কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদে বানান ভুল
Published: 3rd, February 2025 GMT
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) আন্তঃবিভাগ শহীদ আব্দুল কাইয়ূম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টে দেওয়া সনদে বানান ভুলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।  
জানা গেছে, গত বছরের ১৩ নভেম্বর শুরু হয় আন্তঃবিভাগীয় শহিদ আব্দুল কাইয়ূম স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট। কয়েকবার মারামারির ঘটনায় খেলা স্থগিত হলেও পরবর্তীতে ১৯ ডিসেম্বর বিকেলে ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে, একই দিনে সকাল ১০টায় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগকে ০-২ গোলে হারিয়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ।
ফাইনালের দিন পুরস্কার দেওয়া হলেও সনদ দেওয়া বাকি ছিল। পরে গত ২৭ জানুয়ারি শারীরিক শিক্ষা কার্যালয় থেকে সনদ গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রেরণ করা হয়। বিভাগ থেকে ১ ফেব্রুয়ারি সনদ সংগ্রহ করেন শিক্ষার্থীরা। সনদ হাতে পাওয়ার পর বানান ভুলের বিষয়টি চোখে পড়ে তাদের।
সেখানে দেখা যায়, সনদে তৃতীয় স্থান অধিকারী গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দলের খেলোয়াড়দের প্রদান করা সনদে ‘3rd Palace’ লেখা রয়েছে। যার শুদ্ধ বানান ‘3rd place’।
এ বিষয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের খেলোয়াড় তৌকির আহমেদ বলেন, “বানান ভুল করা কুবির শারীরিক শিক্ষা বিভাগের নিত্যদিনের কাজ। শুধু এবারই নয়, আগেও অনেকবার এ বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে শিক্ষার্থীদের। কখনো শিক্ষা বানান ভুল, তো কখনো কুমিল্লা বানান ভুল। সনদের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করা তাদের কাছে খুবই তুচ্ছ ও স্বাভাবিক বিষয়। তবে, এতগুলো বানানের মধ্যে শুধু একটি বানান ভুল করার জন্য শারীরিক শিক্ষা বিভাগকে ধন্যবাদ জানাই!”
একই বিভাগের শিক্ষার্থী ও অধিনায়ক মোবাশ্বের আলী মিনার বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় খেলাধুলার সনদের প্রতি খেলোয়াড়দের একটা অন্যরকম আগ্রহ থাকে। দুই মাসের একটা টুর্নামেন্ট শেষে আমরা সনদ পেয়ে যখন বানান ভুল দেখি, তখন আমরা স্বাভাবিকভাবে হতাশ হই। ভুল বানানযুক্ত এ সনদগুলো এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজের প্রমাণ হিসেবে কোথাও ব্যবহার করতে চাইলে পারব না। এর আগে আমাদের আরেকটা টুর্নামেন্টের সনদেও বানান ভুল আসছিল। ফলে সেগুলো আমরা কোথাও ব্যবহার করতে পারিনি। সনদের প্রতি প্রশাসনের এত উদাসীন হওয়া খুবই দুঃখজনক।”
এ বিষয়ে শারীরিক শিক্ষা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মনিরুল আলম বলেন, “আমি এ বিষয়টি আজ জানতে পেরেছি। একটি বানান ভুল আছে। ভুল তো হতেই পারে, যেকোন জায়গায়ই ভুল হয়। আমরা বিভাগকে জানিয়েছি, বানান সংশোধন করে আবার প্রদান করব।”
ক্রীড়া কমিটির আহ্বায়ক ড.                
      
				
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকার রাস্তায় টেসলা, রোলস–রয়েস, পোরশেসহ ২৫০০ বিলাসবহুল গাড়ি
রাজধানী ঢাকার রাস্তায় চলে বিশ্বের আলোচিত টেসলা গাড়ি। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) থেকে ছয়টি টেসলা গাড়ির নিবন্ধন নেওয়া হয়েছে। শুধু টেসলা নয়; রোলস-রয়েস, ফেরারি, বেন্টলি, পোরশের মতো বিলাসবহুল অভিজাত গাড়ি এখন ঢাকার রাস্তার বুক চিড়ে চড়ে বেড়ায়।
অন্যদিকে রেঞ্জ রোভার, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জের মতো অভিজাত গাড়িও ঢাকার রাস্তায় অহরহ দেখা যায়। এ গাড়িগুলো যেন দেশের ধনীদের আভিজাত্যের প্রতীক হয়ে গেছে।
সব মিলিয়ে দেশে এখন আড়াই হাজারের বেশি এমন বিলাসবহুল ও দামি গাড়ি আছে। এই গাড়িগুলোর দাম ১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকা। দেশের একশ্রেণির অতিধনী ব্যবসায়ীরা এসব বিলাসবহুল গাড়ি চালান।
গাড়ি ব্যবসায়ীরা জানান, এমন বিলাসবহুল দামি গাড়ির গ্রাহকের সংখ্যা দেড় থেকে দুই হাজারের মতো। কেউ কেউ একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি কিনেছেন।
দেশে বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয় মার্সিডিজ বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ ও আউডি (অনেকে অডি বলেন) ব্র্যান্ডের গাড়ি। রাজধানীর ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাস্তায় এমন দামি গাড়ি মাঝেমধ্যে দেখা যায়।
এক দশক আগেও রাস্তায় বিলাসবহুল গাড়ি অনেক কম দেখা যেত। গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা ও বসুন্ধরার মতো অভিজাত এলাকায় এখন প্রায়ই দেখা মিলে রেঞ্জ রোভার, মার্সিডিজ ও বিএমডব্লিউর মতো বিলাসবহুল গাড়ি। সাধারণত রাতের দিকে অভিজাত এলাকায় এমন গাড়ির আনাগোনা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে গত ১০ বছরে আড়াই হাজারের বেশি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি হয়েছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ বছরে দেশে শুধু রোলস-রয়েস ব্র্যান্ডের গাড়ি আমদানি হয়েছে ১২টি। আর গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষে (বিআরটিএ) ৮টি রোলস-রয়েস নিবন্ধিত হয়েছে।
গত জুলাই মাসে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পরে রোলস-রয়েসের ‘স্পেক্টার’ মডেলের গাড়ি। যার দাম ফিচারভেদে প্রায় ১১ থেকে ১২ কোটি টাকা। তখন এই দামি গাড়ি নিয়ে বেশ আলোচনা হয়।
টেসলা ব্র্যান্ডের ‘মডেল এস’ গাড়ি