গুণী সম্মাননা পাচ্ছেন প্রয়াত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ার
Published: 21st, January 2025 GMT
পাঁচ শতাধিক শিল্পী, সংস্কৃতিকর্মী ও সংগঠকের অংশগ্রহণে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের ৪৩তম বার্ষিক অধিবেশন শুরু হচ্ছে বৃহস্পতিবার। রাজধানীর ধানমন্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে অধিবেশনের পর্দা উঠছে। তিন দিনের সান্ধ্য অধিবেশন সাজানো হয়েছে গুণীজনের সুবচন রবিরশ্মি, গীতি আলেখ্য, আবৃত্তি, পাঠ, নৃত্য ও গান দিয়ে।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বোধনসংগীত ‘এই কথাটা ধরে রাখিস, মুক্তি তোরে পেতেই হবে’ গাওয়ার মধ্য দিয়ে অধিবেশনের উদ্বোধন হবে। প্রথমদিন রবীন্দ্রপদক দিয়ে গুণী সম্মাননা জানানো হবে রবীন্দ্রসংগীতের প্রয়াত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারকে।
আজ মঙ্গলবার ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সহ-সভাপতি সারওয়ার আলীর সভাপতিত্বে আয়োজনের বিস্তারিত তুলে ধরেন সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তানিয়া মান্নান। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন সহসভাপতি বুলবুল ইসলাম, আমিনুল হক বাবুল এবং লাইসা আহমদ লিসা।
তানিয়া মান্নান জানান, আয়োজন উদ্বোধন করবেন সংগীতগুণী সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। সেখানে প্রধান অতিথি থাকবেন চিত্রশিল্পী রফিকুন নবী। এ আয়োজনে রবীন্দ্রপদক দিয়ে গুণী সম্মাননা জানানো হবে রবীন্দ্রসংগীতের প্রয়াত শিল্পী পাপিয়া সারোয়ারকে।
দ্বিতীয় দিন বিকেল ৪টায় আছে সেমিনার। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন অধ্যাপক ফকরুল আলম। আলোচনায় অংশ নেবেন আলম খোরশেদ ও হামীম কামরুল হক।
শেষের দিন বিকেল সাড়ে ৩টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। প্রকাশ করা হবে সংকলন ‘সংগীত সংস্কৃতি’। আয়োজন শেষ হবে আগামী ২৫ জানুয়ারি।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
খালেদা জিয়ার অবস্থা ‘অত্যন্ত সংকটাপন্ন’
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ফুসফুসে সংক্রমণ থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর দেখা দেয় নিউমোনিয়া। এর সঙ্গে রয়েছে কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসের পুরোনো সমস্যা। ফলে পরিস্থিতি এমন—একটি রোগের চিকিৎসা দিতে গেলে আরেকটির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে।
এমন পরিস্থিতিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থাকে ‘অত্যন্ত সংকটময়’ বলে উল্লেখ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির নেতারা বলছেন, গত দুই দিনে তাঁর অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকেরা তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সম্ভব হলে দ্রুত সিঙ্গাপুরে নেওয়ার বিষয়ে চিন্তা করছেন।
এদিকে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তাঁর সুস্থতা কামনা করে গতকাল শুক্রবার সারা দেশে মসজিদে মসজিদে দোয়া ও মোনাজাত করেছে বিএনপি।
খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গত রোববার। সেদিন তাঁর অনেক শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছিল। দ্রুত তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাৎক্ষণিকভাবে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি
হলে দুই দিন আগে তাঁকে হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে মেডিকেল বোর্ডের দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা চলছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার নেতিবাচক খবরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে।
লন্ডনে অবস্থানরত বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান সার্বক্ষণিক খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর রাখছেন। জুবাইদা রহমান খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য। ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমান শাশুড়ি খালেদা জিয়ার সঙ্গে হাসপাতালে আছেন।
খালেদা জিয়াকে দেখতে গতকাল বিকেলে হাসপাতালে যান মির্জা ফখরুল ইসলাম ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তাঁরা সিসিইউর ভেতরে যাননি। বাইরে থেকে দেখে এসেছেন। পরে এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের আমীর খসরু বলেন, ‘আমরা দূর থেকে দেখেছি। ইনফেকশনের ঝুঁকি আছে, তাই সিসিইউতে যাওয়া যায় না। আমরা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। ম্যাডামের অবস্থার উন্নতি নেই। মেডিকেল বোর্ড চেষ্টা করছে।’
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খবর নিতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে আসছেন বিএনপির নেতা–কর্মীরা। শুক্রবার রাতে হাসপাতালের সামনে তাঁদের একটি দল