দুর্নামের দায়ভার নিল বিসিবি, নজরদারিতে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা
Published: 28th, January 2025 GMT
‘প্রথমবার চেক বাউন্স হল, এত কিছু হল, তবুও মানা যায়। কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন এরকম কিছু হল তখন বিষয়টা আমাদের জন্য লজ্জার। সবাই জিজ্ঞেষ করে টাকা পাইছি কী না’-রাইজিংবিডিকে দুর্বার রাজশাহীর এক ক্রিকেটার এভাবে বলছিলেন।
দলটির রাউন্ড রবিন লিগের সব খেলা শেষ। প্লে অফের অপেক্ষায় থাকতে হবে শেষ পর্যন্ত। এখন পর্যন্ত ৫০ শতাংশ বুঝে পাননি পদ্মা পাড়ের দলটির ক্রিকেটাররা। দেশি বিদেশি সবার অবস্থা একই। চেক বাউন্সের তালিকায় যুক্ত হয়েছে চিটাগং কিংসও।
পাওনা ইস্যুতে রাজশাহীর ক্রিকেটারদের অনুশীলন বয়কটে জটিলতা শুরু। সেবার কোনোমতে সামাল দেয় পরিস্থিতি। কিন্তু বিদেশিরা ম্যাচ বয়কট করায় বিপিএলের ইতিহাসে লাগে নতুন কালিমা। নড়েচড়ে বসে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে মুখে মুখে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বললেও আদতে নতুন কিছু নেই।
আরো পড়ুন:
গ্র্যান্ডমাস্টার জিয়া পুত্রকে ১৫.
জটিলতা কাটিয়ে মাঠে গড়াচ্ছে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লিগ
মঙ্গলবার সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ডাকে বোর্ড। পাওনা পরিশোধ ব্যর্থ চিটাগং কিংসের মালিক সামির কাদের চৌধুরী ছাড়া বাকি সকলে ছিলেন উপস্থিত। সবার সঙ্গে কথা বলে বার্তা দিয়েছে বোর্ড। এদিকে বিপিএলে এই দুর্নামের দায়ভার নিয়েছে বিসিবি। নজরদারিতে রাখা হচ্ছে সাত ফ্র্যাঞ্চাইজিকে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব বৈঠকের পর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন। নিজদের কাধে দায়ভার নিয়ে ফাহিম বলেন, “বিপিএল আয়োজনের প্রস্তুতির জন্য যতটা সময় প্রয়োজন ছিল, আমাদের হাতে ছিল না। সবারই এটা মানতে হবে। একেবারে শুরুতে আদৌ আমরা করতে পারব কিনা, তা নিয়েও শঙ্কা ছিল। শেষ পর্যন্ত করা গেছে, এটা এক দিক থেকে ভালো। তবে করতে গিয়ে যতটা প্রস্তুতি দরকার ছিল বা খুঁটিনাটি জিনিস দেখা দরকার ছিল সেটা আমরা করতে পারিনি। সেই ব্যর্থতা আমাদের। তবে যেই সময়ে আমাদের টুর্নামেন্টটা করতে হয়েছে, আশা করি সেটাও সবাই মনে রাখবেন। তবে আমাদের ব্যর্থতা তো আছেই। এড়ানোর সুযোগ নেই।”
“আস্থা কিছুটা কম বলেই, এখন আমরা প্রতি মুহূর্তে তাদের নজরদারিতে রাখছি। প্রতিশ্রুতি যদি মোটামুটি রাখতেন তারা, তাহলে এত বেশি উদ্বিগ্ন হতে হতো না। তবে এখন থেকে নিয়মিত নজরে রাখব আমরা। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করছে কিনা, সেটি দেখব আমরা।”
ঢাকা/রিয়াদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।
খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।
উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।