‘মিস ইউ’ লিখে বিসিবির চাকরি ছাড়লেন নিক পোথাস
Published: 17th, January 2025 GMT
পারিবারিক কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সহকারী কোচের চাকরি ছাড়লেন সাবেক প্রোটিয়া ব্যাটার নিক পোথাস। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি চাকরি ছাড়ার ঘোষণা দিয়ে লিখেছেন, ‘আই উইল মিস ইউ।’
নিক পোথাস ২০২৩ সালের বাংলাদেশের কোচিং স্টাফে যোগ দেন। ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত বিসিবির সঙ্গে চুক্তি ছিল তার। কিন্তু আসন্ন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগেই দায়িত্ব ছেড়ে দিলেন এই কোচ। আপাতত পরিবারকে কিছু সময় দিতে চান বলেও উল্লেখ করেছেন পদত্যাগ বার্তায়।
ফেসবুকে পোথাস লিখেছেন, ‘সব ভালো জিনিসের মতো আমার এই অধ্যায়ও শেষ হতো। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেকের সঙ্গে আমার অসাধারণ সময় কেটেছে। আমরা একসঙ্গে অনেক রেকর্ড গড়েছি, ইতিহাস গড়েছি এবং অসাধারণ স্মৃতি সঞ্চয় করেছি। এখন পরিবারের সঙ্গে কিছু ভালো সময় কাটানোর অপেক্ষা। এরপর দেখা যাবে পরের অধ্যায়ে কী আছে।’
বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য শুভকামনা জানিয়ে পোথাস লিখেছেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটে সামনে অসাধারণ একটা বছর অপেক্ষা করছে। দলের সকলের জন্য শুভকামনা। তোমাদের মিস করবো।’
নিক পোথাস বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচ হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ মৌসুমে যথাক্রমে শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেড কোচ ছিলেন। তিনি অ্যাসিস্ট্যান্ট কোচ, ফিল্ডিং কোচের ভূমিকায়ও ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলেছেন এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে প্রায় ১৬ হাজার রান করেছেন।
সম্প্রতি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বাংলাদেশ দলের সহকারী কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন। তবে ব্যাটিং কোচের দায়িত্বই পালন করছেন তিনি। এটাও পোথাসের চাকরি ছাড়ার কারণ হতে পারে। এছাড়া চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে ছাঁটাইয়ের পর বিদেশি কোচিং স্টাফদের মধ্যেও একটু অস্বস্তি ছিল।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’