এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং
Published: 26th, January 2025 GMT
উড়োজাহাজের ইঞ্জিনিয়ার মানে এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার (এএমই)। এএমই লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তি উড়োজাহাজের যাবতীয় এবং আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে। বিশেষ করে অ্যারোপ্লেন উড্ডয়নের আগে এর সব সিস্টেম ঠিক আছে কিনা তা সম্পর্কে পাইলটরা সব ধরনের তথ্য নিয়ে থাকে তার কাছ থেকেই। উড়োজাহাজের যাত্রী এবং পাইলটদের জীবন ও তাদের নিরাপদে পৌঁছানোর অনেক কিছুই নির্ভর করে এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারের ওপর। কেননা সে যদি কোনো ভুল তথ্য দিয়ে থাকে, তবে উড়োজাহাজ নিয়ে নিরাপদ গন্তব্যে পৌঁছানো দুরূহ বিষয় হয়ে পড়ে। প্রথম যেদিন থেকে উড়োজাহাজ চলা শুরু হয়েছে সেদিন থেকেই প্রয়োজন হয়েছে অ্যারোনেটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বা এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারদের। সময়ের সঙ্গে ঘটছে এই শিল্পের বিকাশ। আর সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বজুড়ে ব্যাপকসংখ্যক ইঞ্জিনিয়ারদের প্রয়োজন পড়ছে প্রতিনিয়ত। আমাদের দেশে অবশ্য এই বিষয়টি অনেকের কাছেই নতুন মনে হতে পারে। কিন্তু উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে এই বিষয়টি অনেক আগে থেকেই পরিচিত। আমাদের দেশে বিষয়টি নিয়ে পড়ানোর সুযোগও তৈরি হয়েছে মাত্র কয়েক বছর হলো। এই বিষয়ে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠায় এখন সহজে এবং অল্প খরচেই বিষয়টি নিয়ে পড়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে শিক্ষার্থীদের। আমরা যদি গতানুগতিক বিষয়ে না পড়ে একটু যুগের চাহিদার দিকে লক্ষ্য করে নতুন বিষয়ে পড়া যেতে পারে। এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং তেমনি একটি বিষয়। এসএসসি, এইচএসসি অথবা ও-লেভেল বা এ-লেভেল পাস করেই যে কোনো ছাত্রছাত্রী দেশে শুরু করতে পারেন এয়ারক্রাফট মেইনটেইন্যান্স বিষয়ে পড়াশোনা। এয়ারক্রাফট মেইনটেইন্যান্স (অ্যারোস্পেস/এভিওনিক্স) হচ্ছে কোনো আকাশযানের উড্ডয়নের আগে সব ধরনের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পর্যবেক্ষণ, মেরামত সম্পর্কিত বিজ্ঞানভিত্তিক জ্ঞান।
বিমান তৈরি, মেরামত, পর্যবেক্ষণ এবং এ-সম্পর্কীয় যাবতীয় ডিজাইন এ বিষয়ে অন্তর্ভুক্ত। বর্তমানে এই বিষয়ে পড়াশোনা করাচ্ছে ইউনাইটেড কলেজ অব এভিয়েশন সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট। বিশ্বজুড়ে সব দেশেই কাজের সুযোগ রয়েছে, এমন পেশার সংখ্যা খুব বেশি নয়। যে কয়েকটি পেশায় এই সুযোগ রয়েছে এর মধ্যে অন্যতম এয়ারক্রাফট মেইনটেইন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং। এয়ারলাইন্স খাতে এ ধরনের ইঞ্জিনিয়ারের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বজুড়ে এয়ারলাইন্স শিল্পের প্রসারের সঙ্গে এর চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়েই চলেছে। এ বিষয়ের বিশেষজ্ঞরা উড়োজাহাজের সব ধরনের মান নিশ্চিত করেন। বিশেষ করে অ্যারোপ্লেন উড্ডয়নের আগে এর সব সিস্টেম ঠিক আছে কিনা– সে সম্পর্কে পাইলটরা সব ধরনের তথ্য নিয়ে থাকেন তাঁর কাছ থেকে। এ বিষয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স শেষ করে চাকরির নিশ্চয়তা রয়েছে।
ভর্তির যোগ্যতা : এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৩.
বিস্তারিত–
ফোন : ০১৭৪৯৩০৬০৯০। v
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি পলিটেকনিকে ভর্তি: ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে এসএসসি উত্তীর্ণদের সুযোগ
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে চার বছর মেয়াদি বিভিন্ন ডিপ্লোমা শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রমের সময়সূচি ঘোষণা করেছে। এ কার্যক্রমের আওতায় সরকারি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটগুলোতে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা ইন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা ইন টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং, ডিপ্লোমা ইন অ্যাগ্রিকালচার, ডিপ্লোমা ইন ফিশারিজ, ডিপ্লোমা ইন ফরেস্ট্রি, ডিপ্লোমা ইন লাইভস্টক এবং ডিপ্লোমা ইন ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট শিক্ষাক্রমে ভর্তিতে শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
এ–সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন ২০২৩, ২০২৪ ও ২০২৫ সালে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা। আবেদনের এ প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামীকাল বুধবার (৩০ জুলাই) থেকে। আবেদনপ্রক্রিয়া চলবে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত। আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা ২১ থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ২৯ আগস্ট (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত।
আরও পড়ুননটর ডেম কলেজ: একাদশে ভর্তিতে যোগ্যতার শর্ত প্রকাশ, ও লেভেল শিক্ষার্থীদের আবেদন নয়, আসন ৩২৯০টি২৬ জুলাই ২০২৫ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে আগামী ৪ সেপ্টেম্বরে। একই দিনে শুরু হবে প্রথম পর্যায়ের নিশ্চয়ন কার্যক্রম, যা চলবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর ৯ সেপ্টেম্বর প্রথম পর্যায়ের মাইগ্রেশন ও অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে দ্বিতীয় পর্যায়ের ফলাফল প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ের নিশ্চয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে।
১১ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের নিশ্চয়নপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা। তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের সরাসরি ভর্তি কার্যক্রম চলবে ১৪ ও ১৫ সেপ্টেম্বরে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে।
আরও পড়ুনপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষকের বেতন গ্রেড এক ধাপ বাড়ছে১৫ ঘণ্টা আগেপরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা ২২ ও ২৩ সেপ্টেম্বর পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ পাবেন। শূন্য আসনের ভিত্তিতে ২৪ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে তৃতীয় পর্যায়ের ফলাফল। তৃতীয় পর্যায়ের ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে ২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এবং ভর্তি কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে শেষ হবে ২৯ সেপ্টেম্বর।
ভর্তিসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য ও নির্দেশিকা পাওয়া যাবে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, টেকনিক্যাল এডুকেশন অধিদপ্তর এবং বিটিইবির ওয়েবসাইটে
আরও পড়ুনঅষ্টম শ্রেণিতে আবারও বৃত্তি পরীক্ষা ফিরছে, আছে প্রশ্নও২৮ জুলাই ২০২৫