আগারগাঁওয়ে সড়ক অবরোধ করে গণঅভ্যুত্থানে আহতদের বিক্ষোভ
Published: 2nd, February 2025 GMT
সুচিকিৎসা, ক্ষতিপূরণ, রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আগারগাঁওয়ে সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আহতরা।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। তাদের অবস্থানের কারণে সড়কের দুই পাশেই যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছন সাধারণ যাত্রীরা।
গতকাল রাতেও একই দাবিতে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করেন আহত ও তাদের স্বজনেরা।
ঘটনাস্থল থেকে আন্দোলনে অংশ নেওয়া রায়হান রাফি নামে আহত এক ছাত্র বলেন, “দেশের জন্য আন্দোলনে গিয়ে আহত হয়েছি। এখন সুচিকিৎসার জন্য রাস্তায় নামতে হচ্ছে। এর চেয়ে কষ্টের আর কী আছে।”
সৈকত হোসেন নামে আরেকজন বলেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি মেনে গেজেট আকারে প্রকাশ করা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলবে।”
যেসব দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন তার মধ্যে রয়েছে, জুলাই-আগস্টে আহতদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া। আহতদের ক্যাটাগরি নামক বৈষম্য দূর করা, আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা, শহীদ পরিবারের দ্রুত পূর্ণবাসন ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
ঢাকা/রায়হান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রেনের ছাদে ভ্রমণকালে বৈদ্যুতিক লাইনের নেটের আঘাতে নিহত ১, আহত ৫
টাঙ্গাইলে ট্রেনের ছাদে অবৈধভাবে ভ্রমণের সময় বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম রিপন আলী (৩৭)। তিনি রাজশাহীর পবা উপজেলার কালিয়ানপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। আহতদের মধ্যে অজ্ঞাতপরিচয়ের এক ব্যক্তি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
রেলওয়ে পুলিশের টাঙ্গাইল ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ জানান, ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আন্তনগর সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর পর ছাদে রক্তাক্ত অবস্থায় ছয়জনকে পাওয়া যায়। আহত যাত্রীরা পুলিশকে জানান, তাঁরা ঢাকা থেকে ট্রেনের ছাদে উঠেছিলেন। টাঙ্গাইল স্টেশনে পৌঁছানোর ১৫–২০ মিনিট আগে রেলপথের ওপর দিয়ে অতিক্রম করা একটি বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইনের নিচের নেটের সঙ্গে ধাক্কা লেগে তাঁরা আহত হন।
আহত ছয়জনকে পুলিশ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১০টার দিকে রিপন আলীর মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে আশরাফুলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আহত আমিরুল ইসলাম (২৫), আলিম (২৫) ও ফয়সাল (২৭) চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। অজ্ঞাতপরিচয়ের এক কিশোর (১৫–১৬) এখনো টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। দুপুরে গিয়ে দেখা যায়, তার হাতে ব্যান্ডেজ বাঁধা অবস্থায় শুয়ে আছে। কর্তব্যরত নার্স জানান, ছেলেটি কথা বলতে পারছে না।
এদিকে নিহত রিপন আলীর রাজশাহীর বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে কালিয়ানপাড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির ভেতরে স্বজন ও প্রতিবেশীরা আহাজারি করছেন। বাইরে রিপনের দাফনের জন্য কবর খোঁড়া হচ্ছে, কেউ বাঁশ কাটছেন।
রিপনের বাবা ইসরাফিল হোসেন জানান, রিপন ঢাকার একটি ইলেকট্রনিকস কোম্পানিতে চাকরি করত। কয়েক মাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন কাজ খুঁজছিল। গত বুধবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বের হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইল হাসপাতাল থেকে রিপনের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে তার ছোট ছেলের ফোনে যোগাযোগ করা হয়। তখনই তাঁরা জানতে পারেন, রিপন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন।