পাবনায় পুলিশের কাছ থেকে আ.লীগ নেতাকে ছিনতাইয়ের ঘটনায় আটক ১৬
Published: 3rd, February 2025 GMT
পুলিশের গাড়ি থেকে পাবনার সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এছাড়া এ ঘটনায় ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে।
রোববার রাতে সুজানগর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যৌথবাহিনীর অভিযানে তাদের আটক করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা সমকালকে জানান, রাতে অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। যাদেরকে ভিডিও ফুটেজে দেখা যাবে তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এছাড়াও পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। খুব শিগগিরই বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।
এর আগে গতকাল বিকেলে সুজানগর পৌর এলাকার মথুরাপুর হাইস্কুলের সামনে আব্দুল ওহাবকে গ্রেপ্তার করা হলে তার সমর্থকরা পুলিশের ওপর হামলা করে আসামিকে ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় ৮ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানান পাবনা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান।
পরে সুজানগর থানার এসআই আজাহার আলী বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। এছাড়াও আব্দুল ওহাব গত জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় একাধিক মামলার পলাতক আসামি।
এদিকে পুলিশের ওপর হামলা এবং দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে পৃথক পৃথক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। রোববার রাত ১০টার দিকে পৌর এলাকার প্রধান সড়কে তারা বিক্ষোভ করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প বন স জ নগর ঘটন য় উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?