রাজনগরের ৮ ইউনিয়নে গঠিত বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিল
Published: 31st, January 2025 GMT
মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে গঠিত বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করেছে জেলা বিএনপি। উপজেলার এক নেতার বাড়িতে বসে কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠার পর এ কমিটি বাতিল করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ূন স্বাক্ষরিত এক পত্রে নিজেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পেরেছি, কোনো এক নেতার বাড়িতে বসে বিএনপির রাজনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যা দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলার পরিপন্থী। তাই রাজনগর উপজেলার ৮ ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করা হলো।
এ বিষয়ে ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন, ‘‘রাজনগর উপজেলার ৮ ইউনিয়নের আহ্বায়ক কমিটি গঠন হয়েছে একক নেতার বাড়িতে বসে। বিষয়টি আমার জানা ছিল না। একটি দলের কমিটি গঠন হবে বাসা-বাড়িতে বসে? দলীয় গঠনতন্ত্র ও শৃঙ্খলা পরিপন্থী কোনো কিছু বরদাস্ত করা হবে না।’’
ঢাকা/আজিজ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
আদালত অবমাননা করে নিবন্ধন নিয়ে গড়িমসি করছে ইসি: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গড়িমসি করে ‘বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন’কে নিবন্ধন দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছে দলটি। তারা মনে করে, এর মধ্য দিয়ে কমিশন আদালতের সুস্পষ্ট রায় অবমাননা করে তাদের আগামী নির্বাচন ও রাজনীতি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনে তোপখানা দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সভাপতি হাসনাত কাইয়ূম ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিদার ভূইয়া।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর নিবন্ধনের জন্য আবেদন করেছিল। কিন্তু তৎকালীন নির্বাচন কমিশন কোনো সুস্পষ্ট কারণ না দেখিয়ে সেই আবেদন বাতিল করে দেয়। পরবর্তী সময়ে পুনর্বিবেচনার আবেদন করা হলে কমিশন জানায়, বিদ্যমান আইনে সেই সুযোগ নেই। পরে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে বেআইনি ঘোষণা এবং দলকে নিবন্ধন দেওয়ার আদেশ চেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আদালত শুনানি শেষে চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর তাদের পক্ষে রায় দেন। রায়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ডি ধারা অনুযায়ী গঠনতন্ত্র সংশোধন সাপেক্ষে নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়, আদালতের রায়ের পর দীর্ঘ সময় নির্বাচন কমিশন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় তাঁরা গত ৩ অক্টোবর বিশেষ কাউন্সিল করেন। এরপর আইনি বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী দলীয় গঠনতন্ত্র সংশোধন করে ৩ নভেম্বর তা কমিশনে জমা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, এরপরও নির্বাচন কমিশন কালক্ষেপণ করছে। মৌখিকভাবে দ্রুত আবেদন নিষ্পত্তির আশ্বাস দিলেও চিঠিতে প্রায় সব কাগজপত্র আবারও চাওয়া হয়। সর্বশেষ ১ ডিসেম্বর প্রায় দুই হাজার পাতার নথি জমা দেওয়া হলেও গত ১০ দিনে কোনো কাজ এগোয়নি।
এতে আরও বলা হয়, ‘জাতীয় নির্বাচন দ্বারপ্রান্তে। যেকোনো সময় তফসিল ঘোষণা হতে পারে। সারা দেশে আমাদের দলীয় নেতা–কর্মীরা নির্বাচনে অংশ নিতে প্রস্তুত। এমন পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের এই কর্মকাণ্ড রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনকে আগামী নির্বাচন এবং রাজনীতি থেকে বঞ্চিত করার উপক্রম করেছে। এমন কিছু হলে জাতীয় নির্বাচন ও আগামীর সংস্কার যাত্রা প্রশ্নবিদ্ধ হবে, যা পতিত স্বৈরাচার ও সংস্কারবিরোধীদের উদ্দেশ্যই পূরণ করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অবিলম্বে নিবন্ধন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলা হয়, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ঘোষিত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়। সংস্কার যাত্রা নিরঙ্কুশ করতে এই নির্বাচন একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হতে পারে। রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন এই নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অন্যতম দাবিদার।
দ্রুত নিবন্ধন দেওয়া না হলে রাষ্ট্রীয় এবং জনতার আদালতে এই নির্বাচন কমিশনের বিচার চাওয়া হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।