শুরুটা ১৫ রানের ওভার দিয়ে। মাঝে পরপর দুই ওভারে এলো যথাক্রমে ১৯ ও ২০ রান। আরও একটি ওভারে ছিল ২০ রান। এই চার ওভারেই সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে অনায়েসে রান তোলেন দুর্বার রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা।

বিশ ওভারের খেলায় বাকি ষোলোটিতে রাজশাহীর ব্যাটসম্যানরা সেই ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি। তবুও দলের রান পৌঁছেছে একশ আশির ঘরে। সিলেটের আমন্ত্রণে ব্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে তাদের রান ১৮৪।

দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন রায়ান বার্ল। ২৭ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি। এছাড়া অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ২২ বলে ৩২, জিসান আলম ১৮ বলে ২০ রান করেন। ১৯ রানের দুইটি ইনিংস আসে মোহাম্মদ হারিস ও ইয়াসির আলীর ব্যাট থেকে। শেষ দিকে মৃত্যুঞ্জয়ের ১৪ রানে লড়াকু পুঁজি পায় রাজশাহী।

আরো পড়ুন:

শঙ্কা কাটিয়ে সিলেটের বিরুদ্ধে ব্যাটিংয়ে রাজশাহী

চট্টগ্রামে ‘চিটাগং ঝাঁজ’ টের পেল খুলনা

সিলেটের বোলিং তেমন আলো ছড়ায়নি। পেসার রুয়েল মিয়া ৩২ রানে ৩ উইকেট দিয়ে ছিলেন দলের সেরা। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন নাহিদুল ও নিহাদুজ্জামান। ৪ ওভারে ৩৯ ও ৩ ওভারে ৩৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন যথাক্রমে রিচ টপলি ও আরিফুল হক।

চট্টগ্রাম/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব প এল উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ