ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত জেলা ও মহানগর আহ্বায়ক কমিটি পুনর্বিবেচনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে একটি পক্ষ। সোমবার রাতে ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জি কে ওমর।

এ সময় বক্তব্য দেন আশিকুর রহমান ও ফুয়াদ খান। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রোববার ঢাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা এবং মহানগরের কমিটি প্রকাশ করা হয়েছে। শহরে যারা আন্দোলনের নেতৃত্বে দিয়েছেন, তারা কমিটিতে উপেক্ষিত হয়েছেন।

কমিটি প্রকাশ হওয়ার আগে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির টিম লিডার লুৎফর রহমানকে ময়মনসিংহের সার্বিক পরিস্থিতি এবং অন্য প্রতিনিধিদের জানানো হয়েছিল উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ৫ আগস্টের পর জুলাই বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ না করে অনেকে বিভিন্ন অপকর্মের ঘটনা ঘটিয়েছে। থানায় দুটি অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। এর পরও প্রতিনিধি টিম লিডার কোনো সাংগঠনিক ব্যবস্থা না নিয়ে তাদের কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন করেছে।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কমিটিতে বিভিন্ন সংগঠনের পদধারী নেতাদের বিনা অনুমতিতে পদায়ন করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। তারা বিষয়টি পুনর্বিবেচনায় নেবেন। বিতর্কিত লোকদের সঙ্গে কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় বলে তারা উল্লেখ করেছেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ময়মনস হ কম ট

এছাড়াও পড়ুন:

ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা করা হয়েছে। শোকজের জবাব সন্তোষজনক হওয়ায় তাঁকে ক্ষমা করে আগের পদ আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) পদে বহাল করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনি কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে মুঠোফোনে ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘কর্তৃপক্ষ আমার জবাবে সন্তুষ্ট হয়ে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজে যোগ দিয়েছি।’

গতকাল বুধবার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত একটি পত্র জারি করা হয়। এতে বলা হয়েছে, ‘৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালে হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু, ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে মহাপরিচালকের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয় এবং সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। তিনি তাঁর অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের কারণে ক্ষমা চেয়ে এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়।’

চিঠিতে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মহোদয় বরাবর প্রেরিত প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় মহাপরিচালকের উদারতা ও মহানুভবতায় ধনদেব চন্দ্র বর্মণকে ক্ষমা প্রদর্শন করেন এবং তাঁকে পূর্বের কর্মস্থল ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জ পদে পুনর্বহাল রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। সে মোতাবেক তাঁকে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্বে পুনর্বহাল করা হলো। এই আদেশ পত্র জারির তারিখ থেকে কার্যকর হবে।’

আরও পড়ুনস্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কে জড়ালেন চিকিৎসক, বললেন ‘আমাকে সাসপেন্ড করেন, নো প্রবলেম’০৬ ডিসেম্বর ২০২৫

৬ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফর। এ সময় হাসপাতালের ক্যাজুয়ালটি অপারেশন থিয়েটার পরিদর্শনে গিয়ে ডিজি কক্ষের ভেতরে টেবিল থাকার কারণ জানতে চান চিকিৎসকদের কাছে। এ সময় জরুরি বিভাগের ক্যাজুয়ালটি ইনচার্জ ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তাঁর সঙ্গে তর্কে জড়ান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ডিজির সঙ্গে তর্ক, ক্ষমা চেয়ে দায়িত্বে ফিরলেন সেই চিকিৎসক
  • ক্ষমা পেয়ে কাজে যোগ দিলেন চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ
  • নান্দাইলে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মশালমিছিল
  • অশ্রুসিক্ত ক্যামেরায় সম্ভ্রমহারার ছবি