বিশ্ব চলচ্চিত্রের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড বা অস্কার। কিছুদিন আগে ৯৭তম আসরের মনোনয়নপ্রাপ্তদের তালিকা ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ভয়াবহ দাবানলের কারণে তা স্থগিত করা হয়। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) ঘোষণা করা হয়েছে মনোনয়ন তালিকা।

মনোনয়নের তালিকায় ‘এমিলিয়া পেরেজ’, ‘দ্য ব্রুটালিস্ট’ ও ‘উইকেড’ সিনেমার জয়জয়কার। ‘এমিলিয়া পেরেজ’ ১৩টি শাখায় আর বাকি দুটো সিনেমা ১০টি করে মনোনয়ন পেয়েছে। চলুন জেনে নিই উল্লেখযোগ্য বিভাগে কারা পেলেন এবারের অস্কার মনোনয়ন—

সেরা সিনেমা
আনোরা
দ্য ব্রুটালিস্ট
আ কমপ্লিট আননোন
কনক্লেভ
ডুন: পার্ট টু
এমিলিয়া পেরেজ
আই এম স্টিল হেয়ার
নিকেল বয়েজ
দ্য সাবস্ট্যান্স
উইকেড

আরো পড়ুন:

প্রখ্যাত পরিচালক ডেভিড লিঞ্চ মারা গেছেন

সত্যি কি দাবানলে পুড়েছে অস্কারের ট্রফি?

সেরা অভিনেতা
অ্যাড্রিয়েন ব্রডি (দ্য ব্রুটালিস্ট)
টিমোথি শ্যালামেট (আ কমপ্লিট আননোন)
কোলম্যান ডোমিঙ্গো (সিং সিং)
রেফ ফাইঞ্জ (কনক্লেভ)
সেবাস্টিয়ান স্ট্যান (দ্য অ্যাপ্রেন্টিস)

সেরা অভিনেত্রী
সিনথিয়া এরিভো (উইকেড)
কার্লা সোফিয়া গ্যাসকন (এমিলিয়া পেরেজ)
মাইকি ম্যাডিসন (আনোরা)
ডেমি মুর (দ্য সাবস্ট্যান্স)
ফের্নান্দো তোরেস (আই এম স্টিল হেয়ার)

সেরা পরিচালক
জ্যাক অঁদিয়ার (এমিলিয়া পেরেজ)
শন বেকার (আনোরা)
ব্র্যাডি করবেট (দ্য ব্রুটালিস্ট)
জেমস ম্যানগোল্ড (আ কমপ্লিট আননোন)
কোরালি ফারজাঁ (দ্য সাবস্ট্যান্স)

সেরা পার্শ্ব-অভিনেতা
ইউরা বোরিসভ (আনোরা)
কিরান কুলকিন (আ রিয়েল পেইন)
এডওয়ার্ড নর্টন (আ কমপ্লিট আননোন)
গাই পিয়ার্স (দ্য ব্রুটালিস্ট)
জেরেমি স্ট্রং (দ্য অ্যাপ্রেন্টিস)

সেরা সহ-অভিনেত্রী
মনিকা বারবারো (আ কমপ্লিট আননোন)
আরিয়ানা গ্র্যান্ডে (উইকেড)
ফেলিসিটি জোন্স (দ্য ব্রুটালিস্ট)
ইসাবেলা রোসেলিনি (কনক্লেভ)
জো সালদানা (এমিলিয়া পেরেজ)

সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম
আই এম স্টিল হেয়ার (ব্রাজিল)
দ্য গার্ল উইথ দ্য নিডল (ডেনমার্ক)
এমিলিয়া পেরেজ (ফ্রান্স)
দ্য সিড অব দ্য স্যাক্রেড ফিগ (জার্মানি)
ফ্লো (লাটভিয়া)

সেরা অ্যানিমেটেড সিনেমা
ফ্লো
ইনসাইড আউট টু
মেমোয়ার অব আ স্নেইল
ওয়ালেস অ্যান্ড গ্রোমিট
দ্য ওয়াইল্ড রোবট

সেরা মৌলিক চিত্রনাট্য
আনোরা (শন বাকের)
দ্য ব্রুটালিস্ট (ব্র্যাডি করবেট এবং মোনা ফাস্টভোল্ড)
এ রিয়েল পেইন (জেসি আইজেনবার্গ)
সেপ্টেম্বর ফাইভ (মরিজ বাইন্ডার, টিম ফেহলবাউম, অ্যালেক্স ডেভিড)
দ্য সাবস্ট্যান্স (কোরালি ফারজাঁ)

সেরা মৌলিক গান
নেভার টু লেট (এলটন জন নেভার টু লেট)
এল মাল (এমিলিয়া পেরেজ)
মি ক্যামিনো (এমিলিয়া পেরেজ)
লাইক আ বার্ড (সিং সিং)
দ্য জার্নি (দ্য সিক্স ট্রিপল এইট)

তথ্যসূত্র: বিবিসি, সিএনএন

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র এম ল য উইক ড

এছাড়াও পড়ুন:

বিদেশে গিয়েও সুদিন ফেরেনি, কলা চাষে এল সাফল্য

দীর্ঘদিনের পরিত্যক্ত এক একর জমি এখন সবুজে আচ্ছাদিত। সেখানে দেড় বছর আগে রোপণ করা হয় ৩২০টি কলা গাছ। সঠিক পরিচর্যা পেয়ে গাছগুলো সুস্থ ও সবল হয়ে বেড়ে উঠেছে। সারি সারি কলাগাছে ঝুলছে কলার ছড়া। মেহের সাগর জাতের এই কলা চাষে সুদিন ফিরেছে বিদেশ ফেরত আবু সিদ্দিকের।

আবু সিদ্দিক (৫৫) চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বাসিন্দা। স্ত্রী ও পাঁচ সন্তানের পরিবারে একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি তিনি। ২০১৭ সালে জীবিকার তাগিদে সৌদি আরবে পাড়ি জমান। সেখানে শারীরিক অসুস্থতার কারণে অধিকাংশ সময় বেকার থেকেছেন। তাই প্রবাসে গিয়েও সচ্ছলতার মুখ দেখেননি। ২০২৪ সালে দেশে ফিরে আসেন সিদ্দিক। স্থানীয় বাজারগুলোতে সারা বছর চাহিদা থাকায় কলা চাষের উদ্যোগ নেন, তবে তাঁর নিজের কোনো জমি নেই।

লোহাগাড়া উপজেলা সদর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে আট কিলোমিটার দক্ষিণে চুনতি শাহ সাহেব গেট। সেখান থেকে চুনতি ইসহাক মিয়া সড়ক ধরে গেলে হাতের ডানে একটি মাঠের পর চুনতি সুফি নগর বাগানপাড়া এলাকায় আবু সিদ্দিকের কলাবাগানটি চোখে পড়ে।

আবু সিদ্দিক বলেন, খুঁজতে খুঁজতে বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে পরিত্যক্ত এক একর জমি চোখে পড়ে তাঁর। বছরে ছয় হাজার টাকায় ওই জমি ভাড়া নেন। কৃষি কর্মকর্তার পরামর্শ নিয়ে গত বছরের জুনে শুরু করেন কলা চাষ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ৪০ টাকা দরে ৩২০টি চারা সংগ্রহ করেন তিনি। এতে তাঁর খরচ হয় ১৩ হাজার টাকা। রোপণের ১০ মাস পর কলা বিক্রির উপযোগী হয়। সাত মাস আগে থেকেই তিনি কলা বিক্রি শুরু করেছেন। শ্রমিকের মজুরি, সার, কীটনাশক ও নিয়মিত সেচ বাবদ এ পর্যন্ত তাঁর খরচ হয়েছে ৮০ হাজার টাকা। প্রতিটি ছড়া গড়ে ৫০০ টাকা দরে গত ৭ মাসে আড়াই লাখ টাকার কলা বিক্রি করেছেন তিনি। এখন খরচ বাদে কলা ও গাছের চারা বিক্রি করে প্রতি মাসে ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা পান সিদ্দিক।
সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, ১ একর আয়তনের জমিতে ৬ ফুট দূরত্বে রোপণ করা হয়েছে ৩২০টি মেহের সাগর জাতের কলাগাছ। একটি গাছ থেকে নতুন চারা গজিয়ে আরও চার থেকে পাঁচটি গাছ হয়েছে। প্রায় প্রতিটি আট ফুট উচ্চতার প্রাপ্তবয়স্ক গাছে ঝুলছে কলার ছড়া। একেকটি ছড়ায় রয়েছে ৮০ থেকে ১৫০টি কলা। আবু সিদ্দিক সেখানে কলাগাছের আগাছা পরিষ্কার করছিলেন।

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, ১ একর আয়তনের জমিতে ৬ ফুট দূরত্বে রোপণ করা হয়েছে ৩২০টি মেহের সাগর জাতের কলাগাছ। একটি গাছ থেকে নতুন চারা গজিয়ে আরও চার থেকে পাঁচটি গাছ হয়েছে। প্রায় প্রতিটি আট ফুট উচ্চতার প্রাপ্তবয়স্ক গাছে ঝুলছে কলার ছড়া। একেকটি ছড়ায় রয়েছে ৮০ থেকে ১৫০টি কলা।

কলা চাষে সফলতার মুখ দেখে উৎসাহিত হয়ে এক মাস আগে আধা কিলোমিটার দূরত্বে নতুন করে ২ বিঘা জমিতে আরও ৬০০টি কলাগাছ লাগিয়েছেন সিদ্দিক। তিনি বলেন, কলা চাষে প্রথমবার চারা কিনতে যে ব্যয় হয়েছিল, পরের বার তা ব্যয় হবে না। খরচ অর্ধেকে নেমে আসবে। প্রতিবছর চারা বিক্রির টাকা দিয়ে খরচ মেটানো সম্ভব হবে। এতে এক একর এই বাগান থেকে খরচ বাদে প্রতিবছর সাড়ে তিন লাখ টাকা আয় হবে তাঁর। স্থানীয় বাজারের ব্যবসায়ীরা বাগানে এসে কলা নিয়ে যান। তাই বাড়তি শ্রম ও পরিবহন খরচ দিয়ে বাজারে নিয়ে যেতে হয় না। জমি পেলে কলা চাষের পরিধি বাড়াবেন বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে লোহাগাড়া উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা সরোয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, কঠোর পরিশ্রমের কারণে আবু সিদ্দিক সফল হয়েছেন। তাঁকে প্রণোদনা হিসেবে সার ও অর্থসহায়তা দেওয়া হচ্ছে। লোহাগাড়ার আবহাওয়া ও মাটি কলা চাষের জন্য উপযোগী। তা ছাড়া এ অঞ্চলে কলার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ