ইটভাটা চালু রাখার দাবিতে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ইট প্রস্তুতকারী মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। 

রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেল প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ইটভাটার মালিক ও শ্রমিকরা অংশ নেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বকসী ও ইটভাটার মলিক খায়রুল ইসলাম। সমাবেশে ইটভাটার শ্রমিকরাও বক্তব্য রাখেন।

আরো পড়ুন:

টাকার দাবিতে আ.

লীগ নেতার বাড়ি ও কলেজে ভাটা মালিকদের অবস্থান

বায়ুদূষণ রোধে অভিযান: জরিমানা ২৪ লাখ টাকা, ৯ ভাটা বন্ধ

ইটভাটার শ্রমিক মহির উদ্দিন বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে ইট ভাটায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছি। ভাটাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে আমাদের কাজ করার সুযোগ থাকবে না।”

জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স নিয়ে ঝিকঝাক ইটভাটা পরিচালনা করছি। ২০১৯ সালে সরকার ইটভাটাগুলোকে অবৈধ্য ঘোষণা করে। বর্তমানে আমরা নিয়ম মাফিক সব কাগজপত্র জমা দিলেও লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে ভাটার মালিকদের ক্ষতি ও শ্রমিকদের কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে সব ইটভাটা বন্ধ না করে পরিচালনার সুযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।” 

ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইট ভ ট ইটভ ট র

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার

রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।

সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।

ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ