক নারায়ণপুর গ্রামের শহিদুল মাঝির ছেলে।
র্যাব জানায়, প্রায় ১০ বছর আগে অনন্যা খাতুনের (২৫) সঙ্গে সুরুজের বিয়ে হয়। সংসারজীবনে তাঁদের দুই সন্তান আছে। বিয়ের পর আড়াই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন সুরুজ। অনন্যার পরিবার ২০১৮ সালের মে মাসে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেয়। এরপর আরও দেড় লাখ টাকা দাবি করে আসছিলেন সুরুজ। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন সময় অনন্যাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন তিনি।
গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সুরুজ আবার যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করেন। পরদিন ভোর পৌনে চারটার দিকে সুরুজ স্ত্রীকে বাড়ির উঠানে নিয়ে যান। এরপর পুড়িয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। অনন্যার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই দিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি হাসপাতালে মারা যান।
র্যাব জানায়, এ ঘটনার পর নিহত অনন্যার ভাই বাদী হয়ে বাঘা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব-৫ ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনার পর থেকেই সুরুজ পলাতক ছিলেন। গতকাল রাতে মিরপুর-১২ লালডেগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করা হয়।