মেসির সতীর্থ ইকার্দির মিষ্টি প্রেম, রোমান্সের নতুন অধ্যায়
Published: 17th, January 2025 GMT
২০২৪ সালের অন্যতম আলোচিত প্রেমের গল্প লিখছেন আর্জেন্টিনার তারকা ফুটবলার মাউরো ইকার্দি এবং অভিনেত্রী মারিয়া ইউজেনিয়া ‘লা চায়না’ সুয়ারেজ। গত ৯ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার, ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টের মাধ্যমে তাদের সম্পর্কের কথা প্রকাশ্যে আনেন তারা। এরপর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের ভালোবাসার প্রকাশ যেন থামছেই না।
সম্প্রতি সুয়ারেজ এবং ইকার্দির কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। একটি ছবিতে দেখা যায়, অভিনেত্রী ফুটবলারের কোলে বসে আছেন। অপরদিকে, একটি ছোট ভিডিওতে দেখা যায়, তারা একসঙ্গে একটি সোফায় শুয়ে আছেন এবং চায়না ইকার্দির চুলে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। এই পোস্টগুলো মুহূর্তেই তাদের ভক্ত-অনুরাগীদের মধ্যে আলোড়ন তোলে।
ইকার্দির ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নানা ধরণের মন্তব্য করেছেন তার ১৩.
চায়না সুয়ারেজ তার তার ইনস্টাগ্রামে ইকার্দির পোস্টটি শেয়ার করে হার্ট ইমোজি যোগ করেন, যা তাদের ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ পেয়েছে। এই রোমান্সের খবর ভক্তদের পাশাপাশি আর্জেন্টাইন তারকা এবং সেলিব্রিটিদের মধ্যেও সাড়া ফেলেছে। গ্রাসিয়েলা আলফানো মন্তব্যের ঘরে একাধিক হার্ট ইমোজি যোগ করে তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। অন্যদিকে, মারিয়া ইউজেনিয়া রিতো মজা করে বলেছেন, ‘ভালোবাসাই সবকিছু... ভাবুন তো, তাদের সন্তানদের কেমন হবে!’
ইকার্দি এবং চায়না সুয়ারেজের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শুরু থেকেই গণমাধ্যম ও ভক্তদের কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। বিশেষত, ওয়ান্ডা নারার সঙ্গে ইকার্দির বিচ্ছেদ এবং চায়নার সঙ্গে নতুন সম্পর্কে জড়ানোর পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা চলছে।
সম্প্রতি একটি গুজব ছড়ায় যে চায়না সুয়ারেজ এবং মাউরো ইকার্দি সন্তানের প্রত্যাশা করছেন। আর্জেন্টাইন সাংবাদিক ইয়ানিনা লাতোরে দাবি করেন, চায়নার প্রসূতি বিশেষজ্ঞ নাকি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে চায়না সুয়ারেজ নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গুজব খণ্ডন করেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, ‘আমি গর্ভবতী নই।’। এ বিষয়ে তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, যারা এসব ভুয়া খবর ছড়াচ্ছে, তাদের উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি ক্ষুব্ধ।
অন্যদিকে, মাউরো ইকার্দির বিরুদ্ধে মামলা নিয়ে আর্জেন্টিনার আদালতে ওয়ান্ডা নারা ভার্চুয়াল সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইকার্দি তাকে এবং তার সন্তানদের নিয়মিত হুমকি দিতেন। ওয়ান্ডা বলেন, ‘আমি পাঁচ সন্তানের মা। তাদের মধ্যে তিনজন কিশোর এবং তারা এসব হুমকির সাক্ষী। মাউরো আমাদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি এবং ভিডিও তার বন্ধুদের দেখাতো, যা আমাকে সবসময় বিব্রত করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ১২ বছরে, প্রেম ও বিবাহের সময়কালে, মাউরো বিভিন্ন সময় আমাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করেছে এবং সেগুলো অনেকের সঙ্গে শেয়ার করেছে। শুধু আমার সঙ্গে নয়, সে এমনকি অন্যদের সঙ্গেও এসব করতো।’
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন আর জ ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল