পুরুষ মানুষ ক্রিকেট খেলার মতো: সুনীতা
Published: 1st, February 2025 GMT
একটা সময় বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে রাজ করেছেন গোবিন্দা। তার অভিনয় ক্ষমতা, একের পর এক সুপারহিট সিনেমা সমৃদ্ধ করেছে দর্শককেও। এই অভিনেতার স্ত্রী সুনীতা আহুজা এর আগেও তাদের বৈবাহিক জীবনের নানা দুষ্টু-মিষ্টি মুহূর্ত ভাগ করেছিলেন। এবার নিজের সংসারের কথা বলতে গিয়ে পুরো পুরুষজাতিকে তুলনা করলেন ক্রিকেট খেলার সঙ্গে।
ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করে প্রথমে স্ত্রীকে লুকিয়ে রেখেছিলেন গোবিন্দ। তবে বছর তিনেকের মাথায় নায়ক নিজেই জানান, তিনি বিবাহিত। তারপর দীর্ঘ সময় একে অপরের পাশে ঢাল হয়ে থেকেছেন। একসঙ্গে কাটিয়ে দিয়েছেন দীর্ঘ ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন সুনীতা। সেখানে তিনি জানান, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন কারণে গোবিন্দকে অনেক লোকজন নিয়ে থাকতে হয়। সেই কারণে যে বাংলোতে তিনি থাকেন সেখানে অনেকের আসা-যাওয়া লেগেই থাকে। এ ছাড়াও অভিনেতার বিভিন্ন মিটিং থাকে, যেগুলো গভীর রাত পর্যন্ত চলে। এজন্য তারা আলাদা বসায় থাকেন। তবে আলাদা বাসায় থাকলেও তাদের সম্পর্কের বিন্দুমাত্র অবনতি হয়নি।
সুনীতার কথায়, ‘আমি আমার সংসার রক্ষা করতে পেরেছি কারণ ঈশ্বর রয়েছেন আমার সঙ্গে। আসলে পুরুষমানুষ হল ক্রিকেটের মতো। কখনও ভাল, কখনও খারাপ। আমি সব সময় মেয়েদের বলি নিজের স্বামীর হাত শক্ত করে ধরে থাকতে। যেমনটা আমি করেছিলাম। যদি হাত ধরতে না পারো, ছেড়ে বেরিয়ে যাও।’
এদিক থেকে সুনীতার স্বভাব একেবারে উল্টো। তিনি ভোর ৪ টায় ঘুম থেকে ওঠেন। পূজাপাঠ করেন। সুনীতা বলেন, ‘বেশি কথা বললে শক্তি ক্ষয় হয়। অনেকেই ঘর ভাঙার চেষ্টা করেছেন, পারেনি। আমরা যেমন ছিলাম তেমনই আছি।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ জিসানের দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের ক্ষুদে ফুটবলার জিসানের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। স্থানীয়রা ফুটবলে জিসানের দক্ষতায় মুগ্ধ হয়ে তাকে ‘ক্ষুদে ম্যারাডোনা’ বলে ডাকেন।
তারেক রহমানের পক্ষে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জিসানের গ্রামের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক। তিনি জিসানের বাবা ও এলাকাবাসীকে এ খবরটি জানিয়ে আসেন।
উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের ফেকামারা ডুলিকান্দা গ্রামের অটোরিকশাচালক জজ মিয়ার ছেলে জিসান। মাত্র ১০ বছর বয়সী এই প্রতিভাবান ফুটবলারের অসাধারণ দক্ষতার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। স্থানীয় চর ঝাকালিয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সে।
কখনও এক পায়ে, কখনও দু’পায়ে, কখনও পিঠে ফুটবল রেখে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কসরত করে জিসান। দেখে মনে হবে, ফুটবল যেনো তার কথা শুনছে। এসব কসরতের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
অনলাইনে জিসানের ফুটবল নৈপুণ্য দেখে মুগ্ধ হন তারেক রহমান। তিনি জিসানের ভবিষ্যৎ গড়ার দায়িত্ব নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার পক্ষে গতকাল সোমবার বিকেলে জিসানের বাড়িতে যান বিএনপির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক।
জিসানকে উপহার হিসেবে বুট, জার্সি ও ফুটবলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম তুলে দেন তিনি। এছাড়া জিসানের পরিবারকে আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হয়।
জিসানের ফুটবল খেলা নিজ চোখে দেখে মুগ্ধ আমিনুল হক বলেন, “জিসান ফুটবলে ন্যাচারাল ট্যালেন্ট। তারেক রহমান জিসানের প্রশিক্ষণ, লেখাপড়া ও ভবিষ্যতের সকল দায়িত্ব নিয়েছেন। তাছাড়া প্রতিমাসে জিসানের লেখাপড়া, ফুটবল প্রশিক্ষণ ও পরিবারের ব্যয়ভারের জন্য টাকা পাঠানো হবে।”
জিসান জানায়, মোবাইলে ম্যারাডোনা, মেসি ও রোনালদোর খেলা দেখে নিজেই ফুটবলের নানা কৌশল শিখেছে। নিজ চেষ্টায় সে এসব রপ্ত করেছে।
জিসানের বাবা জজ মিয়া বলেন, “আমি বিশ্বাস করতাম, একদিন না একদিন কেউ না কেউ আমার ছেলের পাশে দাঁড়াবে। আজ আমার সেই বিশ্বাস পূর্ণ হয়েছে।”
ঢাকা/রুমন/এস