‘পুষ্পা' নামে সিনেমায় বানিয়ে মাতিয়ে দিয়েছে ভারতের দক্ষিণী পরিচালক সুকুমার। সাধারণ এ ধরণের নাম নারীদের বেলায় রাখা হয়। কিন্তু এই ছবিতে পুষ্পা নাম নিয়েই পর্দায় হাজির হয়েছেন আল্লু অর্জুন। পরের ইতিহাস সবার জানা। প্রথম কিস্তির পর দ্বিতীয় কিস্তিও বাজিমাত বক্স অফিসে। 

প্রায় ৫০০ কোটি রুপিতে নির্মিত হয়েছে ‘পুষ্পা ২’ বিশ্বব্যাপী সিনেমাটির আয় ছাড়িয়ে গেছে এক হাজার ৮০০ কোটি। অনেকে ধারণা করেছিল, এটি দুই হাজার কোটির ক্লাবে প্রবেশ করবে। 

এবার ফুলের নাম নতুন এক সিনমার ঘোষণা এলো বাংলাদেশে। নাম ‘গোলাপ’। রোববার গোলাপ সিনেমার প্রথম পোস্টার প্রকাশ করে জানিয়ে দেওয়া হলো ছবিটিতে নায়ক হিসেবে থাকছেন নিরব। 

অনিক বিশ্বাসের চিত্রনাট্যে সিনেমাটি পরিাচলনা করবেন  সামসুল হুদা। চিত্রনাট্য করেছেন এর আগে  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অ্যানাউন্সমেন্ট পোস্টার শেয়ার করে পরিচালক জানিয়েছিলন, ‘লোকে কি ভাবে সেটা মুখ্য না, গোলাপ যেটা বলবে সেটাই চেতনা!

ফুলের নামে যেহেতু নাম পোস্টারেও পুষ্পা ছবির কিছুটা আবহ পাওয়া গেছে। তাহলে কি ভারতীয় পুষ্পার আদলে নির্মিত হচ্ছে সিনেমাটি? প্রশ্নের উত্তরে নির্মাতা বললেন, এখনই সিনেমাটি সম্পর্কে তেমন কিছু বলতে চাই না। শুধু এতটুকু বলতে চাই, সাসপেন্স থ্রিলার গল্পের সিনেমা হতে যাচ্ছে এটি। কোনো সিনেমার অনুকরণে নয়। মৌলিক গল্পের সিনেমা হবে এটি। 

জানা গেছে, আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে সিনেমাটির শুটিং শুরু হবে। ঢাকা, সৈয়দপুরের বিভিন্ন লোকেশনে এর চিত্রায়ন হবে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ