সিদ্ধিরগঞ্জে মামলার আসামি নিয়ে আরেক আসামির জামিন দাবি শ্রমিকদল নেতা আসলামের
Published: 29th, January 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হাফেজ মো: হোসাইন আহম্মেদকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামিকে পাশে নিয়ে খুলনায় বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও লুটপাটের আরেক নাশকতা মামলার আসামির জামিন না দিলে রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি ডিপো বন্ধ করে দেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে শ্রমিকদল নেতা এসএম আসলামের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে জেলাজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
এস.
যিনি গোদনাইল পদ্মা ডিপোর আওয়ামী লীগ পন্থী সাবেক শ্রমিক নেতা ছিলেন। তিনি হাফেজ হোসাইনের দায়েরকৃত মামলায় ৬০ নং আসামি। অন্যদিকে, নাশকতা মামলার জামিন চাওয়া ওই আসামি হচ্ছেন, আলী আজিম। তিনি খুলনার খালিশপুরের বাইতিপাড়া রোডস্থ ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির অফিস ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার ৭৪ নং আসামি।
জানা যায়, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রোববার থেকে কর্মবিরতি শুরু করে ট্যাংকলরি শ্রমিকরা। আলী আজিম গত বছরের ২১ আগস্টে খুলনা নগরের খালিশপুর থানার ৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয়ে হামলা-ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা এক মামলার আসামি।
তাঁকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে যৌথভাবে কর্মবিরতির ডাক দেয় খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন, পদ্মা মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও জ্বালানি তেল-সম্পর্কিত অন্য দুইটি সংগঠন। কর্মবিরতিতে খুলনা নগরের খালিশপুর এলাকায় রাষ্ট্রায়ত্ত পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ হয়ে যায়। ফলে খুলনা ও ফরিদপুর অঞ্চলের ১৫টি জেলায় তেল সরবরাহ ব্যাহত হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সিদ্ধিরগঞ্জের এসও রোড এলাকায় অবস্থিত পদ্মা ডিপোর সামনে কিছুসংখ্যক ব্যক্তিদের নিয়ে প্রতিবাদ করেন আসলাম। এসময় বিএনপি নেতা আসলামের পাশে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি জাহিদ হোসেনকে বক্তব্য রাখতে দেখা যায়।
এসময় এসএম আসলাম গ্রেফতারকৃত আওয়ামী লীগ পন্থী শ্রমিক নেতা আলী আজিমের মুক্তির প্রতিবাদে ডিপো বন্ধ করে দেয়। সেই সঙ্গে মুক্তি না দিলে হরতালের হুঁশিয়ারির পাশাপাশি তেল সেক্টর অচলেরও হুমকি দেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আসল ম ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তি দাবিতে ইবিতে বিক্ষোভ
জুলাইবিরোধী শক্তির শাস্তির দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন তারা। পরে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।
আরো পড়ুন:
নড়াইলে ৩ দিন ধরে স্কুলছাত্রী নিখোঁজ
যবিপ্রবিতে বাতাস হলেই বিদ্যুৎ চলে যায়, অভিযোগ শিক্ষার্থীদের
মিছিলে তারা ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘লেগেছে রে লেগেছে, রক্তে আগুন লেগেছে’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘একটা একটা লীগ ধর, ধইরা ধইরা জেলে ভর’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
মিছিল পরবর্তী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট, সাবেক সহ-সমন্বয়ক ইয়াসকিরুল কবীর সৌরভ, গোলাম রব্বানী, ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন, রাফিজ, শিবির নেতা রায়হান নেজামী প্রমুখ।
এসএম সুইট বলেন, “যারা গণহত্যার বৈধতা দিয়েছিল তাদের শাস্তির আওতায় আনতে প্রশাসন থেকে একটা তালিকা করা হয়েছে। কিন্তু সেই তালিকায় অনেক রাঘববোয়ালদের নাম আসেনি। যারা গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত ও বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে, তাদেরও নাম আসেনি। আগামী সপ্তাহের মধ্যে জুলাইবিরোধী সবাইকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।”
তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে আমরা কখনোই না। কিন্তু অভ্যুত্থানের বিরোধী শক্তি শিক্ষার্থীদের ম্যানিপুলেট করে জুলাইবিরোধী কাজগুলো করানোর চেষ্টা করছে। আশা করছি, এটি ধোপে টিকবে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়-দায়িত্ব যেহেতু শহীদ ও আহত ভাই-বোনদের প্রতি। সে জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস।”
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কৃত সিদ্ধান্তকে নাটক ও প্রহসন দাবি করে ছাত্রদল নেতা নূর উদ্দিন বলেন, “প্রশাসন কতিপয় শিক্ষককে বহিষ্কার ও হাতেগোনা কয়েকজন ছাত্রের ছাত্রত্ব বাতিল করেছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আরাফাতের নাম বাদ দিয়েই তারা বাদবাকি চুনোপুঁটিদের বহিষ্কার করার যে নাটক, যে প্রহসন, সেই প্রহসনকে আমরা সে ঘৃণ্যাভরে প্রত্যাখ্যান করছি।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী