মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) অভিযানে অবৈধভাবে আমদানি করা ৫০ কেজি ওজনের ১৮৮ বস্তা ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে পুলিশ। এসময় বহনকারী ট্রাকটিও আটক করা হয়।

এ ঘটনায় ইয়াসিন আলী (২৫) এবং রিফাত হাসান দিপু (২২) নামে দুজনকে আটক করা হয়েছে।

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের কলারগাও যাত্রীছাউনি এলাকা থেকে সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাতে একটি মালবাহী ট্রাকে পাথর নিয়ে যাচ্ছিলো। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই ট্রাকে পরিবাহিত পাথরের নিচ থেকে চিনির বস্তাগুলো জব্দ করা হয়।

অভিযান পরিচালনাকারী এসআই মাহমুদুর রহমান বলেন, “গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সিলেট থেকে আগত একটি ট্রাক তল্লাশি করি। ঘটনাস্থল থেকে ৫০ কেজি ওজনের ১৮৮ বস্তায় মোট ৯ হাজার ৪০০ কেজি চিনি জব্দ করা হয়। যার আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা। এসময় চিনি পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে। চিনি পাচারকারী এই চক্র সিলেট জেলার জৈন্তাপুর সীমান্ত এলাকা থেকে সংগ্রহ করে বিক্রির উদ্দেশ্যে কুমিল্লা নিয়ে যাচ্ছিল। তারা পুলিশের চোখ ফাঁকি দেওয়ার জন্য চিনির উপর পাথর সাজিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল।”

মৌলভীবাজার জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ আবুল কাশেম সরকার জানান, চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারতীয় পণ্য বাংলাদেশে আমদানি করার অপরাধে আটককৃত দুজনই সিলেটের জৈন্তাপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার সদর থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (বি)/ডি ধারায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

ঘটনার সত‍্যতা নিশ্চিত করে জেলা পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসাইন জানান, চিনি পাচারের সাথে জড়িতদের বিরোদ্ধে মৌলভীবাজার সদর থানায় মামলা হয়েছে।

ঢাকা/আজিজ/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা

সিদ্ধিরগঞ্জে জোর পূর্বক সম্পত্তি লিখে নিতে সন্ত্রাসী দিয়ে নিজাম উদ্দিন নামে এক প্রবাসীর ৬ তলা বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।

এ ঘটনায় বন্দর থানার গকুলদাসেরবাগ এলাকার আ: বাতেনের মেয়ে ও প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের ভাগ্নী মাহমুদা (৪০) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্ধা তার মামী উম্মে হাবিবা বিন্দু (২৬), মামীর বাবা বাবুল (৫০) ও মামীর মা সখি (৪৫) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগে মাহমুদা উল্লেখ করেন, গত ৯বছর পূর্বে আমার মামার সাথে উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিবাহ হয়। আমার মামার পরিবারে ২টি পুত্র সন্তান আছে। আমার মামা একজন প্রবাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী হওয়ার সুবাদে বিবাদীরা আমার মামার টাকা বিভিন্ন ভাবে অপচয় করিত। গত ৫বছর পূর্বে বিবাদী বাবুল আমার মামার কাছ থেকে জমি ক্রয় ও ব্যবসায়ীক কারণে হাওলাত বাবদ ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।

গত ৩ বছর পূর্বে আমার মামা দেশে এসে তার স্ত্রী বিন্দুর কাছে উক্ত টাকা দাবি করলে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে আমার মামাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করিতে থাকে। এসময় আমার মামা উক্ত বিষয়টি তার শ্বশুর বাবুলকে জানাইলে তারা উক্ত টাকা দিব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করতে থাকে।

এরই উপর ভিত্তি করে গত ২ মাস পূর্বে পুনরায় আমার মামা তার শ্বশুরের কাছে টাকা দাবি করলে তিনি উক্ত টাকা দিবে না মর্মে জানায়। এমনকি আমার মামাকে জানায় আমার মামা যদি সিদ্ধিরগঞ্জের তাঁতখানা এলাকার গোদনাইল মৌজাস্থিত ৬তলা বিশিষ্ট বাড়িটি তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তাকে বড় ধরণের ক্ষতি সাধন করবে।


অভিযোগে মাহমুদা আরো উল্লেখ করেন, গত বুধবার আমার মামার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী সহ আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার আমার মামার বাড়ীতে প্রবেশ করে আমার মামার অজ্ঞাতসারে ভাংচুর চালায়।

এসময় উক্ত বাড়ীতে আমার খালা সালেহা (৫০) অবস্থানকালে তারা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে তারা উক্ত বাড়ী তালা বদ্ধ করে চলে যায়। এসময় তারা আমার খালাকে জানায় আমার মামা যদি উক্ত বাড়ী তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তারা আমার মামাকে জানে মারিয়া ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাসান আলী জানান, দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তবে বাড়িতে তালা দেয়ার বিষয়ে নিজামের স্ত্রী বিন্দু ও তার শ্বশুর বাবুলকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তারা অস্বীকার করেছে। যেহেতু বিষয়টি পারিবারিক তাই উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা