এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রয়োজন সমন্বিত ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’
Published: 3rd, February 2025 GMT
“এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা ৩.৬ এবং ১১.২ অনুযায়ী সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু ও আহতের হার অর্ধেকে নামিয়ে আনতে হবে। আর সে জন্য প্রয়োজন একটি সমন্বিত সড়ক নিরাপত্তা আইন।”
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের আয়োজনে সাংবাদিকদের সাথে ‘নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন “টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এবং জাতিসংঘের গ্লোবাল প্ল্যানের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রোডক্র্যাশে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার জন্য বাংলাদেশকে অবশ্যই প্রতিরোধযোগ্য রোডক্র্যাশ, মৃত্যু ও আহত হওয়ার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে হবে। এজন্য দরকার উপযুক্ত শক্তিশালী নীতি ও আইনি কাঠামো। বর্তমানে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ ও ‘সড়ক পরিবহন বিধিমালা-২০২২’ বলবৎ থাকলেও সড়ক নিরাপত্তা ব্যবস্থার তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি।”
ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদের সভাপতিত্বে ও দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার শুভ্র দেবের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গ্লোবাল রোড সেফটি অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গ্রান্টস প্রোগ্রামের ম্যানেজার তাইফুর রহমান, গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড.
এসময় সেইফ সিস্টেম এপ্রোচ এবং সড়ক নিরাপত্তা আইনের দুর্বলদিক সমূহের উপর আলোচনা করেন গ্লোবাল রোড সেফটি অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড গ্রান্টস প্রোগ্রামের ম্যানেজার তাইফুর রহমান।
তিনি বলেন, “সেইফ সিস্টেমের আলোকে সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রয়োজন। কারণ দেশে সড়ক নিরাপত্তা সংক্রান্ত কোনো আইন নেই। যে আইন নিরাপদ সড়ক অবকাঠামো, নিরাপদ যানবাহন এবং সড়ক ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।”
একটি সড়ক নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন ও তার যথাযথ বাস্তবায়ন করার জন্য সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে গ্লোবাল হেলথ অ্যাডভোকেসি ইনকিউবেটরের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর ড. শরিফুল আলম বলেন, “নিরাপদ সড়ক সকলের মৌলিক অধিকার। আর সেই মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশ সরকারকে রোডক্র্যাশে মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা কমাতে এবং সড়ক নিরাপত্তার জন্য জাতিসংঘের বৈশ্বিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়ে জাতিসংঘের সুপারিশকৃত সেইফ সিস্টেম এপ্রোচের আলোকে একটি ‘সড়ক নিরাপত্তা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে।”
ঢাকা/হাসান/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র পদ ও আহত
এছাড়াও পড়ুন:
জায়েদ ভাই মেয়েদের ফেভারিট: নুসরাত ফারিয়া
ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া মানেই গ্ল্যামার, মেধা আর মজার মিশ্রণ। দুই বাংলায় সমানতালে কাজের পাশাপাশি গানেও বাজিমাত করেছেন। এবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ভিন্ন কারণে। চিত্রনায়ক জায়েদ খানের টক শোতে অতিথি হয়েছেন এই অভিনেত্রী।
সম্প্রতি কানাডায় অনুষ্ঠিত ৩৯তম ফোবানা সম্মেলনে অংশ নেন ফারিয়া। গালা নাইটে নিজের ঝলমলে পারফরম্যান্সে মাতিয়ে তোলেন সবাইকে। সেই সফরের মজার অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সহকর্মী জায়েদ খানের গোপন তথ্য ফাঁস করেন এই অভিনেত্রী।
আরো পড়ুন:
গ্রেপ্তারের পর প্রথম মুখ খুললেন নুসরাত ফারিয়া
বিয়ে ভাঙার পর হতাশা কাটাতে ওষুধ খেতেন নুসরাত ফারিয়া
ফারিয়া বলেন, “জায়েদ ভাই মিষ্টি মনের মানুষ। দিন দিন তো অনেক হ্যান্ডসাম হয়ে যাচ্ছেন! এত ওয়ার্কআউট করছেন যে, এখন বাংলাদেশের অর্ধেক মেয়েরই ফেভারিট উনি!”
জায়েদ খানের প্রশংসা করে ফারিয়া বলেন, “আগে তো ছিলেনই, এখন অনেক ফিট হয়ে গেছেন। ওনার সাথে কাজ করা মানে সারাক্ষণ হাসিখুশি থাকা। কারো মন খারাপ থাকলেও উনার সাথে কথা বললেই ভালো হয়ে যায়।”
কানাডা সফরের আরেক টুকরো গল্পও জানান ফারিয়া। তার ভাষায়, “একদিন উনি বললেন, ‘চলো মন্ট্রিয়ালে হাঁটতে হাঁটতে শুটটা করে ফেলি।’ আমি ভাবলাম মজা করছেন, কিন্তু উনি সত্যিই শুট শুরু করলেন। ওই ফান পার্টগুলো কিন্তু আপনাদের দেখানো হয়নি, এডিটেই কেটে দিয়েছে!”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত