কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ২১ জানুয়ারি থেকে আগামী ২৭ জানুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী 'গণতন্ত্র অভিযাত্রা' করবে। জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচার, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, বর্ধিত ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার, জান-মালের নিরাপত্তা প্রদান, চাঁদাবাজি-দখলদারিত্ব-দুর্নীতি-হামলা বন্ধ এবং জাতীয় সংসদের সুনির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণাসহ শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের দাবি মেনে নেওয়াসহ বিভিন্ন দাবিতে এই কর্মসূচি পালিত হবে।

সোমবার সিপিবি'র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এতে আরও বলা হয়, 'গণতন্ত্র অভিযাত্রা' কর্মসূচি পালনকালে সিপিবি'র কেন্দ্রীয় নেতারা সারাদেশে পদযাত্রা ও গণসংযোগ কর্মসূচিতে অংশ নেবেন। এ সময় গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম এগিয়ে নেওয়া ও নীতিনিষ্ঠ রাজনীতির পতাকা তলে দেশবাসীকে সমবেত হবার আহ্বান জানাবেন তারা।

ঢাকার কর্মসূচি: গণতন্ত্র অভিযাত্রার প্রথম দিন মঙ্গলবার বেলা সাড়ে তিনটায় রাজধানীর পুরানা পল্টনের সিপিবি'র কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত পদযাত্রা ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হবে। সিপিবি'র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স ও সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এই পদযাত্রায় অংশ নেবেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।

শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।

রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে জনগণের হিস্যা কোথায়
  • প্রধান উপদেষ্টা অনেক বিচক্ষণতার পরিচয় দিয়েছেন: ফখরুল
  • ইউনূস-তারেকের বৈঠক দেশের মানুষের জন্য স্বস্তির বার্তা, আশার আলো
  • বর্তমান সংকটে হবস, রবীন্দ্রনাথ ও অমর্ত্য সেন যেখানে প্রাসঙ্গিক
  • ড. ইউনূস ও তারেকের বৈঠক জাতির জন্য স্বস্তির বার্তা: ১২ দলীয় জোট
  • লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি