সাইফ-কারিনার আলোচিত বাড়ির মূল্য কত, কী আছে ভেতরে?
Published: 17th, January 2025 GMT
নিজের বিলাসবহুল বাড়িতে হামলার শিকার হয়েছেন বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খান। বান্দ্রার বাড়িতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে রক্তাক্ত হন এই তারকা। তার শরীরে ছুরির ছয়টি আঘাত রয়েছে। তার মধ্যে দুটো গভীর। গতকাল সকালে তার অস্ত্রোপচার হয়েছে। মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।
তেরো তলা ভবনটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর হওয়ার পরও সাইফের বাসায় দুর্বৃত্তের অনুপ্রবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ধারণা করা হচ্ছে, দিনের বেলায় সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে সাইফের বাসায় লুকিয়েছিল। তবে এখনো বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে মুম্বাই পুলিশ। সবকিছু মিলিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে সাইফের এই বাড়ি। সাইফ-কারিনা তাদের বাড়িটি কীভাবে সাজিয়েছেন, কত টাকা মূল্যে কিনেছেন— তা নিয়েই এই প্রতিবেদন।
আরো পড়ুন:
বিলাসবহুল গাড়ি রেখে সাইফকে কেন অটোরিকশায় হাসপাতালে নেওয়া হয়?
সাইফের হামলাকারী শনাক্ত, ভিডিও ভাইরাল
ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের তথ্য অনুসারে, বলিউডের ‘পাওয়ার কাপল’ কারিনা কাপুর খান ও সাইফ আলী খান মুম্বাইয়ের পশ্চিম বান্দ্রার সৎগুরু শরণ নামে একটি অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস করেন। প্রায় এক দশক আগে সৎগুরু বিল্ডার্স থেকে এটি কিনেন সাইফ আলী খান।
১৩ তলা ভবনটির ৪টি ফ্লোর নিয়ে অ্যাপার্টমেন্টটি তৈরি করেছেন এই তারকা। ১০ হাজার স্কয়ার ফুটের অ্যাপার্টমেন্টে রয়েছে— পাঁচটি বেডরুম, জিমনেসিয়াম, মিউজিক রুম, ছয়টি বারান্দা। এই দম্পতির বাড়িতে বিশেষ একটি টেরেস এবং একটি সুইমিংপুল রয়েছে। তাদের অ্যাপার্টমেন্টটির সংস্কার কাজ সম্পন্ন হতে প্রায় চার বছর সময় লাগে।
সাইফের এই অ্যাপার্টমেন্টের প্রতি বর্গফুটের মূল্য ৭০ হাজার রুপি। এর আশেপাশের এলাকার প্রতি বর্গফুটের দাম ৫০-৫৫ হাজার রুপি (গড়)। এ তুলনায় সাইফের অ্যাপার্টমেন্টের মূল্য বেশি বলেও এই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
দ্য ফ্রি প্রেস জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সাইফ আলী খান অ্যাপার্টমেন্টটি কিনতে ১০০ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪০ কোটি ৩৯ লাখ টাকার বেশি) ব্যয় করেছেন।
বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। গৃহপরিচারিকা লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। পরে দুর্বৃত্তের সঙ্গে তার ধস্তাধস্তি হয়; একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাইফকে একাধিকবার আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে আবারও এক শ্রমিক নিহতের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে সাভারের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত।
নিহত মো. রাকিব (২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন বহুতল ভবনে কাজ করতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
এর আগে চলতি বছরের ১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন লাইব্রেরি ভবনের চারতলা থেকে পড়ে মো. আরিফুল নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছিলেন। এর তিন মাসের মাথায় আবারও এক শ্রমিকের মৃত্যু হলো।
ভবনটির নির্মাণকাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের জন্য নির্মাণাধীন ওই ভবনের ৯ম তলায় আস্তরের কাজ করছিলেন রাকিব। শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে দিকে ভবনের জানালা দিয়ে তিনি ময়লা-আবর্জনা ফেলতে গিয়ে নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। পরে তাঁকে ভবনের কর্মচারীরা উদ্ধার করে সাভারের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। রাত আটটার দিকে তিনি সেখানে মারা যান।
ভবনটিতে সাইট ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ভবনের ৯ম তলায় আস্তরের কাজ চলছিল। রাকিব ভবনের জানালা দিয়ে ময়লা ফেলতে গিয়ে পড়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত এই বহুতল ভবনটির কাজ করছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমিন ট্রেডার্স। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আজিজ প্রথম আলোকে বলেন, ভবনের মধ্যে কাজ চলছিল। ভবনটির বাইরের কাজ শেষ তাই ‘সেফটি নেট’ খুলে ফেলা হয়েছে।
মো. আজিজ জানান, রাকিবের মরদেহ তাঁর গ্রামের বাড়ি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ভবনটিতে কর্মরত ফোরম্যানের তত্ত্বাবধানে তাঁর মরদেহ বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘এটা অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। আমরা বারবার তাদেরকে যথাযথ সেফটি (নিরাপত্তা) নিশ্চিত করে তারপর কাজ করতে বলি। কিন্তু অনেক সময় এসব কর্মচারীরা মানে না। এ বিষয়ে প্রকল্প অফিস ও প্রশাসন থেকে বারবার তাদের তাগাদা দেওয়া হয়। এরপরও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেল।’